সুবিৎ ব্যানার্জী
দেশ
-------
বুকের ভেতর নড়া
চড়া টের পাই। আশ্চর্য তুমি হয়তো তখন ঘুমোচ্ছ বালিশে মুখ গুঁজে। অথবা জানলার
ধারে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছ। নয়তো নদী আর তার ওপরের আকাশ। সে গল্প বলেছ অনেক
বার। যে ছ কোণা ঘরটায় আমায় আটকে দিয়েছ তার সব জানলাই খোলা। জলবায়ু কোণা
কুনি পেরিয়ে যাচ্ছে আমায়। ছুঁয়ে যাচ্ছে , হয়তো চুলটা একটু উড়িয়ে দিচ্ছে ডান
দিক থেকে বাঁয়ে। একটা রেল লাইন নেমে গ্যাছে সেখান থেকে । তার দুই রেল ধরে
আমরা একপা দুপা তিনপা করেছি কত ভোরে। আর একটা নদী সারা জীবন ধরে খুঁজছি।
যার পাশে আমার ঘর বানাব। বাদল দিনে আর শীত ভোরে আমাকে ভিজিয়ে দেবে ঘন
কুয়াশার আদর। একদিন আমার এই ছ কোণা ঘরটায় যার মাথাটা গম্বুজের মত , আমি
খুলে দেব। যেন পদী পিসির বর্মী বাক্সের ঢাকা আর তুমি নেমে আসবে রোপ ওয়ে
চড়ে। যেমন তুমি স্বপ্ন দেখ আজকাল। তার পর দুজনেই ডানা ঝাপটিয়ে উড়ান শুরু
করব। পেরিয়ে যাব ট্রেন লাইন , নদী , কাঁটাতারের সীমানা নির্দেশক সব রেখা ,
জমির আল ডিঙতে ডিঙতে আমরা পেরব মহাদেশ। আসলে তো দেশ মানে মন , আসলে তো একটা
সময় কেই বলতে পারি স্বদেশ , রুদ্রলীনা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন