মেঘনা চট্টোপাধ্যায়



নবান্ন ✵✵✵✵✵
হে কবির বউ,
সুখ ভারি আপাত, অলীক !
তোমার মর্মগৃহ, মর্মরের মাল্যবান বেদী,
ভেঙ্গে যায় , ধুলো হয়, উড়ে যায় শীতের হাওয়ায়।

ভাঁড়ারে উথলে ওঠে কবির সম্পদ –
ক্ষেত হতে উপড়ে আনা মুকুলিত বিশ্বাসের ডগা,
নিদাগ বাসনা চারা, মখমলি বিস্ময়ের ফুল।
যত্ন করে রেঁধে দাও, বেড়ে দাও যৌতুকের কাঁসার থালায়।

শোনো হে কবির বউ,
সুখ অতি প্রাচীনা পতিতা।
কবিতার বর্ণগুলি ছন্দোবদ্ধ আর্তনাদ তার।

শূন্য হাতে কে এসেছে, পূর্ণ বুকে কেবা ফিরে যায় –
সে হিসেব রাখে না সে আর।
গৃহস্থ-উঠোন থেকে বহুদূরে, অগ্নিদগ্ধ লতাকুঞ্জে বসে
অমরত্ব উপাসনা করে।

অক্ষরদংশনে তার চিরমুক্তি,
তিলে তিলে ব্যধি সমর্পণ,
তিলে তিলে অস্থি হয়ে যাওয়া,
তিলে তিলে রোদেলা নির্বাণ।

হে কবির বউ, হে কবির অপুষ্ট প্রেমিকা –
নিভন্ত ছাইয়ের পাশে নিরুপায় কুকুরকুণ্ডলী
তোমাকে তো মানায় না আর।

আজ এই নবান্নের দিনে,
তোমার ঘরেও হোক নক্সীপিঠা, সুগন্ধি পায়েস।
আঙিনায় বয়ে যাক আনমনা বাতাবী বাতাস।
আরোগ্য উৎসবে আজ একটিবার রক্তকরবী হয়ে দেখো.........

মন্তব্যসমূহ

  1. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  2. ভালো লাগলো মেঘনা। নক্সী কাঁথার পর নক্সী পিঠেও এল। সুন্দর ব্যবহার।

    উত্তরমুছুন
  3. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

    উত্তরমুছুন
  4. বুকের ভিতর যেন কেমন করে উঠলো....খুব ভালো লাগলো দিদি

    উত্তরমুছুন
  5. আহা দুখজাগানিয়া সংসারের কাব্যচিত্র। স্পৃষ্ট করল আমাকে।

    উত্তরমুছুন
  6. যে কবিতা ছুঁয়ে যায়

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য