সুতপা দেবনাথ




 শালুক রঙা রোদ উঠেছে



বাইরে তাকিয়ে আছি এক মনে
ঝেঁপে মুকুল ধরেছে আমগাছে ভাবছি পিছনে ফেলে আসা অজ্রস বোকামি আর ভুলের কথা,একদুই তিন করে গুনতে গুনতে নাম রাখলাম ভুল নামতা। নামতা গোনার ছল করে ভেসে গেলাম আনন্দ তরীতে,ভুলে যে এতো সুখ ছিল আগে বুঝিনি।পুবদিক এলোমেলো করে হাওয়া দিচ্ছে শুকনো পাতার ছড়াছড়ি,সর্বত্র খড়খড় শব্দ করে ওরা ভেসে ভেসে এলাটিং বেলাটিং খেলছে, আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি "কিসের খবর হইলো_রাজা মশায় একটি বালিকা চাইলো "আমি ওদের নাম দিলাম আনন্দ ঝর্ণা।সুখ আর অসুখ এর মাঝে দোলনার মতো দোলে জীবন। আমরা পাক খাই। আকাশ দেখি চিলের উড়ে যাওয়া দিকচক্রবাল মনে পড়ায় প্রথম প্রেমের মধুর স্মৃতি। আমি তাকে ডাকি সুয়োরানি। মনে সে আসলে আমি ঘুমাতে পারি জিরোতে পারি। খুব কোমল সুয়োরানির মন,এতোটুকু বসার জায়গা দিয়েছি কি মনের তল ছেয়ে গেছে।
বাঁশি তবু বেজে যায়।সূর্য জানে না চাঁদ লুকিয়ে বসে আছে। বাঁশি বাজলে জেগে ওঠে ধনপতির চর। জেগে ওঠে চওড়া রাস্তা আর সরল সিঁথি।দলপতি এসে দখল নিলো চরভূমি, সিঁথি বদলে যায় এখনো আনমনে রাত জাগা পাখি ডাকে,টিটি-টিটিই-। মনের অতলে মুকুল ঝরে পড়ে।



মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য