রহিত ঘোষাল




  ।।বয়ষ তোমার বাড়ি চেনে না।।


তোমার নামে একটা দরজা ছিল,
কে এখন ঘর দুয়ার গুছিয়ে রাখবে?
রোজ কিছু না কিছু ভেঙে যায়,
তোমার নামে একটা ডাক বাক্স ছিল,
কে এখন ছাদ বাগানে জল দেবে?
তোমার নামে রাখা আছে কিছু মেয়াদ উত্তীর্ণ চুমু।।




।।ঘড়িতে দম দিয়েও সময় পাল্টাতে পারছি না।।

আমার প্রাক্তন প্রেমিকা স্বর্গে যাবে এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।স্বর্গে গিয়ে প্রথম যে ফেরেশতার মুখোমুখি হবে তাকে হুবহু আমার মতো দেখতে।।


।।ছায়া বুনো বন্ধ ছায়া।।

ওই যে ওই মুখটার উপর জমাট বাধা গাঁট রঙ,শরীরটাও কি দেখা যাচ্ছে ছাই!?
বন্ধ সিন্ধুক!
বন্ধ!বুনো ছায়া!



।।রেনুতে বিড়াল।।

মানুষ ছাড়া সব প্রানিই বিড়াল,
নোখের আড়ালে আকর্ষন,
চোয়াল লম্বা হওয়াতে বেহালা বাজাতে অসুবিধে,
ধোয়া পাইপের প্রনয় গোরস্থানে পোতা।।



।।জানালার দীর্ঘশ্বাস।।

আশেপাশে ধুলাবালুর সম্মিলিত লাফালাফি সদর্পে চলছে।
চোখ প্রজ্জলন করা হবে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে,
দাফন-কাফন-সৎকার হবে হতভাগ্য ভিত্তিপ্রস্তর ঠেলে ঠেলে।
ওখানে ঘুম কাটছাঁট হবে নিম্নবিত্তের।
একযুগ দীর্ঘ বিচ্ছেদ,ময়াল ফাঁদ রাখা দরজায়।
কেঁপে ওঠে বুক ,বুকে পোতা কবরস্থান।
ধোয়া নেভেনি ,শুধু কান্না ঢাকা হয়েছে প্লাস্টিক সার্জারি করে।
ধমনীতে দূষণ,এক ইঞ্চিও ছাড় নেই বায়ুমন্ডলে।
মহাশূন্যের স্রোতে মৌনতা চিড়ে-চ্যাপ্টা।।



।।কল্পান্তস্থায়ী।।

নক্ষত্ররাও এখন দূরে সরে গেছে সমস্ত চোখে বিশ্রাম,
হে অনন্ত অসীম!
নিদ্রা তোমায় গ্রাস করতে পারে না,
হে কল্পান্তস্থায়ী আমার চোখেও চির নিদ্রায় দাও।।





মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য