গৌতম দে সরকার
পুতুলকথা
একঝাঁক বাঁশপাতিয়াকে দেখল হৈমবতী সকালবেলাতেই উঠোনে হুটোপুটি করে খুঁদ খুঁটে খেতে।
কাল মজুমদার বাড়িতে ঢেঁকি ছাটা ধানের কুড়া বেছে দিয়েছিল বলে, কেজি খানেক নতুন চাল দিয়েছিল। সেই চালের কিছু কুড়া ফেলেছিল উঠোনে। এই নতুন চালের ফ্যানভাত খুবই স্বাদের।
হৈমবতীর উপস্থিতি বুঝে ঝুপ্ করে বাঁশপাতিয়ার ঝাঁক উড়ে গেল সবুজ পাতার আড়ালে। আজ একটু ব্যস্ত হৈমবতী। নতুন চালের ভাত চাপিয়ে দিল উনুনে, খেয়ে বের হবে জগদীশ। নৈহাটি থেকে তিস্তা-তোর্ষা ধরবে।
কোচবিহার যাবে। পুতুল নাচ নিয়ে। সঙ্গে যাবে আরও তিনজন। এখন পুতুল নাচের বাজার খুব মন্দা। মেলার ময়দানে সেই জায়গায় এসেছে হিন্দি গানের সাথে মেয়ে ও ছেলেদের উদ্দাম খোলামেলা নাচের বিনোদন। আগে জগদীশদের এটাই একমাত্র জীবিকা ছিল। এর আয়েই সংসার সচ্ছলতায় চলে যেত। হ্যাঁ, তবে মাসের পর মাস বাইরে থাকতে হতো। এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায়। সেখান থেকে অন্য কোথাও। সাথে হৈমবতীও থাকত। এখন সে আর যেতে পারে না। ঘরে অসুস্থ মেয়ে। ওর আট বছর বয়স, মেরুদন্ডে জোর নেই। শুয়েই থাকতে হয়। হসপিটালের ডাক্তার বলেছে, বড় হলে একটু ভাল হতে পারে। তখন বসতে পারবে। উঠে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা কম।
পুতুল নাচের বাজার মন্দা হয়ে যাওয়ার পর ভাগী জমিতে চাষ আবাদ করে জগদীশ। খুব ইচ্ছে, একটি মটর লাগানো ভ্যান কিনবে। সেটাও যে পূর্ণ হবে তার কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। যা আয়, তাই-ই ব্যয়। আরও যে কত কিছুর অভাব রয়েছে। ঘরের চালে পলিথিনের শিট্ বিছানো। সেটার অবস্থাও শতছিন্ন। আকাশ দেখা যায়। বর্ষার আগেই সেটা পাল্টাতে হবে।
তবু সে শিল্পী। তার বাবার হাত ধরেই শেখা এই শিল্প। বহু আগে জগদীশ দেখেছে, বাঁশি সানাই ঢোল মঞ্চেই বাজানো হতো। গান গাওয়া, লিপ দেওয়া সবই পর্দার আড়াল থেকেই হতো। তখন পর্দার আড়ালেই হতো এক জমজমাট নাটক। আর মানুষ দেখতো সুতোয় বাঁধা পুতুলের আঙ্গিক অভিনয়।
বিরাট দল হতো তখন। ভীড়ও হতো খুব। এলাকায় এলাকায় সাড়া পরে যেত। পয়সাও ছিল খুব। আধুনিকতার দাবী মেনে রেকর্ড প্লেয়ার এল। পর্দার আড়ালে যা হতো, তা রেকর্ড প্লেয়ারেই বাজতে থাকল। আরও নান্দনিক, সুন্দর ও আকর্ষণীয় হলো বটে। জগদীশ মনে করে সেই থেকেই এই শিল্পের শেষের শুরু। অনেকের প্রয়োজন আর থাকলো না, দল ছোট হয়ে গেল। এখন তো আরও ছোটো তিন চারজনেই হয়ে যায়। মঞ্চে পুতুলও কম রাখা হয় সেই কারণেই।
অনেকদিন বাদে কোচবিহারে চার পাঁচটি শো-এর বরাত পেয়েছে। জগদীশরা জানে আরও কিছু শো পরে পেয়ে যাবে সেখান থেকে। কপাল ভাল থাকলে বেশিও হতে পারে। এতটা দূর! যাতায়াতের খরচই অনেক, তার ওপর থাকা খাওয়া। যার মাধ্যমে শো পাওয়া তাকেও কিছু দিতে হবে। তারপর হাতে খুব অল্পই থাকে। তবু নেশা, কিছুটা উপরি আয়ও তো বটে। এরই মধ্যে কত কিছু ভেবে রেখেছে হৈমবতী। ঘর ছাইবে এবার টিন দিয়ে, গয়না একটি আছে, বন্ধক থেকে সেইটি ছাড়াবে। আরও কত কী! জগদীশ ভেবেছে একটু সঞ্চয় করবে। মটর ভ্যান কিনতে বেশ কিছু টাকা লাগবে। একবারে কেনা কি করে সম্ভব!
এতকিছু ভাবনার মধ্যেই হাঁড়িতে নতুন চালের ভাত ফুটছে। গন্ধে গেছে ভ'রে। ফ্যানটাকে ঝরাতে নেই। ফ্যানসুদ্ধ গরম ভাতই ঢেলে দিল জগদীশের পাতে। সাথে ধনিয়া পাতা লঙ্কা যোগে বাঁটা।
এরপর হৈমবতী রুটি করে দেবে সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সঙ্গে আলুভাজা। এমনি ভেবে রেখেছে। এই বরাত পাওয়ার পর জগদীশ পুতুলগুলোতে নতুন রঙে এঁকেছে, পুরনো কাপড় কেটে পুতুলের নতুন পোশাক বানিয়েছে। পুতুলের কৃষ্ণ সাজ, রাধা সাজ। নতুন পালা সাজিয়ে রপ্ত করে নিয়েছে দু একবার। সবই হাতের খেলা, মাথার খেলাও বটে কিছুটা। সবসময় পয়সা দেখলে হয় না, পাবলিককে মজা দেওয়া, হৃদয়গ্রাহী করে তোলার মধ্যেই আনন্দ।
খাওয়া শেষে গুছিয়ে নিয়েছে ব্যাগ। পুতুল ও পুতুলের সরঞ্জাম। বাকিরাও চলে আসবে সময় মতো।
হৈমবতী আজ খুব আনন্দে ছিল সকাল থেকেই। মন খারাপ হয়ে গেল জগদীশের ফোনটা বেজে ওঠার পর। যার সাথে কথা বলে শো-এর বরাত ঠিক হয়েছিল সে ফোন করে জানাল, কোচবিহারে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির কারণে শো আপাতত স্থগিত। তারা যেন এখন না এসে, কিছুদিন পরেই আসে।
ভেঙ্গে যাওয়া কাঁচের জানালার মতো ঝরে পড়ল প্রত্যাশা, আনন্দ। খুশির আবহটা মুহুর্তেই ম্লান হয়ে গেল।
সংসারের টুকিটাকি কাজ সেরে নিল নিঃশব্দে। তারপর চলে এলো মজুমদার বাড়িতে। ওদের উঠোন জুড়ে এখন ধানের ঢাঁই। জন মুজুরদের ব্যস্ততা। কেউ মাঠে ধান কাটছে, কেউ ধান ঝাড়ছে, কেউ মাথায় করে নিয়ে আসছে। আরও কত্ত কাজ। সেখানে গেলে কিছু না কিছু ফাই ফরমাইসি জুটেও যায়। তাছাড়া মজুমদার বাড়ির বৌয়েরা খুব ভাল। তারা মাঝে মধ্যেই হৈমবতীকে এটা সেটাও দেয়।
জগদীশ আর কী করে। কোচবিহার যাওয়া হলো না। শেষ মুহুর্তে বাতিল হয়ে গেল। মনটা খারাপ। যাদের সাথে যাওয়ার কথা ছিল, তারাও এসে পড়েছিল। সবারই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল বলে আফসোস।
ওরা চলে যাবার পর সারাদিনই মেয়ের কাছেই ছিল জগদীশ। অসুস্থ মেয়েটার সাথে কারও না কারও থাকতে হয়। আজ মেয়ের সাথে অনেক কথা হলো জগদীশের। বাবা চলে যাবে বলে ওর খুব মন খারাপ হচ্ছিল। ভয় হচ্ছিল অজানা। বাবার মুখখানি বড় মায়াময়। ভীষণ ভাবে চেষ্টা করলো বাবার গলাটা জড়িয়ে ধরে। পারলো না। এইটুকু চেষ্টা করেই হাঁফিয়ে পড়ল ও। বাবাও ওকে শুইয়ে দিল আবার। তারপর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকল। দু চোখের কোণ বেয়ে নিঃশব্দ অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়তে থাকল।
"কাঁদছিস যে!"
জগদীশের একথার উত্তর সে কিভাবে দেবে! তাই অন্য কথাই বললো,
"বাবা, আমি কখনো পুতুল নাচ দেখি নি।"
বিষন্ন হাসি জগদীশের মুখে।
"হ্যাঁ, দেখাব কোনো সময়। কাছাকাছি কোথাও শো পেলে তোকেও সাথে করে নিয়ে যাব।"
হাসি ফুটল মেয়ের মুখে। তারপরেই মিলিয়ে গেল সেই হাসি বিষন্নতায়।
"আমি কি শুয়ে শুয়ে যাব? ইস্ সবাই কী ভাববে। থাক বাবা, যেদিন আমি হাঁটতে পারবো সেইদিনই যাব।"
কান্নাটা উঠে এলো এবার জগদীশের গলায়। প্রাণপণ তার বাইরের প্রকাশটি আটকাতে চাইছে। তবু ভিজে উঠল চোখ। এইটুকু মেয়ের কাছেও লুকোতে পারলো না। খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে মেয়ে জানতে চাইল,
"কী হলো বাবা? তোমার চোখে জল কেন?"
মাথা নেড়ে জগদীশ বোঝাতে চাইল, কিছু না। মেয়ে বললো,
"আমি হাঁটতে পারবো বাবা। তুমি দেখো।"
এরপর জগদীশ দুহাতে মেয়ের গাল ধরে কপালে চুমু দিয়ে বললো, তাই যেন হয় সোনা।
হৈমবতীর অনুপস্থিতিতে, ছিদ্রময় পলিথিনে ছাওয়া ঘরে কন্যা ও পিতার এক অদ্ভুত নাটকীয় মুহুর্ত তৈরি হলো। দুজনেই হাপুস নয়নে কেঁদে যেন আরও নিঃশ্ব হলো।
পলিথিনের ফুটিফাটা দিয়ে মেয়ে আকাশ দেখে। দিনে সময়ের পার্থক্য বোঝে ওইটুকু আকাশ দেখেই। রাতে কখনোও ওই ছিদ্র পথের সরলরেখায় একটি দুটি নক্ষত্র আসে। দূরবর্তী সেই নক্ষত্রকে দেখে কত কিছু কল্পনা সীমা ছাড়িয়ে যায়। হৈমবতী ঘরে এলো সন্ধ্যা পেরিয়ে। এসেই মেয়েকে বলল,
"তোর বাবা আছে, তাই কাজটা সেরেই এলাম। বাব্বা কত্ত কাজ এখন ওদের। ধান উঠছে না, সারা বাড়ি ছড়িয়ে আছে সব। অত সুন্দর সুন্দর বৌ-রাও পর্যন্ত কাজে হাত লাগিয়েছে।"
তারপর জগদীশের দিকে তাকিয়ে বললো, মজুমদার বাবু ডেকে আজ তিনশ টাকা দিলেন। বললে, কালও এসো, দেখছো তো কত কাজ। নিজের বাড়ির মতোই কোরো।
টাকাটা পেয়ে খুব খুশি হৈমবতী। সকালের দুঃখটা কিছুটা চাপা পড়েছে। কলতলায় গেল স্নান করতে। এসে ভাত বসাবে। সকালের রান্নাই খেয়েছে বাপ মেয়েতে। হৈমবতী খেয়েছে ওদের বাড়িতেই। মজুমদারদের সেজ বৌয়ের আবার সব দিকেই নজর। পাকশালায় ডেকে নিয়ে গিয়ে খাইয়েছে ওকে। ফেরার পথে রাস্তার নির্জন বাঁকটায় এসে অজানা ইশ্বরের উদ্দেশ্য বলেছে, মজুমদাররা আরও ধনী হোক!
রাতে ঘুম আসছিল না হৈমবতীর অনেক্ক্ষণ। ফুটিফাটা দিয়ে আলোকিত আকাশটি বিন্দু বিন্দু দেখা যাচ্ছে। হৈমবতী বুঝলো চাঁদ উঠেছে আকাশে। পাশে মেয়ে, তারও পরে জগদীশ। অসুস্থ মেয়ে পড়ে যেতে পারে ভেবেই, মেয়েকে মাঝখানে রেখেই ঘুমোয় ওরা। এখন তিনজনের এই সংসার, একটি চাকাহীন কাঠের গাড়িকে ঠেলে নিয়ে যাওয়ার মতোই। লক্ষ্য থাকলেও বাস্তবায়নের রূপরেখা নেই। কোনোরকম দিন গুজরান করা। এখানে আনন্দ স্থায়ী হয় না। স্বপ্ন নেমে আসে না কখনোই শিয়রের কাছে।
কখন ঘুমিয়ে পড়েছিল হৈমবতী। ঘুমের ঘোরের মধ্যেই শুনলো, বারান্দার ঘরে ফিসফাস কথার শব্দ।
ওখানে পুতুলগুলো রাখে জগদীশ। কেউ কি সেগুলো নিতেই এলো!
উঠে চোখ রাখল সেই ঘরে হৈমবতী। দুটি ঘরের মধ্যবর্তী অংশে কোনো বিভাজিকা নেই। কিছু জিনিস পত্র রাখা সেখানে। এ ঘর থেকে ও ঘরে ভিতর দিয়েই যাওয়া যায়। সেখানে চোখ রেখে হৈমবতীর চোখ ছানাবরা। অবাক বিস্ময়ে ঘোর লাগা চোখে সে চুপ করে বসে থাকল। দেখল, পুতুলেরা সে ঘরের চৌকিতে বসে গল্প করছে। পুতুল কৃষ্ণ, পুতুল রাধা, পুতুল ব্রহ্মাদেব। বিছানায় বসেই দুহাত জূড়ে প্রণাম করলো তাদের।
হৈমবতী স্পষ্ট শুনল, শ্রীরাধিকা বললো, "অনেকদিন পালা নেই কোথাও এভাবে ঘরবন্দি জীবন একঘেয়ে হয়ে এলো যে।"
"মানুষের এখন মন অন্য দিকে সরে গেছে। পুতুল নাচের গল্প এখন কেউ আর শুনতে চায় না।" কৃষ্ণ বলল।
শুনে শ্রীরাধিকা বলল, "ঠিক। মানুষ এখন হিন্দি গানের সঙ্গে নাচ দেখতেই বেশি মশগুল। এই মানুষটির দারিদ্রতা তো আর চোখে দেখা যায় না সখা?"
কৃষ্ণ বললো, "সত্যি। কী করা যায় বলো তো সখি?"
"জানি না। তার মেয়েটি চির অসুস্থ। ঘরে তীব্র অভাব। সর্বপরি তিনি একজন শিল্পী মানুষ!"
কৃষ্ণ ঘুরল ব্রহ্মাদেবের দিকে।
"গুরুদেব আপনিই বিধান দিন। এমতাবস্থায় কি করা উচিৎ?"
হৈমবতী এতক্ষণ অবাক হচ্ছিল পুতুলের কথা বলা দেখে। এখন আরও অবাক হচ্ছে তাদের কথা শুনে। কী বলছে গো তারা! এ কি সত্যি! বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থাকল সেই দিকে।
সদাহাস্যময় ব্রহ্মাদেব শ্রীকৃষ্ণের কথা শুনে একটু ভাবলেন। তারপর বললেন, "প্রথমে এই জগদীশের সংসারের অভাব দূর করতে হবে। তাকে আমি এক কলস মোহর দিতে পারি।"
এ কী শুনলো হৈমবতী! ঠিক শুনলো তো কানে!
কৃষ্ণ প্রণাম করল ব্রহ্মাদেবকে। তারপর দরজার ছিটকিনি খুলে বেরিয়ে গেল কোথায়। কিছুক্ষণ পরে সেই মোহর ভর্তি কলস নিয়ে এসে হাজির। কলসটি তারা জগদীশ যেখানে শুয়ে আছে, সেখানেই চৌকির নীচে রাখল।
ব্রহ্মাদেব এবার শ্রীরাধিকার দিকে চাইলেন, "রাধিকা মা, তোমার ইচ্ছেটা শুনি এবার?"
শ্রীরাধিকা বললো, "আলাদা করে কিছু নেই গুরুদেব। যা হচ্ছে খুবই ভাল হচ্ছে। আমি খুশি। আর একটি ছোট্ট সাধ আছে।"
ব্রহ্মাদেব জানতে চাইলেন, "বলো বলো। বলে ফেলো।"
শ্রীরাধিকা বললো, "হৈমবতীর সব হারিয়ে একটাই গহনা তার এখনও আছে। ওইটি বন্ধকে রাখা আছে।সেইটি যদি ফিরিয়ে দেওয়া যেত, খুব খুশি হতো মেয়েটা।"
ব্রহ্মাদেব বললেন, "বেশ, অনুরূপ গহনাটি আমি ফিরিয়ে দিতে পারি।"
হৈমবতী দেখল, ব্রহ্মাদেব তার পকেট থেকে একটি হার শ্রীরাধিকার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, "দেখো তো এই রকমই কিনা?"
শ্রীরাধিকা বলবে কী! হৈমবতী কি তার নিজের হার, চেনে না? সেটাই তো!
সেই হারটি ব্রহ্মাদেবের হাত থেকে নিয়ে, শ্রীরাধিকা হৈমবতীর শিয়রের কাছে এসে রেখে গেল। আর ঠিক সেই মুহুর্তেই হৈমবতী সেটা হাতে নিয়ে দেখার চেষ্টা করতেই ঘুমটা ভেঙে গেল।
বাস্তব আর স্বপ্নের ফারাকটা চেতনায় প্রকট হতেই ভাললাগার ঘোর থেকে মন খারাপে আচ্ছন্ন হতে গিয়েই হৈমবতী দেখল, মাথার ওপর পলিথিনের অসংখ্য ফুটিফাটা দিয়ে আলোকিত আকাশটাকে। সারা ঘরে বিন্দু বিন্দু জোছনা মায়াময় আলপনা এঁকে জ্বল জ্বল করছে।
পাশে গভীর নিদ্রা মগ্ন মেয়ে ও তার পিতা পুতুল শিল্পী জগদীশ।
খুব ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন