শম্পা সামন্ত
অন্ধকার। আমার নি:সঙ্গ একাকী যাপন।এই চিরায়ত কালোর ধুকপুকুনি ভেদ করে বাইরে বের হয়ে আসা যেন সীমান্ত ভেদ করা এক দশবাই দশের দেয়াল। আর সেই অন্ধকার পাহাড়ের পাদদেশে কিসিমের গাছ বেয়ে বিড়াল চামচিকির বন্ধুতাও এক জলজ উদ্ভিদের মত ভেসে যাওয়া স্রোতবাহিত নদীর ভিতর। আমার সেসকল স্বপ্ন যেন পাখামেলা জ্ঞানদানন্দিনীর আবির্ভাব, বীণাবাদিনীর মত। আমার সকল রসের ধারা যেন আমাকেই ঘুরিয়ে নিচ্ছে আতিশয্যে। আমি যেন ছুটে চলেছি একটি জলোচ্ছ্বাসের ভিতর।আর আমার কোমর থেকে নিতম্ব ভিজিয়ে যাচ্ছে প্রবলতম ঢেউ।লেখার মত এমন কোনো সুন্দর শব্দমালা নেই যেখানে কেউ আমাকে শীতের আমলকী তলায় বেদনার পত্রপুটে শিশির সিক্ত প্রেম উপহার পাঠালে আমি তার পূর্ণতা পড়ে ফেলতে পারি।
এই আকাশে, এইতরঙ্গে, এই ইথারে মিলিয়ে যাচ্ছে সমূহ কান্না আর অবিশ্বাসের ডানায় ভর করে উড়ে যাচ্ছে এক রোদের আলোর দিকে। মাঝে মাঝে সেই নিশান আমার খাতায় গোত্তা খেয়ে লুটিয়ে পড়ছে। আমি এক আশ্চর্যতম শব্দের আবিস্কার করি ও নিঃশেষে লিখে ফেলি অবিনশ্বর বর্ণমালা।
এক বৈকল্য ফুরিয়ে আনছে জীবন।বছরের পর বছর গৃহকর্তা আবির্ভূত হন বারদরজায়। খিড়কি পথে কলমি চোবানো পুকুরের মধ্যে অযাচিত সময়ে জলাঞ্জলি দেখেন তিনি।আর আশশেওড়ার ডালে প্রাগৈতিহাসিক দন্ত মঞ্জনে অভ্যেস চাগাড় দিয়ে প্রাণ পিতার প্রতি নিবেদিত হয় প্রেম।হে ঈশ্বর, তোমার দুই হাতের বরাভয় রাখো আমার মস্তকে, আমার হৃদয়ে।
আর সমস্ত মানুষ পুরে রাখুক খাঁচায়, নাজুক সেই ভালোবাসার পাখি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন