পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নিলয় নন্দী, অসিত মণ্ডল

ছবি
শোঁ শব্দে রানওয়েতে নেমে পড়ছে যুদ্ধবিমান সিন্থেটিক ঘাসে মরশুমি ফুল... দূরে কোথাও উবের ডেকে নিচ্ছে বাসন্তিকা হিম পড়ছে বাসস্টপে... হিংসা বা হেমলক, স্থিরচোখে দেখে যান তথাগত। বিদ্রুপকণা, গ্রাহ্য করেন না তিনি... অপাংক্তেয় কেউ পাশে এসে দাঁড়ালে বলে ওঠেন "একটা কবিতা পড়ে শোনাবে আজ?" কবিতা শোনাতে আসে বৃদ্ধ ক্লোরোফিল। টুপটাপ ঝরে পড়ে মেপলের পাতা। বেজে ওঠে মহব্বতের ভায়োলিন। । দুটো ট্রেন দুদিকে ছিঁড়ে যায়। স্নানঘরে পুরুষালী বুকে লেখা হয় বিচ্ছেদের কবিতা। বেণুবনে বংশীধর ভেক, বৃথাই কালক্ষেপ। তবু প্রেম আসে। পথ চিনে ফিরে আসে পুরনো কোকিল। মেঘ, তোমার জন্য আসন পেতে রাখি। স্থিরচিত্রে জুড়ে দিই ডানা। জানালা বা চাঁদ অভিমুখ। চাঁদ চোখে চুমু খেয়ে শুরু হয় বাতিঘর বৈঠক। কবিতার খাতা থেকে ঝরে পড়ে অতিরিক্ত মেদ। ছোটগল্প লেখা হয়। ছবি তোলে জনান্তিকে কেউ। গদ্যে মুক্তোর মালা গাঁথে মুক্তমন। বসন্ত নেমে আসে ব্লগজিনে। লগ্নজিতাও পর্ণমোচী হয়। আর বৃথা নয় দিন গোনা....

অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
নেগেটিভ-দুই গোলাপকাঁটার শরে                   তোমাদের এ শহরে                   নেমে আসে ছায়া-সিলিউট  সন্ধের সিরিয়ালে                      ঝুপসি গাছের ডালে                    ফোঁপায় গন্নাকাটা ভূত  শূন্য খাদের কাছে           দ্যাখো আজও হেলে আছে                   বোবা জীপ যাত্রীবিহীন  ক্ষতমুখ... পাংচার...                আর সেই ড্রাইভার -                    যার নুলো হাতে গ্যাংগ্রিন দুর্ঘটনা সীমায়                         যারা যেতে ভয় পায়                    শুধু তারা কান রেখে শোনে ...

অদিতি বসুরায়

ছবি
সাদা শাড়ি শরীর স্নানের পর, সাদা শাড়ি এতকাল একে কেয়ূরে-কঙ্কনে সাজিয়েছিল ওরা। আমারও কতদিন কনকলতার খোঁজ ছিল কমলালেবু, ক্রিমসনরেড, ল্যাপিস লাজুলির জন্য মরণ ছিল - এখন উপাচার নেই। ধূপধূনো নেই। ফুলগাছ কেনার পয়সা ফুরিয়েছে - শরীরের স্নান শেষ। সামনে পলাশের দিন - বনপথ - এলোমেলো সেলফোন প্রার্থনার কাল পেরিয়ে, এবার এগোই তাহলে...

সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়

ছবি
হিল-স্টেশন প্রতিটি হিল-স্টেশনেই একটা লাভার্স -পয়েন্ট থাকে আর, তার খুব কাছেই থাকে একটা সুইসাইড -পয়েন্ট চারপাশে অর্কিড, জুনিপার , ধ্যানস্থ মেঘ নীচে তাকালে চোখে পড়ে বন্য ঝর্ণার জলে ভেসে যাচ্ছে কবেকার মুখ ... সূর্যাস্তের ঠিক আগে যারা লাভার্স-পয়েন্টে যায় তারা সুইসাইড-পয়েন্টেও চলে যেতে পারে মাঝখানে হাওয়া আর পাখিদের সংসার বার্চ গাছের ডালে বসে কেউ মাউথ-অর্গ্যান বাজায় মনাস্টারির ঘন্টা শোনা যায় কিছুদূর থেকে একদা যে আশ্চর্য চাঁদ উঠেছিল জানলায় পাক খেতে খেতে এ সময় নীচে গড়িয়ে পড়ে প্রতিটি হিল-স্টেশন, প্রতিটি ভ্রমণ এইভাবে লাভার্স-পয়েন্ট থেকে সুইসাইড-পয়েন্ট অবধি যেতে যেতে দুঃখিত হয়, থমকে দাঁড়ায় , কিন্তু ফিরতে পারেনা কিছুতেই ...

তুষ্টি ভট্টাচার্য্য

ছবি
ম্যানিকুইন শুধু একটিই পাতা বেঁচেছিল নিটোল, সবুজ, চকচকে ত্বকে কোন মডেলের মতো ছিমছাম ছিল ও। অথচ দ্যাখ, ম্যানিকুইনের মতো দাঁড়িয়ে এখন ও কখন আর কে যে ওকে শোকেসে সাজিয়ে দিয়ে গেল… পুড়ে যাওয়ার কোন গন্ধ ছিল না ছিমছাম গড়নে টোল পড়েনি রাস্তার ধুলো থেকে বাঁচতে ওর ওপরে কে যেন লাগিয়েছে ওয়াক্স কোটিং গড়নে কোন খুঁত ছিল না রাস্তার ওপাশে ধুলোবালি মাখা ঝাঁকড়া গাছে একটিই পাখি একটিবার মাত্র শিষ দিয়ে উঠল নিখুঁত সুরে। মোম গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে কি ঝরে গেল কোথাও? স্বচ্ছ কাচের আড়ালে এক ফোঁটা শিশির কি জমেছে? না, না ও তো বাতানুকূল…

সৌম্যজিৎ আচার্য্য

ছবি
এ শহর থেকে একটা রাস্তা... এ শহর থেকে একটা রাস্তা সমুদ্রের নীচে চলে গেছে হাঁটলে সে রাস্তায় কিছু নোনা হাওয়া পাবে হাওয়া তোমার চুল ঘেঁটে দেবে,উড়িয়ে নেবে কাটা দাগ তুমি বুঝতে পারবে,তোমার চোখ উড়তে উড়তে ওই জলে গিয়ে পড়েছে ঝিনুক ভেবে তোমার কানকে তুলে নিচ্ছে কেউ তোমার আঙুলগুলো হাওয়ায়  উড়ে যাবে সমুদ্র অশ্বের মতো পায়ের পাতা ডুববে জলের গভীরে... এ শহর থেকে একটা রাস্তা সমুদ্রের নীচে চলে গেছে হাঁটতে হাঁটতে সে রাস্তার শেষে গিয়ে দেখবে তুমি আসলে একটা বিয়েবাড়ি সেরে ফিরেছ প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসতে এখনও এক জন্ম বাকি...

কাবেরী রায়চৌধুরী

ছবি
ইথার ভালোবাসা সেও তো এসেছে !  এভাবেই আসে বুঝি কেউ! অসহ্য গ্রীষ্মের মাঝে অকস্মাৎ মেঘের হানা জলভরা মেঘ ; নিজেই নিজের মধ্যেই ছিল আনমনা কে যেন ডেকেছিল!  কে যেন!   হায়!  কতকিছুই ঘটে যার পূর্বাভাষ  আগে ছিলনা! তুমিও এসেছ!  এভাবেও তবে আসা যায়! এভাবে ও দেখা হয়!  অথচ দেখাই তো হয়নি চেনাশোনা?  তাও না!   অথচ বাতাসে ছড়িয়ে আছে নানাবিধ জল্পনা!   হায়!  কত কিছুই ঘটে যার পূর্বাভাষ আগে ছিলনা! অথচ কতজন আসে যায়!  ফেলে যায় পালক ভালোবাসার ; আমি তো কুড়িয়েও দেখিনি ধূলোর বাতাসে উড়ে গেছে হিসেবী পালক কুচি হিসেব ও রাখিনি  অযথা সেইসব মিছিমিছি! তুমি আসবে জেনে বিশ্বাস করো তেমনভাবে এখনো কাউকেই ভালোবাসিনি!

নিলয় নন্দী

ছবি
এখনো নামকরণ বাকি থেকে গেছে আপনার শ্রেষ্ঠ কবিতা কবে বেরোবে? যে বলেছিল, আমি তার পিছু পিছু চলেছি। গন্তব্য গলিমুখ। চায়ের দোকান আর গুগল ম্যাপ। এদিকে রাখী বুটিক, পেরিয়ে আবার বাঁদিকে। প্রচ্ছদে তখন হিরণ মিত্রের আঁকিবুকি... বাদামী পেপারব্যাক। "শ্রেষ্ঠ কবিতা পেপারব্যাকে!! অসহ্য। " এক বিপজ্জনক নিঃসঙ্গতায় পড়লাম। আমি কোনদিন রাজনৈতিক কবিতা লিখিনি। আমি কোনদিন বৈষয়িক কবিতাও লিখিনি। আমি কোনদিন প্রেমের কবিতা.....? দেরি হয়ে যাচ্ছে স্পর্ধার কাছাকাছি পৌঁছতে পাণ্ডুলিপি লিখে ফেলছে বাকি সকলেই অলিগলি মিলনমেলা ২৩৩ নং বুক স্টল কে এসে দাঁড়ায় ঋজুরেখ, বিনায়ক নাকি চিলেকোঠা থেকে ভাস্করের প্রাপ্তি সংবাদ! গাঁজাতে টান মেরে কেউ বাড়িটা দেখিয়ে দেয় বারান্দার তারে বাদামী পাজামা তাতেও মানচিত্র। জাগরণ রতিবর্ণ। 'কি মাষ্টার, খবরটবর ভালো তো? হঠাৎ এদিকে?" শ্রেষ্ঠ কবিতার খবর কারো কাছে পৌঁছয় না আর। এখনো নামকরণ বাকি থেকে গেছে...

অসিত মণ্ডল

ছবি
অপারগ গাছ যা পারে আমি তা পারি না অথবা আমার কোন বন্ধু বাতাস নেই যে শীত ফুরোলে দায়িত্বশীল জল্লাদের মত বিষাদ রঙের মরা পাতাগুলো ঝরিয়ে দেবে আমি পর্ণমোচী গাছের নির্বিবাদী চোখে দেখে যাবো আত্মজের সৎকার জল যা পারে আমি তা পারি না অথবা আমার কোন অন্তর্গত স্রোত নেই যে অবাঞ্ছিত খড়কুটোর  মত ভাসিয়ে দেবে  বছর ভর  জমে থাকা উপেক্ষার ক্ষতচিহ্ন আমি সহনশীল নদীর মত ভাবলেশহীন সয়ে যাবো আমার প্রতি রাতের রক্তক্ষরণ আসলে আমি এক অপারগ যে ভালোবাসার খেলা ঘরবাড়ি চুরমার করে অভিনয়ের সাজঘর গড়ে নিতে পারলো না

মেঘনা চট্টোপাধ্যায়

ছবি
নবান্ন ✵✵✵✵✵ হে কবির বউ, সুখ ভারি আপাত, অলীক ! তোমার মর্মগৃহ, মর্মরের মাল্যবান বেদী, ভেঙ্গে যায় , ধুলো হয়, উড়ে যায় শীতের হাওয়ায়। ভাঁড়ারে উথলে ওঠে কবির সম্পদ – ক্ষেত হতে উপড়ে আনা মুকুলিত বিশ্বাসের ডগা, নিদাগ বাসনা চারা, মখমলি বিস্ময়ের ফুল। যত্ন করে রেঁধে দাও, বেড়ে দাও যৌতুকের কাঁসার থালায়। শোনো হে কবির বউ, সুখ অতি প্রাচীনা পতিতা। কবিতার বর্ণগুলি ছন্দোবদ্ধ আর্তনাদ তার। শূন্য হাতে কে এসেছে, পূর্ণ বুকে কেবা ফিরে যায় – সে হিসেব রাখে না সে আর। গৃহস্থ-উঠোন থেকে বহুদূরে, অগ্নিদগ্ধ লতাকুঞ্জে বসে অমরত্ব উপাসনা করে। অক্ষরদংশনে তার চিরমুক্তি, তিলে তিলে ব্যধি সমর্পণ, তিলে তিলে অস্থি হয়ে যাওয়া, তিলে তিলে রোদেলা নির্বাণ। হে কবির বউ, হে কবির অপুষ্ট প্রেমিকা – নিভন্ত ছাইয়ের পাশে নিরুপায় কুকুরকুণ্ডলী তোমাকে তো মানায় না আর। আজ এই নবান্নের দিনে, তোমার ঘরেও হোক নক্সীপিঠা, সুগন্ধি পায়েস। আঙিনায় বয়ে যাক আনমনা বাতাবী বাতাস। আরোগ্য উৎসবে আজ একটিবার রক্তকরবী হয়ে দেখো.........

শমিত মণ্ডল

ছবি
আনন্দসম্ভব এ রাত আমি চিনি হেমন্তের পোকা মাকড়দের। আমি শুনি তাদের গান। শীতের দীর্ঘ বিরতির আগে এই তবে রাতের রতিগান? ঝিমধরা চাঁদ আর নেশারু সেগুনমঞ্জরি যেয়ো না রজনী আজি লয়ে তারা দলে---- বলে রাত উপযোগী গিটকিরি ধরেছে। আনন্দসম্ভব এ রাতে ফুটেছে নাগচম্পার ফুল আজ পতঙ্গেরা গান গাইবে না তা কী হয়! জোনাকিরা জ্বলে- নেভে, মাটি ঘেঁষে নেমে আসে চাঁদ------

চন্দ্রাণী বসু

ছবি
গাছকৌটো লালে রাঙা হওয়া হয়নি যার...তার যে নীলের প্রতি বড় অদম্য টান আর সেই লোভেই সাতশ ত্রিশ সূর্যোদয় আগে অসময়ের ভাসানো নৌকা ঘাটে বেঁধেছিল কোনো এক বিশ্বাসে।পারানি সেই প্যালেটের নীল ছুঁয়েই... কর গোণা হিসেবের প্রতি সূর্যাস্ত পরে প্যালেটের সে নীল রঙে মিশে যায় এখন হাজারো অজুহাত  ....প্রতি দিনের অবহেলায় জমে গেছে পুরু ধুলোর স্তর। ভেসে গেছে নদীর সাথে 'দোসর' এর সব প্রতিশব্দেরা। পরের পর আঘাতে ক্ষতের লাল রং এখন মেশে নদীর সে নীলে... প্রতিদিন ভোর হয়  প্যালেটের বেগুনি রঙা যন্ত্রণায়... তুমি আঁকো তোমার নতুন কোনো সূর্যোদয়...

দেবাশিস ঘোষ

ছবি
।।    আলোয় লিখিত ব্যথা   ।।      শুধুই স্ফুলিঙ্গ স্পৃহা এপার ওপার সমুদ্র টানটান শুধুই আলোক বমি মুখের মিছিলে ধুলোর চাদর পরা প্রতীক্ষা কে কাকে পৌঁছে দ্যায় নরক সরণী গাছে গাছে বিদ্যুৎরেখা স্তব্ধ থেমেছে এসে মাঠের কোনায় জল পার হয়ে সেও দ্রাঘিমা পেরিয়ে রক্ত ঝড়ের দিকে । আহত উচ্ছ্বাস আর বেদানার রঙে টলমল দিন বুকের ভিতর থেকে ব্যথাগুলো টেনে এনে আলো জল খেতে দেওয়া সেইসব শাণিত হরিণ  অনায়াস সন্ধ্যা নিয়ে আসে চায়ের কাপের গায়ে ক্রেডিট কার্ডের ছাঁট আমাদের দু'কলম ডিজিটাল উপজীব্যতা ঘিরে থাকা শীত, প্রসাধনী আর সংরাগ লিনেন শুয়ে থাকা শহরে চাকার অজস্র ছাপ বৃদ্ধ ওষুধ ঘ্রাণ জ্যাবড়ানো পাজামা ও হাতল চেয়ার উড়ন্ত আলোর নিচে জলমগ্নতা নিয়ে দ্বীপের ঘনতা

অয়ন চৌধুরী

ছবি
অচেনা অতল কেউ কোথাও নেই নিঝুম এই রাস্তাখানি ছাড়া গায়ের ভেতর থেকে একটা উত্তর খসে পড়ে। আমি দাঁড়িয়ে পড়ি এই ভগ্ন মনোরথের মতো রাত্রির কাছে  তার বুকের তীব্র আঁধার যেন ঘুমিয়ে থাকা যুবতীটির যোনিকক্ষের মতো অচেনা অতল! সেই উত্তরটুকু কুড়িয়ে নিতে গিয়ে গায়ে লেগে গেল অমোঘ উচ্চারণগুলি। শত শত ছিন্ন প্রশ্নপত্র  যার উত্তর কোনোকালে কোনও বইয়ে লেখা ছিল না কোনোদিন...

ডঃ রমলা মুখার্জী

ছবি
কবি নজরুলের রচনায় শ্যামাসংগীত ও গজল নজরুলের শ্যামাসংগীত    কাজী নজরুল ছিলেন সব সম্রদায়ের উর্দ্ধে এক মহামানব।মানব ধর্মের পূজারী নজরুল একদিকে ইসলামিক গান অপরদিকে হিন্দু দেবদেবী নিয়েও বহু গান রচনা করেছেন।    হিন্দু ধর্মের শাক্ত দর্শন কবি নজরুলকে ভীষণভাবে বিমোহিত করেছিল। সেই তন্ময়তা থেকেই জন্ম নজরুলের অগুন্তি শ্যামাসংগীতের। শক্তি পুজোয় তাঁর ভক্ত হৃদয়ের অকৃত্রিম  আকুলতা ও নিবেদন আমরা তাঁর 'রাঙাজবা' কাব্যগ্রন্হের প্রতিটি গানে পাই। ১৯৬৬ সালে কবির একশটি অসাধারণ শ্যামাসংগীত নিয়ে 'রাঙাজবা" প্রকাশিত হয়।এছাড়াও  অন্যান্য বিভিন্ন কাবেগ্রন্হেও নজরুলের শতাধিক শ্যামাসংগীত আছে। বিংশ শতাব্দীর আকাশ এক নতুন  আঙ্গিকের শ্যামাসংগীতের মূর্ছনায়  উদ্বেলিত,উদ্ভাসিত হয়ে উঠল।কবির শ্যামা মা সমাজতন্ত্রের রূপকার,অশুভনাশিনী,নিরহংকারিনী, আমিত্ববিনাশিনী,মায়ের কালোরূপের মাঝে তিনি বিশ্বরূপাকেই দর্শন করেছেন,তাই তো কালোমেয়ের পায়ের তলায় যে আলোর নাচন তাতে তো রুদ্র শিবও পরাজিত।অপরদিকে আবার দেখি নজরুলের শ্যামা মা ইংরেজ-বিনাশিনী রূপে অবতীর্ণা,মহাকালীর বীরত্ব য...

অশোক চক্রবর্তী

ছবি
ভ্যালেন্টাইন ছাদের বাগানে বহু কষ্টে হাঁটু মুড়ে বসে বসে লালনপালন, ফুটেছে বাহারী ফুলের সম্ভার গোলাপের আধফোঁটা কুঁড়ি, তাও আছে__ আজ এই দিনে ভ‍্যালেনটাইনে ইচ্ছে,তার হাতে তুলে দিই ছোটো এক তোড়া। এক হাত ভেঙেছে তার, অন‍্য হাত রান্নায় জোড়া।

সুপম রায় (সবুজ বাসিন্দা)

ছবি
বেহিসাবি নাগরিক ক্রুক স্ট্রিটের ফ্যাক্টরিতে জন্ম নেওয়া  রোল রয়েস ফিফ্টিন-এইচ আমার কাছে নেই ।  অত্যন্ত সামান্য জন আমি । মফস্সলের জীর্ণ রাস্তা চড়ে  এগিয়ে যাওয়া বেহিসাবি নাগরিক একজন । তবু স্বপ্নের গুটি পেলে সাজিয়ে ফেলি  আমার বসবাস, গায়ের পোশাক এবং অভ্যাসগুলো । যে যা মেশাবে মেশাক রক্তে ।  হোয়াইট ওয়াইনের আসর পেলে  আমিও আজকাল  রবীন্দ্রনাথের রোল রয়েসে চড়ার অধিকার দাবি করি

রাজদীপ ভট্টাচার্য

ছবি
কুড়ি বছরের কবিতা (১) এখন কি আর হাসো তেমন করে?  বেতসলতা, লজ্জাভীরু পথ তোমার ঠোঁটে থমকে দাঁড়ায় ঘড়ি এবার বুঝি তাকাবে এই দিকে। আমার খালি গাল চুলকোয়, নাক চুলকোয় তোমার বুকে পড়ার বইএর ব্যাগ বই-খাতা সব পেখম মেলে ওড়ে দেখাও আমায়! শিউলি ফুল কই? ফুল ফুটে ওই গাছ গিয়েছে ভরে বই-খাতা সব পেখম মেলে ওড়ে! (২) তখন তোমার জীবন বয়ে যায় পায়ে নূপুর ঝমঝমিয়ে বাজে চলার পথে ক্রিসেনথিমাম ফোটে উলুধ্বনি-শঙ্খ-বিবশ-দিন। আমিও বেশ লড়াই করছি, লড়াই আমার একার, দুপুর শুনশান তুমি কোথায়? খুঁজব কোনখানে পিছন ফেরো, ক্লাস নাইন, পড়াই! ফেরাবো কি! তালপাতার সিপাই কি দিন গেছে, ভাবলে হাসি পায়! (৩) ইতিমধ্যে বছর কুড়ি পার কবি জানতেন এটাই প্রাইম টাইম সকল সত্যি কবিরা কি করে জানে? ফেসবুক ছাড়া এ পৃথিবী দুর্গম। তুমিও বেড়েছ আড়ে ও বহরে - আড়ে আমারও দুব্বো গজিয়েছে হাড়ে হাড়ে কোলকাতা ছেড়ে বহুদূর নির্জনে উঠছ ভাসছ জমাট ডিপ্রেশনে  আমিতো রয়েছি শীতল গাছের পাশে তোমারও নৌকা সমুদ্রে যেতে চায় ঘর ভরা শীত, বসন্ত জেগে দ্বারে সব নৌকা কি সমুদ্রে যেতে পারে!

হেমন্ত সরখেল

ছবি
এখনি ফিরতে হবে                               এখন বিকেল | একটানা কনকনে কোণে কোণে শীত | অসার চামড়া জুড়ে নখ দিয়ে তুলে দেখি ওঁ ওঁ ওঁ ওঁ ওঁ ওঁ... নাঃ!  নেই | নেই কোনো ধ্বনি ! নেই গীত ! টুকি দেয়নি কোনো প্রতিধ্বনির আগাছাও অ্যাতো শীতে | এখনি ফিরে যেতে হবে ঘরে | পাঁজাকোলা তুলে নিয়ে যায় যদি সন্ধে জিগির তুলে ধর্মের, শিক্ষার,মদিরা'র নতুবা যদি বলে কোনো ডাক্তার, রক্তে তৈরি করে দেবে ধার আবার, অসার সার-এ জেগে ওঠার তাগিদে টেনে যদি রেখে দ্যায় আমায় দুর্বোধনন্দিত সন্ধেয়... শীত করবে, খুব |  আমাকে ফিরতে হবে আগুনের কাছে | ঘরে |

কৌশিক চক্রবর্ত্তী

ছবি
গোধূলির ভিত সে কথা শোনানো হয়নি আর তৈরি হয়নি কোনও রোদ্দুরের শোধন পদ্ধতি অক্ষর সংলাপ তীব্র হচ্ছে আরো আমার জানলায় ভিড় উদ্বাস্তু পালক থেকে রাত বিবস্ত্র দিনের মতো নির্বিচারে ক্ষত নেই নেই কারও নাছোড় সংঘাত  গোধূলি লগনে শুধু পড়ে থাকে বাস্তুভিত উপান্তের দিকে হলুদ ধুলোর মত চেনা যাচ্ছে চেনা যাচ্ছে সমস্ত আমিকে...

শীলা বিশ্বাস

ছবি
  কোরালচিত্র ভাষ্য তোমার স্বপ্নে পাওয়া শব্দগুলো ক্যালাইডোস্কোপে ফেলে দাউদাউ টগবগ রিনঝিন ছন্দে ভেঙে নিতে পারো । রক্তে জ্বালিয়ে রাখো হোমের আগুন । কবিতার গর্ভকেশরে ছুটিযে দাও ঘোড়া । মনে কিছু শ্রাবণের ইশারা ছড়িয়ে দিও । তৃষ্ণার শূন্য গেলাস হাতে সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে দেখো চির গর্বিত সমুদ্রের ক্ষত বিক্ষত কোরাল বুক । যেদিন জলের ভেতর জেগে থাকা মরুভূমি অনুভব করতে শিখে যাবে সেদিন থেকে তুমিও কবি ।

মঞ্জরী গোস্বামী

ছবি
নিস্কৃতি এই নাও খোলা পাতা মৃতের পায়ের মত সাদা। লিখে দাও আমার তাবৎ উচ্ছন্ন। দিন দিন শিখে গেছি আঁস্তাকুড়ের সহবত। রাশি রাশি ক্ষোভ তবু প্রতিবাদ হীন। চোখ মুখ খুলে নাও হাত মাথা পা, খসে যায় অপচয় লাল নয়, কষের মত কিছু সাদা অভিমান। কুয়াশায় চাপ চাপ অলিখ নিয়তি মায়া তো আসলে অবিচল রাঙা ধূলো খঞ্জ ভিখারী পায়ে পথ খুঁজে যায়..

সজ্জ্বল দত্ত

ছবি
  স্বাহা                ............................. .............. আঙুলের ফাঁকে ধরা দেশলাই কাঠি                   হাড় মাংস চামড়া নখ চুল .....                               .... তারপর .....

সায়ক বিশ্বাস

ছবি
পৃথিবীর মহাকাশ তুমি বেঁচে থেকো হ্যালির ধূমকেতুর মতো । আর আমি মৃত গ্যালিলিও হয়ে টেলিস্কোপে চোখ রেখে অপেক্ষা করবো , কবে পোপরা এসে  নিজেদের ভুল শোধরাবে । ব্রুনোর সমাধির সামনে দাঁড়িয়ে এ বিশ্বকে বলবে পারলে ক্ষমা করো আমায় । ভগবান যীশুর পায়ের নীচে পরে থাকা চোখের জল দেখতে পাবে যা দৃষ্টি অতীত ছিল প্রায় হাজার দুয়েক বছর । কবিদের পাতায় সে আর্তনাদ লুকিয়ে আছে । ছায়াপথ ধরে এরকমই হাজার ধূমকেতু আছে হ্যালি সাহেবের পরে বা আগেও হয়তো কেউ খুঁজেই পায়নি সেসব । সাথী , তোমার মত যারা নক্ষত্রদের পথ দেখায় তাদের কে পথ দেখায় ধর্মযাজকরা কোনোদিন জানতে চায়নি আমার মত । তাই পথিক হয়েই থাকলাম তোমার কাছে  যীশুদের কাছে , ধর্মের কাছে ।                                               

মণিজিঞ্জির সান্যাল

ছবি
প্রবাহ  রিনি অর্কের বিবাহিত জীবন বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল। কিন্তু এখন ও মা হতে রাজি নয় রিনি। অর্ক অনেক বুঝিয়েছে কিন্তু রিনি কেরিয়ার নিয়ে এত পাগল যে এতটুকু ভাবনাচিন্তা নেই। অর্ক অনেক বুঝিয়েছে, সময় থাকতে ভাবা উচিত। তা না হলে তো পরে কনসিভ করাই মুশকিল হবে। অর্কের কথাটা শেষ হতে না হতেই রিনি বলে উঠেছে “বাচ্চা নিতেই হবে এমন কোনও ব্যাপার আছে নাকি!” “মানে!”  “হ্যাপা কে সামলাবে এর, আমি ছুটি নিয়ে বসে থাকতে পারব না, তাছাড়া দু’বছরের মধ্যে সম্ভাবনাও দেখছি না।” অর্ক আর কথা বাড়ায়নি, মনে মনে ভেবেছে এমনটাই হবার ছিল, যা কেরিয়ারিস্ট রিনি তা মা হবার কোনও ইচ্ছে কোনও দিন জাগবে বলে মনে হয় না। কিছুদিন এই নিয়ে ভীষণ টেনসড ছিল অর্ক। তবুও হাল ছাড়েনি। যেভাবেই হোক বোঝাতে হবে। ছুটি নিয়ে যে বাইরে ক’দিন বেড়াতে যাবে তার কোনও উপায় নেই। কী করা যায় ভাবছিল অর্ক। অফিসে কিছুতেই মন বসাতে পারছিল না। অথচ একটা শিশু, তার আধো-আধো কথা, সারা বাড়িতে দাপাদাপি এসব ভাবলেই বুকের ভিতরটা কেমন চিন চিন করে উঠে। বাবা হবার প্রবল ইচ্ছেটা কেমন যেন চেপে বসে। এভাবেই কেটে যাচ্ছিল দিন। হঠাৎ একদিন অফ...