নিলয় নন্দী, অসিত মণ্ডল
শোঁ শব্দে রানওয়েতে নেমে পড়ছে যুদ্ধবিমান সিন্থেটিক ঘাসে মরশুমি ফুল... দূরে কোথাও উবের ডেকে নিচ্ছে বাসন্তিকা হিম পড়ছে বাসস্টপে... হিংসা বা হেমলক, স্থিরচোখে দেখে যান তথাগত। বিদ্রুপকণা, গ্রাহ্য করেন না তিনি... অপাংক্তেয় কেউ পাশে এসে দাঁড়ালে বলে ওঠেন "একটা কবিতা পড়ে শোনাবে আজ?" কবিতা শোনাতে আসে বৃদ্ধ ক্লোরোফিল। টুপটাপ ঝরে পড়ে মেপলের পাতা। বেজে ওঠে মহব্বতের ভায়োলিন। । দুটো ট্রেন দুদিকে ছিঁড়ে যায়। স্নানঘরে পুরুষালী বুকে লেখা হয় বিচ্ছেদের কবিতা। বেণুবনে বংশীধর ভেক, বৃথাই কালক্ষেপ। তবু প্রেম আসে। পথ চিনে ফিরে আসে পুরনো কোকিল। মেঘ, তোমার জন্য আসন পেতে রাখি। স্থিরচিত্রে জুড়ে দিই ডানা। জানালা বা চাঁদ অভিমুখ। চাঁদ চোখে চুমু খেয়ে শুরু হয় বাতিঘর বৈঠক। কবিতার খাতা থেকে ঝরে পড়ে অতিরিক্ত মেদ। ছোটগল্প লেখা হয়। ছবি তোলে জনান্তিকে কেউ। গদ্যে মুক্তোর মালা গাঁথে মুক্তমন। বসন্ত নেমে আসে ব্লগজিনে। লগ্নজিতাও পর্ণমোচী হয়। আর বৃথা নয় দিন গোনা....