দেবার্ঘ্য সেন


(১)

মেহেরবানি

একপিঠে মৃত্যুর মেহেরবানি,
আরেক পিঠে সৃষ্টির গোঁড়ামি ভাঙা রক্ত।
আমার ঘুম না আসা চোখ জীবন্ত জীবাশ্মের সাথে সাপ-লুডো খেলতে খেলতে 
৯৭ এর ঘর থেকে ধান্দাবাজ সাপের শরীর পিছলে সরাসরি ১৩ এ দু'দুবার নেমে এসেছিল।

ডুবুরি

প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে বিভিন্ন রঙিন মাছ,
সুতোয় লিখছিল সব না কবিতার রেত। মই খুঁজছিল ডুবুরি।
মৎস্যচাষীর ডিমের লোভ সামলানো জলে হঠাৎ ফেনা
আর সতর্কবার্তা দুটোই জারি হওয়ার আবহাওয়ায়
ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে তা ধরা পড়েনি।


নীলমাছ

মস্তিষ্কে মৃত্যুচিন্তা জাঁকিয়ে বসলে, কবিতার পারদ নিম্নগামী হয়
এই তত্ত্ব জানিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। তখন আমি মস্তিষ্ককে কোথায় সরানো যায়, সেইসব নিয়ে রীতিমতো নীল মাছ।
আঁশের ওপর ত্রিপার্শ্ব কাঁচ ধরে রাখছি নোনাজলের ঝাঁকুনি খেতে খেতে। 

(২)

স্ট্রিট লাইট

ছায়ার কাছে যেতেই
ছায়া ঠিক যেমনভাবে পালায়।
তেমনভাবেই নির্নিগড় সকালগুলো
আমার সাথে দেখা করেনা আর।

রোজনামচার আশেপাশে
ম্যাপেল পাতাদের বুকে
ঘাস ভেজা শিশির, এঁকে রাখে
তার নিজের প্রমাণটুকু।

এক বেকারত্ব জীবনের দিগন্তরেখা ধরে
কুয়াশারা অস্পষ্ট করে দেয়
শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত মসৃণ নাগরদোলা।

অবক্ষেপে,
নির্ঋতি আলো জ্বলে রাতে ;
স্ট্রিট -বায়ু -ছাদে।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য