হরিৎ বন্দোপাধ্যায়
চেনা অঞ্চলের মেঘলা রঙে কুয়াশা ঘেরা প্রদেশ
১
প্রথম দেখেই চিনেছিলাম। কি দেখে চেনা যায়? কখন চেনা যায়? কি চেনা যায়? কোথাও একবারের জন্যে না দাঁড়িয়েও চেনা যায়। সে থাকে বলেই চেনা যায়।
২
চিনে ফেললেই চেনা হয়ে যায়। একটামাত্র জানলা খোলার অপেক্ষা। কতটুকু আর আলো! তবুও তো আসে। গালে এসে পড়ে, কখনও ঠোঁটের অল্প কিছুটায়। চেনা যায় কোনো এক সাতসকালের আলো! ঘন্টা বাজিয়ে রোদ উঠেছিল। সবাই চলে গিয়েছিল পুববাড়ির দিকে। রোদের একস্তর রঙ চাপিয়েছিল শুধু সে।
৩
বাপরে! যা গম্ভীর! আচ্ছা যদি হেসেই উঠতো অথবা গড়িয়ে পড়তো তা হলে কি রঙে তাকে চিনতে?
৪
কোনো রঙ নেই, মেঘলা আকাশ যেমন হয় আর কি। অথবা রোদ্দুর দিনেও সামান্য একটু রোদ জানলা দিয়ে নেমেই হাঁপিয়ে গেছে। এমন একটা ছবিঘরের কোনো পরিচয় থাকবে না!
৫
শুধুমাত্র চেনারঙের সঙ্গে হাত মেলাতে হাসব! আমার তো কোনো হাসি নেই। জানলা ভেঙে যাওয়ার আনন্দে একদিন তো খুব নেচেছিলাম। তারপরে আঠা দিয়ে খবরের কাগজ সেঁটে সেই দু’পা-কে মুহূর্তে থামিয়ে দিয়েছিল। এমনভাবে কি চিনব?
৬
মেঘলা দিনের কথা তো বলাই হয় নি। বারবার জানলার দিকে চাইছিল। এমন চেনায় কী চেনা যায়? মেঘের সঙ্গে সেদিন কুয়াশাও ছিল। রোদ্দুরের জন্যে চাওয়া থেকে যে চেনা তা সত্য কে বলেছে?
৭
এমন তো হতেই পারে মেঘলা দিনে তার দুঃখ শুধু একার। এমন দুঃখকে কে চিনতে পারে? না, কোনো রোদ্দুরের কষ্ট নয়। বরং মেঘলা দিনে কুয়াশা ছোঁয়ায় সে অনেক কিছু চিনে নিতে পারে। এমন চেনায় সে আপন পৃথিবীর অনেক গভীরে চলে যায়। আর এমন দিনেই তো চেনা হয়ে যায় তাকে।
লেখা পড়লেই চেনা যায়। অপূর্ব লাগল।
উত্তরমুছুনপৃথা চট্টোপাধ্যায়
ভাল লাগল হরিৎদা। দেবাশিস ঘোষ
উত্তরমুছুনঅত্যন্ত সমৃদ্ধ লেখাটি।
উত্তরমুছুনভালো লাগলো দাদা।
উত্তরমুছুন- রাজদীপ ভট্টাচার্য
অন্যরকম আঙ্গিকে। কবিতার অভিমুখ একটি প্রাঞ্জল গল্পের দিকে। ভালো লাগল। (গৌতম দে সরকার)
উত্তরমুছুন