তানিয়া ব্যানার্জী
অতঃ নভেম্বর কথা -
----------------------------- -------
১) রাজা রানি চুকে বুকে গেছে কবেকার
ক্যালেন্ডারি জীবাশ্মে সমুদ্র মন্থন,
দেয়ালে দেয়ালে আয়না
মিশর অথবা পিরামিড।
২) ভাসতে জানেনা যারা!
তালুতে লম্ফ জ্বেলে জলের কিনার থেকে
অতল খোঁজে অনিবার।
দৈবাৎ! নাকি অনিবার্য!
জলে আগুন! নাকি আগুনে জল?
৩) পরিচিত ধাবায় নির্ধারিত
বাংলা পরোটা আর ভুনা গোস্ত,
মাখো মাখো ঝোলে আলু গড়াগড়ি যায়,
বাড়তি হলেই কাঁচা পেঁয়াজে সু-সেফ
গাল বেয়ে রুপালী শোকে পঞ্চব্যঞ্জন।
@ বোরোলীন
------------------------------ ------------------
এমন নভেম্বরি হিম সন্ধ্যায় ইচ্ছেরা পোয়াতি হয়।
পাতার গায়ে সবুজ কুয়াশা
গাছের ফাঁকে পরিযায়ী আলোয় আধফোটা সালোকসংশ্লেষ।
গাছতলায় বাধ্য মেয়ের নাদের আলী বন্দনা,
চেয়ে চেয়ে সান্ধ্য বিকেলের নামিয়ে নেওয়া চোখ,
হাতে পেয়েও ছিটকে যাওয়া নীল চাঁদিয়ালে হাপিত্যেশ নভেম্বরের ।
তবে কী এমাস শুধুই বিপ্লবের!
মিঠে আঁচ পোহানোর নয়?
ঠোঁট ফেটে যায়..
হাতরে বেড়ানো বোরোলীন হাত শিখে যায় বর্ণপরিচয়,
জীবনে নানা ওঠাপড়া যেনো সহজে গায়ে না লাগে।
--হেমন্ত---
শরীর জুড়ে হেমন্ত উৎসব
পরতে পরতে শুষ্কতা, টান ধরছে -
আমি ময়েশ্চারাইজার প্রলেপ লাগাই দুবেলা,
অয়েল-ফ্রী ময়েশ্চারাইজার, ওয়াটার বেসড
ত্বকের গায়ে লেগে থাকেনা।
দোকানীর নাম ভাস্কর চক্রবর্তী
কম্বলের লোগোয় লেখা সুপর্ণা
সারা গায়ে ব্যাঙের ছবি আঁকা..
ধু ধু কুয়াশায় চোখ কচলাই
কারা যেন বরফ ছুঁড়ে মারে
দু' চোখ ভরে ঘুম, তীব্র শীত ঘুম
ঢুলু ঢুলু চোখ আর কঙ্কালের মিছিল-
আমি বার বার অপেক্ষায় থাকি গাছ দেখব বলে,
অমনি একদল কাক জানলায়,
আমি উঠে পড়ি
আবার ময়েশ্চারাইজারের শিশি হাতড়াই।
অপূর্ব লেখা আপনার
উত্তরমুছুনধন্যবাদ 🙏
উত্তরমুছুন