সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

উজান উপাধ্যায়


ঠিক এখন প্রেম


ঠিক এখন প্রেম লিখতে গেলে বুকের বাঁদিকে কেউ বাজিয়ে উঠবেই স্পেনিশ গীটার।

ঠিক এখন খোলা ছাদে শুয়ে  আছে ক্লান্ত কোনও তারা।  যেন কেউ ওর সাথে ধস্তাধস্তি করে গেছে সারা সন্ধে জুড়ে। হয়তো সম্মতি ছিল তারাটিরও।

ভালোবাসে ভেবে নিজেকে ছেড়েছে কারও হাতে!

হরিণী যেভাবে অরণ্যে ছেড়ে রাখে তুলতুলে মন , হৃদয়ের সবদিকে সেভাবেই একটি অবুঝ
নদী বিবসনা হয় , পাহাড়ে ঢুকতে চায় মেঘ নিজেকে উজাড় করে দিয়ে।

আমাদের আকাশে যে ঘর, মেঘেদের যেসব আসবাব -যেখানে মরেছে রোজ ঘুঙুরের ধ্বনি ভেঙে বোকা এক মেয়ে -

সেখানে জটিল অংক মূর্খ ধারাপাতে, সেখানে নিবিড় সাঁকো রাখা শূন্যতিভ বাঁকে  -

সেখানেই রাত জেগে শীতলক্ষ্যা পাতালের দুফুট গভীরে মৃত্তিকা আঁকে।

হয়তো এখানে প্রেম গ্রামের রাস্তা ধরে ঝাউপাতা মুড়ে আনা ভেজা আড়বাঁশি বাজিয়ে ঢুকেছে এই চালাক শহরে।

যেখানে বিছানা নড়ে বিনা চুম্বনে, যেখানে অজস্র দাগ এলোমেলো ঝাপসা ফেরারি আলিঙ্গনে।

উড়ে যাচ্ছে অবাধ্য  প্রেমিকার কপালের টিপ,  জোর করে জলে সেঁটে রাখা প্রেমিকের অলৌকিক চুম্বনে।

বুকের বাঁদিকে সাপ বিলাসী লালা ছড়ায় নক্ষত্র বিবরে, কেঁদে কেঁদে ভাসমান নৌকাটি গোপনে সমর্পণ রাখে বিসমিল্লাহ খানে।

নহবৎ শুভদৃষ্টি পুড়েছে আগুনে, ভালোবাসা তবুও দূরের কোনও মাঠে এক্কা দোক্কায়,  মালঞ্চ মাথা কুটে মরেছে সোপানে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

মঞ্জরী গোস্বামী