সম্পাদকীয়

      


                                       



বসন্ত এলে গেটের সামনের ওই লেটারবক্স খুলে যায় নিজে নিজেই ৷  কেউ কি লিখেছে আজ, ' ভাল থেকো '? একটি হলুদ পালক আর কুহুডাক, বেরিয়ে আসে। হাওয়া বয়ে আনে মুদ্রাস্ফীতির হিসেব। এই জীবনের যত গোপন সংকেত আর দুরন্ত ঘূর্ণি, লিখে রাখা যাক সুকৌশলে। ডায়েরির পাতা উড়ে যায় মহুলবনী হোমস্টে। অস্থির বাতাসে তখন বসন্ত। চৈত্রের পোড়া রোদে পুরনো কবিতা শুকোতে দিয়েছে কেউ। এবার ন্যাপথালিন দিয়ে আলমারিতে তুলে রাখার পালা৷ গেটে কে যেন কড়া নাড়ছে, "বাবা তারকনাথের চরণে সেবা লাগে..." ট্রেনের হ্যান্ডেলে ঝুলছে জলের বাঁক। লক্ষ্য আর মোক্ষ যেন মিলেমিশে যাচ্ছে কোথাও। আমাদের e-ঘরে আজ বিদায়ী বসন্তের বাতি জ্বেলেছে কেউ। এই ভরা চৈত্রে টইটম্বুর অভিমানে অক্ষর শুশ্রূষা বুলিয়ে দিচ্ছে কে? আমরা কি তাকে চিনি? খোলা ছাদে আজ কবিতার মেলা, গল্পের আয়োজন। পাখিরা গান গাইছে। পলাশতলীর পড়শি আর মহুলবনীর সেরেঙ পরস্পরের হাত ধরে লোকাল ট্রেন থেকে নেমে পড়ে দূরের কৃষ্ণচূড়া প্লাটফর্মে। রোদ পড়ে, ছায়া পড়ে। বাতিঘরের পাতা উল্টেপাল্টে আমরা পেরিয়ে যাই অগণিত ক্ষত ও প্রতিষেধক...


আয় মন, আয়। বসন্তের লেটারবক্স ভরিয়ে
রাখি অরণ্য অক্ষরে।


                                               

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য