রাজদীপ ভট্টাচার্য


কুড়ি বছরের কবিতা

(১)
এখন কি আর হাসো তেমন করে? 
বেতসলতা, লজ্জাভীরু পথ
তোমার ঠোঁটে থমকে দাঁড়ায় ঘড়ি
এবার বুঝি তাকাবে এই দিকে।
আমার খালি গাল চুলকোয়, নাক চুলকোয়
তোমার বুকে পড়ার বইএর ব্যাগ
বই-খাতা সব পেখম মেলে ওড়ে
দেখাও আমায়! শিউলি ফুল কই?

ফুল ফুটে ওই গাছ গিয়েছে ভরে
বই-খাতা সব পেখম মেলে ওড়ে!

(২)
তখন তোমার জীবন বয়ে যায়
পায়ে নূপুর ঝমঝমিয়ে বাজে
চলার পথে ক্রিসেনথিমাম ফোটে
উলুধ্বনি-শঙ্খ-বিবশ-দিন।
আমিও বেশ লড়াই করছি, লড়াই
আমার একার, দুপুর শুনশান
তুমি কোথায়? খুঁজব কোনখানে
পিছন ফেরো, ক্লাস নাইন, পড়াই!

ফেরাবো কি! তালপাতার সিপাই
কি দিন গেছে, ভাবলে হাসি পায়!

(৩)
ইতিমধ্যে বছর কুড়ি পার
কবি জানতেন এটাই প্রাইম টাইম
সকল সত্যি কবিরা কি করে জানে?
ফেসবুক ছাড়া এ পৃথিবী দুর্গম।
তুমিও বেড়েছ আড়ে ও বহরে - আড়ে
আমারও দুব্বো গজিয়েছে হাড়ে হাড়ে
কোলকাতা ছেড়ে বহুদূর নির্জনে
উঠছ ভাসছ জমাট ডিপ্রেশনে 
আমিতো রয়েছি শীতল গাছের পাশে
তোমারও নৌকা সমুদ্রে যেতে চায়

ঘর ভরা শীত, বসন্ত জেগে দ্বারে
সব নৌকা কি সমুদ্রে যেতে পারে!



মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য