মানসী গাঙ্গুলী




বুলেট-বিহার


      এমন একটা দিন দেখতে হবে বা ওর জীবনে আসতে পারে ভাবেনি পারমিতা কখনও। ভাবতে পারেনি বা ভাবতে হবে এমনটা চিন্তাও করতে পারেনি কখনও। চারবছর গভীর প্রেমের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিল পারমিতা ও সৌম্য অনেক বাধা অতিক্রম করে। বনেদী বাড়ির মেয়ে পারমিতাকে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সৌম্যর সঙ্গে বিয়ে দিতে মোটেই রাজী ছিলেন না পারমিতার বাবা। একমাত্র সন্তান পারমিতাও গোঁ ধরে বসেছিল, "বিয়ে করতে হলে সৌম্যকেই করব, নচেৎ নয়। অন্য কাউকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।" ততদিনে তাদের দেহ-মনের জানাজানি হয়ে গেছে। কেমন করে সে সৌম্যকে ছেড়ে অন্য কারও ঘরণী হতে পারে? মা বোঝান বাবাকে, "মেনে নাও, ওরা যদি সুখী হয় এতে তুমি কেন বাধ সাধছ?" বাবার অভিমত, "আত্মীয়স্বজনের মধ্যে এ নিয়ে কথা হবে। পাড়াপড়শী, চেনাপরিচিতদের কেমন করে মুখ দেখাবো?" সব যুক্তি তছনছ করে দিয়ে মেয়ে বলে, "আমি সৌম্যকে ভালবাসি, ওকেই বিয়ে করব"। মেয়ের জেদের কাছে বাবাকে হার মানতে হল শেষে। বিয়েটা ধুমধাম করেই হল, কেবল সম্প্রদান করলেন মা, বাবা নয়। তিনি নানা অজুহাত দেখাতে লাগলেন কিন্তু সৌম্য ঠিকই বুঝল কারণটা, বুঝল পারমিতাও।এমনকি ওদের ফুলশয্যায় এলাহি তত্ত্ব পাঠিয়েও বাবা গেলেন না সৌম্যদের বাড়ির অনুষ্ঠানে। সব আনন্দের মাঝে পারমিতার বুকের মাঝে এক অভিমান বাসা বাঁধল। সেটুকু কাউকে বুঝতে না দিয়ে ঝলমলে হাসি দিয়ে সে তা ঢেকে রাখল সযত্নে, সন্তর্পণে।
       তারপরের দিনগুলি ছিল মধুময়। কয়েকটা বছর ওরা খুব আনন্দে, মজা করে কাটিয়েছিল। সৌম্যর বুলেটের পিছনে বসে ওর কোমর জড়িয়ে পিঠের ওপর গা-লেপ্টিয়ে ছুটে গেছে ওরা অজানা পথে যখনতখন। এ ওদের আনন্দভ্রমণ, এ ওদের  বিনোদন। পিছন থেকে পারমিতা কখনও দু'দিকে দু'হাত ছড়িয়ে আনন্দ সঞ্চয় করেছে, কখনও অকারণ হাসিতে লুটিয়ে পড়েছে সৌম্যর পিঠে। পারমিতার সবটুকু আনন্দ সৌম্য উপভোগ করছে ভীষণভাবে। মাঝেমধ্যে ফাঁকা জায়গায় গাড়ি থামিয়ে জাপটে জড়িয়ে পারমিতাকে গভীর চুমু দিচ্ছে তার মুখের মধ্যে মুখ ডুবিয়ে। পারমিতাও সৌম্যকে জাপটে জড়িয়ে ধরে তখন। একে অপরকে নিয়ে ওরা মোহিত হয়ে থাকে। এই মিষ্টিমধুর ভালবাসার দিনগুলো আরো মধুর হয়ে উঠল যখন পারমিতার কোলজুড়ে শৌর্য এল। পারমিতার বাবা-মা ছুটে এলেন নাতির টানে। সোনার চেন পরিয়ে তার মুখ দেখলেন।ছেলে উপহার দেবার খুশিতে সৌম্য ওকে কানের দুটো হিরের দুল কিনে দিয়েছিল। এরপর ছেলের মুখের ওপর ঝুঁকে পড়ে দু'জনেই খুশি, আনন্দ উপভোগ করেছে কত। ছোট ছোট হাত-পা নাড়াচাড়া দেখে দেখে মন যেন আর ভরে না। তাকে ঘিরেই স্বপ্নের জাল বোনে। ছেলের বয়স বছর পার হতেই তাকে কোলের মধ্যে নিয়ে আবার শুরু হয় ওদের বুলেট-বিহার।
       ছেলে একটু বড় হলে তাকে ছড়া শেখানো, এবিসিডি শেখানো চলতে লাগল পারমিতার। সৌম্য রোজ অফিস থেকে ফেরার সময় মা-ছেলের জন্য কিছু না কিছু হাতে নিয়ে ফিরত। কখনও ছেলের জন্য বল, খেলনা, আবার কখনও বা ছবি ও ছড়ার বই। বাচ্চাদের নানারকম বই, রং চেনানো, জিনিসপত্র চেনানোর জন্য। ছেলে স্কুলে ভর্তি হলে সৌম্য অফিস যাবার আগে দিয়ে আসত আর পারমিতা ছুটির সময় স্কুলে গিয়ে ছেলেকে নিয়ে আসত। ছুটির দিনে ছেলেকে মাঝে বসিয়ে বুলেট ছোটাত সৌম্য। কোথায়? অজানার উদ্দেশ্যে। ডেস্টিনেশন নট নোন।
         দেখতে দেখতে ছেলে প্রি-নার্সারি, নার্সারি, কেজি পেরিয়ে ক্লাস টু। এক ছুটির দিনে লংড্রাইভে যাবে ওরা। হঠাৎই সৌম্যকে একটা জরুরী কাজে বেরোতে হল। পারমিতাকে বলে গেল, "তোমরা একদম রেডি থেকো, আমি খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসব। তারপর সোঁওওওও......", বলে হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেল সৌম্য। আর তার আধঘন্টা পর পারমিতার মোবাইল বেজে উঠল। ভাবল সৌম্যর ফোন। কিন্তু না, অচেনা নম্বর। ভুরুটা কুঁচকে গেল ওর। ধরবে কিনা ভাবতে ভাবতে ফোনটা ধরেই ফেলল। আর "নাআআ....." করে তার একটা চিৎকারে ছোট্ট অনিকেত ছুট্টে এল মায়ের কাছে। "কী হয়েছে মামমাম?" এর কী উত্তর দেবে পারমিতার জানা নেই। অনিকেতকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে হাউহাউ করে কেঁদে উঠল ও। তারপর কোনোক্রমে দরজায় লক করে ছুটল ছেলের হাত ধরে, থামল গিয়ে হসপিটালের দরজায়। রক্তাক্ত সৌম্য অচৈতন্য অবস্থায়। ছটফটে প্রাণোচ্ছ্বল সৌম্যকে এমন অবস্থায় দেখে মেনে নিতে পারছিল না পারমিতা। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে সৌম্যর কিছু বন্ধুবান্ধবও হাজির হয়েছে হসপিটালে। তাদেরই একজন অনিকেতকে বাইকে চাপিয়ে নিয়ে গেল তার বাড়িতে। তার স্ত্রীর জিম্মায় ওকে রেখে এলে স্বস্তি পেল পারমিতা। সৌম্যর মেজর ইনজুরি। জরুরি অপারেশন করতে হবে। চারিদিকে প্রচুর কাটাছেঁড়া, পায়ে একটা লোহার রড ঢুকে গেছে। একটা মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে সামনাসামনি ধাক্কা। ভাগ্য ভালো প্রাণে বেঁচেছে।
          পারমিতা বন্ড সই করে দিলে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হল সৌম্যকে। প্রায় চারঘণ্টা পর ওকে আইসিইউতে দেওয়া হল। খবর পেয়ে পারমিতার বাবা-মা ছুটে এলেন। পারমিতা হসপিটালে ছোটাছুটি করছে, ওদিকে মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিয়ে সৌম্যর মাথায় ফুল ছুঁইয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ একমাস পর ওকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারল পারমিতা। কিন্তু পায়ে জোর নেই সৌম্যর, কোমর থেকে নিচের অংশ অসার। দু-তিনজন মিলে ধরে ঠেসান দিয়ে বসিয়ে দিলে কিছুক্ষণ বসে থাকতে পারে কেবল। একদার বিখ্যাত টেবিলটেনিস প্লেয়ার সৌম্য নিজের এই অবস্থা মেনে নিতে পারে না। হাউ হাউ করে কাঁদে। পারমিতা ওকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেয়, "আমি তো আছি, তোমার কিসের চিন্তা? আমি তোমায় ঠিক সুস্থ করে তুলব। আবার আমরা আগের মতো লংড্রাইভে যাব।" "কিসের জোরে তুমি বলছ পারো? আমি কি আবার উঠে দাঁড়াতে পারব?" "নিশ্চয়ই পারবে। আমার ভালোবাসার জোর তোমায় আবার দাঁড় করাবে। তুমি সুস্থ হয়ে যাবে সোনা।" সৌম্যর মাথায় হাত বুলিয়ে ওর চোখের জল মুছিয়ে দেয় পারমিতা। এরপর ডাক্তারের নির্দেশে ফিজিওথেরাপি শুরু হল। দীর্ঘ আটমাস কেটে গেল সৌম্যর কোনও উন্নতি নেই। পারমিতা ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছে। সৌম্যরও মুখের হাসি মিলিয়ে গেছে। আনন্দের লেশমাত্র নেই সংসারে।
          এর মধ্যে একদিন ছেলেকে স্কুলভ্যানে উঠিয়ে হুড়োহুড়ি করে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে পারমিতা পড়ে যায় সিঁড়িতে বেকায়দায়। তখন ফিজিওথেরাপিস্ট সৌম্যকে ম্যাসেজ করিয়ে নামছিল। পারমিতা বেকায়দায় পড়ে গিয়ে উঠতে পারছিল না। দীপ্ত ওকে পাঁজাকোলা করে তুলে এনে পাশের ঘরে খাটে শুইয়ে দেয় সন্তর্পনে। কিন্তু ওর চোখের দিকে তাকিয়ে জড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ। হঠাৎ বেকায়দায় পড়ে গিয়ে ভয় পেয়ে যায় পারমিতা। শক্ত করে দীপ্তকে আঁকড়ে ধরে। দীর্ঘদিন স্বামীসঙ্গ বঞ্চিত দেহমন হঠাৎ পুরুষের স্পর্শে বেসামাল হয়ে পড়ে। সারা শরীর তার থরথর করে কাঁপতে থাকে। ঘনঘন শ্বাস পড়তে থাকে। নিজের শরীর তার আর নিয়ন্ত্রণে থাকে না। নিয়ন্ত্রণ হারায় দীপ্তও। ওর চোখের দিকে তাকিয়ে জড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ। বন্ধনমুক্ত হবার কোনও ইচ্ছেই তার নেই। পারমিতার শরীরের ভাষা পড়তে থাকে দীপ্ত। ক্রমে ঘনিষ্ঠ হয়। এরপর অবধারিতভাবে যা হবার তাই হল। একা ঘরে পঙ্গু সৌম্য, বাড়িতে আর কোথাও কেউ নেই, দুই অঙ্গ মিলে যায় অনায়াসে। 'এ যেন প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর'। চরম সুখে ভাসে পারমিতা, ভাসে দীপ্তও। অবিবাহিত দীপ্তর জীবনের প্রথম নারীসঙ্গ তাকে চরম তৃপ্তি দিল। ছেড়ে যেতে মন চায় না। দু'জনে দু'জনকে জড়িয়ে তৃপ্তির রেশটুকু ধরে রাখে। অনন্তকালের জন্য ধরে রাখতে চায় যেন। উঠতে হয় অবশেষে। সকালের জলখাবার খাওয়াতে হবে দীপ্তকে। আয়ামাসি এসে পড়বে। দীপ্তকেও অন্য জায়গায় কাজে যেতে হবে। বিদায় মুহূর্তে দীপ্ত গভীর চুম্বন আঁকে পারমিতার ওষ্ঠে। সবটুকু রস শুষে নিতে চায় যেন। পারমিতাও নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করে তৃপ্তি পায়। ওকে জড়িয়ে ওর দেহে বিলীন হতে চায় যেন।
        দীপ্ত চলে গেলেও পারমিতা কিছুক্ষণের জন্য চুপচাপ শুয়ে থাকে চোখ বুজে। কতকালের শুষ্ক দেহ তার আজ বৃষ্টিধারায় ভিজল, প্রাণ পেল যেন। এ স্বাদ সে ভুলতে বসেছিল। মনে মনে ভাবে, "আমি কি অন্যায় করলাম? সৌম্যকে কি আমি ঠকালাম? কিন্তু আমি তো ইচ্ছে করে কিছু করিনি। এটা অমোঘ ছিল, তাই ঘটল। সৌম্য অসুস্থ কিন্তু আমি তো নই, আমার জৈবিক চাহিদা থাকতেই পারে, সেটা কি অন্যায়?" নিজেই নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করে। ভাবে, "আমি তো সৌম্যর প্রতি সব দায়িত্ব পালন করে চলেছি, ওকে আমি ভালও তো বাসি। আজ এতকাল আমি বুভুক্ষু, এরপরও সৌম্য কতটা সক্ষম হবে জানি না। আমার অজান্তেই আজ আমার দেহ কাউকে সমর্পণ করে আমি যদি একটু তৃপ্তি পেয়ে থাকি সেটা কখনওই অন্যায় নয়।"    
         এরপর আর কোনও বাধা থাকল না। চলতে লাগল এ খেলা নিত্যদিন। ছেলের ছুটির দিনে সকালে ওই সময় পারমিতা ছেলের টিউশন ঠিক করে দেয়। ফাঁকা বাড়িতে চলে লীলাখেলা। এমনকি মাসের বিশেষ দিনগুলোতেও বাদ যায় না। সৌম্য বিছানায় শুয়ে থাকে একাকী। মনে মনে ভাবে, "দীপ্ত চলে গেলে আগে পারমিতা আমার কাছে থাকত কিছুক্ষণ, মাথায় হাত বুলিয়ে গায়ে চাপা দিয়ে দিত। তার ঘন্টাখানেক পরে আয়ামাসি আসত। ততক্ষণ পারমিতা আমার কাছেই থাকত। আজকাল আর থাকে না। ওর হয়তো জীবনটা একঘেয়ে হয়ে গেছে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে। কিন্তু একাকী বিছানায় পড়ে থাকার যন্ত্রণা যে সহ্য হয় না আর। কবে যে মুক্তি পাব, আদৌ মুক্তি পাব কিনা তাই বা কে জানে।" সৌম্য অভিমান করে বলতে যায় পারমিতাকে, "আমায় নিয়ে তুমি খুব অসুবিধায় পড়েছো তাই না? কেন যে এভাবে বেঁচে ফিরে এলাম?" কিন্তু বলতে পারে না। মনে হয়, ওর এসব কথার কোনও গুরুত্বই হয়ত নেই আর পারমিতার কাছে। 
        ওদিকে পারমিতা আর দীপ্তর শরীরী খেলা বেশ জমে উঠেছে। সারাদিন পারমিতা বেশ খুশি খুশি থাকে। সৌম্যর চোখ এড়ায় না। কেবল বুঝতে পারে না কিসের এ খুশি। দীপ্ত ফিজিওথেরাপি করে চলে যাবার পর কয়েকদিন পারমিতাকে ডেকে সাড়া পায় না সৌম্য। ওর খুব ইচ্ছা করে পারমিতা আগের মতো ওর পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিক। সাড়া না পেয়ে মনখারাপ করে পড়ে থাকে। বড় একা লাগে, অসহায় লাগে ওর। হঠাৎ একদিন নারীকন্ঠের শিৎকার ধ্বনিতে ওর সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সজাগ হয়ে ওঠে। এ স্বর যে ওর চেনা। তবে কী? তবে কী? মুহূর্তে সারা শরীর ওর শক্ত হয়ে উঠল। উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছে তখন ও। বিছানায় আধশোয়া করে বালিশে ঠেসান দিয়ে ওকে রোজ বসিয়ে দিয়ে যায় দীপ্ত। নিজের কিছুই করার ক্ষমতা ওর নেই। কিন্তু আজ যেন কী এক শক্তি ভর করেছে ওকে। আস্তে আস্তে পা নাড়াবার চেষ্টা করল, তারপর ঘুরে বসল। পা দুটো ঝোলালো বিছানা থেকে। কাঁপতে কাঁপতে টলমল পায়ে দাঁড়ালো বিছানা ধরে। ওইভাবেই টলমল করতে করতে ঘর থেকে বেরোল ও। শিৎকারধ্বনি অনুসরণ করে পাশের ঘরের খোলা দরজায় গিয়ে দাঁড়াতেই চমকে উঠল দীপ্ত। দরজার দিকে ছিল তার মুখ। নগ্ন পারমিতার ওপর দীপ্তর নগ্ন শরীর ছিল তখন মগ্ন অবস্থায়। উঠে দাঁড়াতেও পারছে না। ক্রমে শরীর তার শিথিল হয়ে যাচ্ছে। পারমিতা বুঝতে পারছে না, আরো আঁকড়ে ধরে দীপ্তকে। চরম মুহূর্তে এই ছন্দপতন তার ভাল লাগে না। সৌম্যর ছি ছি শুনে আচমকা ধড়মড় করে উঠে বসে পারমিতা, দু'হাতে নিজের শরীর ঢাকার বৃথা চেষ্টা করে সে। দীপ্ত পালাবার পথ পায় না।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য