অসিত মণ্ডল

 

 


"Because I could not Stop for Death"
                                                    -- Emily Dickinson 

"কারণ আমি মৃত্যুর জন্য থামতে পারিনি "

কারণ আমি মৃত্যুর জন্য থামতে পারিনি 
মৃত্যুই দয়া করে আমার জন্য থামে
শবযান বহন করে আমাদের
আর অমরত্ব 

আমরা ধীরে চললাম, তারও কোন তাড়া ছিল না
আর আমি রেখে এলাম
আমার কাজ আর অবসর
তারই সৌজন্যতার সুবাদে

আমরা পেরিয়ে গেলাম স্কুলবাড়িটা
যেখানে গোলাকার স্থানে শিশুরা খেলছিল অবসরে
আমরা পেরিয়ে গেলাম খেত ফসলে রেখে চোখ 
আমরা পেরিয়ে গেলাম অস্তগামী সূর্য

অথবা সে আমাদের পেরিয়ে গেল
শিশিরের পতন আর শীতল শিহরণ 
আমার পরনে ছিল পাতলা পোশাক
ফিনফিনে পাতলা চাদর

আমরা থেমে গেলাম একটা বাড়ির সামনে
একটা উঁচু মাটির টিলার ওপর
যে বাড়ির ছাদ ছিল অদৃশ্য 
আর কার্নিশ ছুঁয়েছিল মাটি

তখন থেকে পেরিয়ে গেল
শতাব্দীর পর শতাব্দী
মনে হল দিনের চেয়েও ছোট 
সেই প্রথম আমি অনুভব করলাম
ঘোড়াগুলো ছুটে যাচ্ছে অনন্তকালের দিকে




Edge - Sylvia Plath

কিনারা

নারীটি পূর্ণতা পেল
মৃত
তার দেহ পরেছে অভিজাত এক হাসি
গ্রীসিয় সংস্কৃতির একটা বিভ্রম 
তার বহির্বেশের এপাশ থেকে ওপাশে প্রবাহিত, 
নগ্ন
তার পা দুটো যেন বলে, 
অনেক দূর হেঁটেছি, এখন পথের শেষ। 

প্রতিটি মৃত শিশু সাদা সাপের মত কুঁকড়ে শুয়ে,
ওদের সামনে দুধের বাটি,
এখন খালি।

মৃত নারী বুকের ভেতর 
আঁকড়ে রাখে সন্তানদের
গোলাপ যেমন করে রাখে পাপড়ি

বাগান শুকিয়ে গেলে
রাতের গোলাপ ঝরায় রক্তসুগন্ধী 

চাঁদের বিষন্ন হওয়ার কোন কারণ নেই, 
হাড়ের শিরোস্ত্রাণ থেকে মুখ তুলে চায়। 

এসবে অভ্যস্ত সে, 
কলঙ্কের টানাহেঁচড়ায় শোকবস্ত্র এফোঁড়ওফোঁড়।


(এমিলি এলিজাবেথ ডিকিনসান:
১৮৩০ সালের ১০ ডিসেম্বর আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসের আমহার্স্ট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের বেশিরভাগ সময় একাকীত্বে কাটে।ছিলেন অবিবাহিত। ভালোবাসতেন নি:সঙ্গতা।তাঁর কবিতার আঙ্গিক ব্যতিক্রমী।শিরোনামহীন,ছোট ছোট বাক্যে সাজানো।কিন্তু গভীর অর্থবাহী।

সিলভিয়া প্লাথ:
১৯৩২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসের বোস্টোনে জন্মগ্রহণ করেন। সমসাময়িক কবি টেড হিউজকে বিয়ে করেন।আমেরিকা ছেড়ে একসময় ইংল্যান্ডে গিয়ে বসবাস করেন।জীবনের বেশিরভাগ সময়ই প্লাথ চরম অবসাদ ও বিষন্নতায় ভুগতেন।১৯৬৩ সালে এই বিখ্যাত আমেরিকান কবি আত্মহত্যা করেন।)
 
 

 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য