অমিতাভ দাস
ঘাটশিলা :৪
আজ বহু মানুষের সমাগম
অথচ একদিন বড় নির্জন ছিল
পাহাড়ের আড়ালে কত আধিদৈবিক গল্পকথা
দেবী রঙ্কিণীর কাহিনি, বিভূতিভূষণের গল্প
পড়তে পড়তে শিউরে উঠেছি...
রাতমোহনা পেরিয়ে, পাহাড় ডিঙিয়ে ভক্তের দল...
একখন্ড পাথর এখানে দেবী
ঝা চকচকে রাস্তা, রৌদ্রস্নাত দিন
আমরা পতঙ্গবৎ। ভ্রমণে এসেছি
কতটুকু বুঝি দেবীর লীলা, জাগ্রত দেবীর মহিমা
মনুষ্য বিশ্বাস। ভয়ে আর বিভ্রমে ভেসে যাচ্ছে দেবীর চাতাল
আমি প্রণাম শেষে ফিরে আসি
গাছে গাছে রঙিন পাখির কুজন
গ্রামগুলি অদ্ভুত ছায়ারঙে আঁকা...
আমি চলে আসি জীবনের কাছে, সবুজের কাছে...
ঘাটশিলা -৮
আজকাল কেন এমন হয় বলোতো
সেইসব পুরোনো আবেগগুলো আর নেই
খুব নির্বিকার থাকি। কোনো কিছুতেই যেন আগ্রহ নেই
তবে কি আমার বয়স হচ্ছে...
আমি গম্ভীর লোক হয়ে উঠছি
পাহাড়ের গভীর নির্জনতাপ্রিয় মানুষ মনে হয় নিজেকে।
মনে হয় থেকে যাই এখানে কিছুকাল। কোলাহল থেকে দূরে
সবুজের ভিতর, লেকের শান্ত জলে পা ডুবিয়ে
কিংবা ঝরনার পাশে, পাথরের উপর গিয়ে
বসে থাকি অনন্তকাল, কেউ তো অপেক্ষায় নেই।
নেই কোনো পিছুটান। কেন আসব আমি শহুরে কোলাহলে?
আমার দমবন্ধ হয়ে আসে...
আমি হারিয়ে ফেলেছি আমার পুরোনো জীবন
বেঁচে আছে অতীতের সামান্য কিছু মৌতাত...
সুন্দর কবিতা
উত্তরমুছুনআন্তরিক ধন্যবাদ দাদা।
উত্তরমুছুনখুব ভাল লাগল দুটি কবিতাই।
উত্তরমুছুনপৃখা চট্টোপাধ্যায়
অনেক ধন্যবাদ জানাই।
মুছুনদুটি কবিতাই খুব ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনঅনেক ধন্যবাদ জানাই।
মুছুন