কৌশিক চক্রবর্ত্তী

 




 আগ্নেয়পথ



তরতর করে উঠে গেলাম চতুর্থ আঙুলে
ঠিকরে পড়ছে অহল্যার রঙ
ঠোঁটের মধ্যম স্তর ভেদ করে রঙ ছড়িয়ে গেছে তখন আনাচেকানাচে-
জিভের ঢালে সুস্পষ্ট বর্ষার রেখা
চুষে নেবার আগে দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা
নক্ষত্র নিভে গেলে রোদ পড়ে বিধ্বস্ত বিপরীত ঢালে
জিভে তখন যাবতীয় ক্ষতচিহ্ন
নীল রঙের উপত্যকায় ফুলের মহোৎসব।

এ পর্যন্ত তুলে রাখা টিউলিপ সাজিয়ে লালন করেছি তোমায়
তিরতির করে বয়ে যাওয়া নদীর সাথে বসিয়ে রেখেছি নিজেকে
এরপরেই পর্যাপ্ত অন্ধকার...
গুহা ভেঙে আতর সংগ্রহ করবার মুহূর্ত...
সাপের একাধিক পা থেকে সরিয়ে নেওয়া স্পর্শটুকু বুলিয়ে দিয়েছি সযত্নে
হিলহিল করে সমস্ত মাংসপিণ্ড জুড়ে ছড়িয়ে গেছে উদযাপন।

যে সমস্ত দেয়াল জুড়ে কেবল অজন্তার গুহালিপি
আদপে সেই গুলোই আমার নবজন্মের সূত্রপাত।
আরও এগোলে গভীর তলদেশ
আর ইতিউতি জেগে ওঠা শঙ্খের সহাবস্থান...
শামুকেররা আগাগোড়াই স্বাধীন-
বিধিভঙ্গ করে তাদের যাবতীয় লড়াই কেবল স্যাঁতস্যাঁতে কুয়োতলায়।

এরপর আশ্চর্য সমাপতন-
মোক্ষলাভের মুহূর্তে যেন চেনা আর্তনাদ
ক্ষমাশীল বসন্তের মত আষ্টেপৃষ্টে চেটে নেবার সময় তুমি হেলিয়ে দিয়েছ পিঠ...
চিনে নিয়েছ মোক্ষদণ্ডের সক্ষম অভিমুখ
বয়ে যাওয়া মোহনার সামনে আয়নার আত্মিকরণ।

ওহে গর্ভস্থ উপকথা,
তোমার লালচে তারার পাশে রেখে আসা আমার স্পষ্ট জ্বালাপথ
রন্ধ্রে রন্ধ্রে জমে যাওয়া গ্রহাণুর উপস্থিতি
বুঝে নাও এই স্থিতিশীলতা-
প্রতিটি পাহাড়ের জন্য বরাদ্দ করো নিশ্চিন্ত বাসস্থান
পরিণামে ঘাম থেকে মুক্ত করো নিজেকে।

আমি আর কোনো সাপেদের গলিপথ চিনিনা
আগ্নেয়গিরির মধ্যিখান থেকে কেবল বেছে আনতে পারি অক্ষত শরীর। 





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য