দেবরাজ দাস
NAUSEA- একটি অস্তিবাদী ভাবনা
বিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফরাসি দার্শনিক জাঁ-পল্- সার্ত্র’কে (১৯০৫-১৯৮০) সাহিত্যিক, চিন্তাবিদ, রাজনীতিবিদ ইত্যাদি যেভাবেই অখ্যায়িত করা হোক না কেন, সর্বপ্রথম তিনি পরিচিত একজন অস্তিবাদী দর্শনের পুরোধা ব্যাক্তি হিসেবে। অস্তিবাদী দর্শন (Existentialism) এর জন্ম মোটামুটি ভাবে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধোত্তর সময়কালে। যুদ্ধের ভয়াবহতা সাংঘাতিক কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করলো। সেইসঙ্গে জনমানসে এর এমন বিরুপ প্রভাব পড়ল যে জীবন সম্বন্ধে, জীবনের সুকুমার অস্তিত্ব এবং উদ্দেশ্য সম্বন্ধে মানুষ সন্ধিহান হয়ে উঠল। বিঘ্নিত হতে লাগল সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা কারণ বেঁচে থাকবার আদৌ কোন প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা সেই প্রশ্নে সমাজ জর্জরিত হতে শুরু করেছিল। সমাজ, দেশ তথা সমগ্র পৃথিবীর এইরকম হতাশাময় জীবন ও চেতন অচিরেই উঠে এলো তৎকালীন সাহিত্যিকদের
সাহিত্যে ও দার্শনিকদের তত্ত্বে। জমাট বাঁধতে শুরু করলো অস্তিবাদী দর্শন নামক একটি নতুন চিন্তাধারা কিংবা মতবাদ তথা ‘–ইজ্ম’ এর। যদিও দার্শনিকদের একাংশ মনে করেন যে অস্তিবাদী দর্শনের ইঙ্গিত বহু আগে, এমনকি প্লেটোর কিছু লেখাতেও ছিল, তথাপি এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ডেনমার্কের দার্শনিক সোরেন কিয়েরকেগার্দের (১৮১৩-১৮৫৫) নাম করা হয়। অস্তিবাদী দার্শনিকদের মধ্যে আস্তিক অস্তিবাদী ও নাস্তিক অস্তিবাদী এই দুইটি ভাগ রয়েছে। জাঁ-পল্-সার্ত্র ঈশ্বরের অস্তিতে সন্দিহান ছিলেন বলেই মনে করা হয়।
১৯৩৮ সালে সার্ত্রের প্রথম উপন্যাস Nausea প্রকাশিত হয়। বাক্তির স্বাধীনতা(হীনতা) সম্বন্ধে সচেতনতা, চারিপাশের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা জগত এর জন্য তার চেতনায় পুঞ্জীভূত হওয়া বিরক্তি, নিজের যুক্তিহীন জীবনের প্রতি ক্ষোভ, পৃথিবীর পরিত্যক্ত অসহায় অবস্থার জন্য তার রিক্ততা বোধ ইত্যাদি সমস্ত কিছুর একত্রিত রূপ কিভাবে সার্ত্রের চরিত্রের মধ্যে অস্তিত্বহীনতা তথা Existential crisis সৃষ্টি করছে, সার্ত্রের Nausea উপন্যাসের সাপেক্ষে সেই আলোচনা করবার জন্যই এই প্রবন্ধের অবতারণা।
অস্তিবাদী দর্শনের আধারে রচিত যেকোনো উপন্যাসের প্লট ব্যাখা করা একটু অসুবিধাজনক যেহেতু একটি সরলরৈখিক গতিজাড্য বরাবর উপন্যাসের ঘটনা ও চরিত্রদের ওঠাপড়া সংঘটিত হয়না। আমাদের আলোচ্য উপন্যাসের মূল চরিত্র প্রধানত তিন জন। Antonie Roquentin অর্থাৎ আমাদের উপন্যাসের তথাকথিত প্রট্যাগনিস্ট, Anny অর্থাৎ তার প্রেমিকা এবং Ogier P. যে Roquentin এর একমাত্র বন্ধু এবং যাকে সমগ্র উপন্যাসে সে Autodidact নামে সম্বোধন করে। উপন্যাসের প্রেক্ষাপট Bouville শহরে(অনেকে মনে করেন এটি সার্ত্রের কাল্পনিক একটি শহর)। Roquentin এই শহরে আসে ইতিহাসের একজন স্ক্লার হিসেবে। তার উদ্দেশ্য Marquis De Rollebon নামক একজন ফরাসি ঐতিহাসিক চরিত্রের (কাল্পনিক) উপর গবেষণা করা এবং সেই গবেষণালব্ধ ফলাফল একটি বই আকারে প্রকাশ করা। কাজের সূত্রে সে শহরের আনাচে-কানাচে ঘুরতে থাকে। লাইব্রেরি, আর্ট গ্যালারি ও মিউজিয়াম পরিদর্শন করে এবং যাবতীয় অভিজ্ঞতার কথা, অনুভূতির কথা নিয়মিত লিপিবদ্ধ করে রাখে ডাইরিতে। এভাবেই সে যত সম্মুখীন হয় প্রতিদিনের জীবনের সাথে, সমাজের সাথে, অন্যান্য চরিত্রের সাথে ততই সে অনুভব করে “there is absolutely no reason for living” এবং পৃথিবীর সকল উপাদান- জীব, জড় এমনকি সে নিজেও – তাকে অসুস্থ, বিরক্তিমাখা একটি অনুভুতি দেয়। এভাবেই এই অস্তিবাদী অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ তার মানসিক ও চারিত্রিক গঠনের একটা ছাঁচ আমাদের সামনে তুলে ধরে।
Roquentine মনে করে অস্তিত্ব বলে কিছু হয়না, অস্তিত্বের ধারণাটি আসলে একটি শূন্য খোলসের ন্যায়। আমাদের আশেপাশে আমরা যা দেখি, অনুভব করতে পারি বলে মনে করি, সেগুলোর অবস্থানের পিছনে কোন কারণ, যুক্তি কিংবা সংযোগ থাকতে পারে না। এই শূন্যতার বোধ-কেই (যদিও একে ‘শূন্যতা’ বলা যায় কিনা তা নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে) আমরা Nausea বলব এই উপন্যাসের আলোচনার সাপেক্ষে। আমাদের অস্তিত্ব নির্ভর করে ‘আমি’ তথা ‘স্ব’ এবং আমি বাদে এই পৃথিবীতে যা কিছু আছে অর্থাৎ ‘অপর’ এর সফল যোগাযোগ বা সম্বন্ধ স্থাপনের মাধ্যমে। আমরা জানি আমাদের জীবনের প্রতিদিনের মিথোস্ক্রিয়ায় কোন বস্তু কিংবা প্রাণীসকল আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ (এবং সেইজন্য নিরাপদ); এবং কোনগুলি বা কারা আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় নয়। Roquentine এর সমস্যা হল, সে এই বিভাজনটি বুঝতে পারছে না, ফলে প্রয়োজন/ অপ্রয়োজনের এই বিভেদরেখাটি তার কাছে অর্থহীন। অস্তিত্বের সঙ্কটে জর্জরিত Roquentine এর কাছে অস্তিত্বের ধারণাটি তিনটি বৈশিষ্ট্য দ্বারা সংজ্ঞায়িত হচ্ছে (বা, অন্যভাবে বলা যায়, Roquentine অস্তিত্ব বলতে এই তিনটি উপাদান বোঝে)- superfluity অর্থাৎ বস্তু কিংবা ব্যাক্তির অতিরেক’তা, absurdity অর্থাৎ অর্থহীনতা এবং contingency অর্থাৎ আকস্মিকতা বা অনিশ্চয়তা। তবে Roquentine এর এই বোধ বা উপলব্ধি শুধুমাত্র যে তার চিন্তন স্তরে সীমাবদ্ধ তা-ই নয়, শারীরিক অভিব্যাক্তিতেও সে nausea আক্রান্ত। সমগ্র উপন্যাস জুড়ে একপ্রকার ঘ্যানঘ্যানে বিরক্তিময়তা তাকে গ্রাস করে। সার্ত্র মনে করতেন আমাদের অস্তিত্ব বা পরিচিতি গঠনের প্রক্রিয়াটি একটি বিয়োজনের খেলা। অর্থাৎ, আমার identity গঠিত হচ্ছে আমি কি তা দিয়ে নয়, বরং আমি কি নই বা কি হতে পারিনি তার দ্বারা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আমি যখন কোনো একটি সিদ্ধান্ত নিতে চাই তখন সেই সিদ্ধান্তে উপনীত হই আরো অনেকগুলি সম্ভাবনাকে (যেগুলি সিদ্ধান্তে পরিণত হতেও পারতো) নাকচ করার মাধ্যমে, অনেকের মধ্যে থেকে একজনকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারি বাকিদের নস্যাৎ কিংবা বাতিল বা এলিমিনেট করার মাধ্যমে। Roquentine এর কাছে এই পছন্দ বনাম প্রত্যাখ্যান, উপস্থিত বনাম অনুপস্থিত এর সমগ্র আকর বা structure টি নিতান্তই অস্বচ্ছ এবং ভঙ্গুর। সে কল্পনা করে, এই পৃথিবীর প্রতিটা উপাদান (যেগুলো তার কাছে নিতান্তই অনাবশ্যক) থেকে সে নিজেকে সরিয়ে রাখবে নিরাপদ দূরত্বে। কিন্তু সে ব্যর্থ হয়। উপরন্তু, সে আবিস্কার করে নশ্বর এই বস্তুগুলো তাদের বিদ্যমান অস্তিত্বের দ্বারা অক্টোপাসের বাহুর মতো তাকে আঁকড়ে ধরছে প্রতিনিয়ত। সে ক্রমাগত নিমজ্জিত হচ্ছে সেই আবহে যাকে সে সজ্ঞানে অস্বীকার করে। স্বগতোক্তির মতো ডাইরির পাতায় সে যখন লিখছে, “Objects ought not to touch, since they are not alive. You use them, you put them back in place, you live among them: they are useul, nothing more. But they touch me, it’s unbearable. I am afraid of entering in contact with them…”, পাঠক হিসেবে আমরা অনুধাবন করতে পারি ‘স্ব’ এবং ‘অপর’- এর মধ্যে যোগসাজশ রচনাকারী গুরুত্বপূর্ণ যে উপাদানটিকে আমরা intersubjectivity বা আন্তরবিষয়ী প্রকরণ বলে থাকি, সেই উপাদানটি Roquentine এর ক্ষেত্রে অনেকটাই আলগা। এই সংযোগ বিচ্ছিন্নতার জন্যই তার পরিধির প্রায় সবটুকুই তার কাছে অর্থহীন। বস্তুতপক্ষে তার নিজের ‘স্ব’এর ধারণাটিই ভীষণভাবে অস্থির ও অসুস্থ যেহেতু সেটি ঝঞ্ঝাগ্রস্ত। ফ্রয়েডিয়ান (সিগ্মুন্ড ফ্রয়েড, ১৮৫৬-১৯৩৯) মনোবিজ্ঞানের আলোকে যারা Roquentine কে বিশ্লেষণ করেছেন, তারা Roquentine এর চারিত্রিক সকল বৈশিষ্ট্যাবলীকে ফ্রয়েডিয়ান হিস্টিরিয়ার ‘লক্ষণ’ বলে বিচার করেছেন। ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয় ফ্রয়েডের অন্যতম বিখ্যাত গ্রন্থ Inhibitions, Symptoms and Anxiety এবং ফ্রয়েড সাহেব এখানে বলেছেন আমাদের সনির্বন্ধ যে ইচ্ছে বা জেদ্গুলি’কে আমরা প্রকাশ হতে দিই না, সেই ইচ্ছেগুলি বা জেদ্গুলি থেকে যায় আমাদের অবচেতনে। কোনো না কোনো উপায়ে বিকল্প রাস্তা খুঁজে তারা ঠিক বেড়িয়ে আসে এবং বিভিন্ন ‘symptom’ আকারে নিজেদের প্রতিভাত করে। অর্থাৎ ফ্রয়েডের ভাষায়, “A symptom is a sign of, and a substitute for, an instinctual satisfaction which has remained in abeyance; it is a consequence of the process of repression”।
এই symptoms গুলিকে যদি অবদমন না করে মুক্ত হতে দেওয়া হয় তাহলে তার ফলাফল অহিতকর হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। আমাদের উপন্যাসের নায়ক Roquentine এর মধ্যে এই “repression” তথা অবদমনের প্রবণতা অত্যন্ত প্রকট। সে অবদমিত করে রাখে তার অনুভূতিকে, বোধগম্যতাকে, সামাজিক পরিচিতি (নিজের পরিবারের সদস্যদের সাথে তার যোগাযোগ নেই) এমনকি যৌন চাহিদাকেও! কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সে বারে বারে ফিরে আসে বা তাকে ফিরে আসতে হয় সেইসকল ক্ষেত্রগুলোর কাছে যেগুলোকে সে পরিহার করতে চেয়েছে। এ যেন অনেকটা জানালাকে অস্বীকার করতে গিয়ে আয়নার মুখোমুখি হয়ে পড়া। ফ্রয়েডিয়ান symptom এর এই আলোচনার আরো গভীরে গেলে আমরা তার “conversion” তথা রূপান্তরকরণের ধারণার সাথে পরিচিত হই। মনোবিজ্ঞানের জগতে এই “conversion” যে কাজটি করে তা হল, “translating a psychic tension into a physical alteration”; এবং এই মনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব যখনই শারীরিক বিকৃতিতে রূপান্তরিত হয় তখনই এ যাবৎকাল ধরে যাকিছু ছিল ব্যাক্তিমানসের অভ্যন্তরে, তা এবার চলে এলো প্রকাশ্যে এবং এখন তা সামাজিক বিধিনিষেধের মাপকাঠি দ্বারা বিচার্য। আমাদের উপন্যাসের নায়ক Roquentine এর মধ্যেও এই প্রবণতা বেশ কিছু ক্ষেত্রে ধরা পরে যখন তার জৈবিক ইচ্ছে’র (সবক্ষেত্রে তা যৌন চাহিদা-ই হবে এমন নয় যদিও) প্রকাশ ও সেই সাথে তার বলপূর্বক দমন- অর্থাৎ acceptance এবং rejection- এর দ্বন্দ্ব একসাথে চলতে থাকে। এই দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং যে পদ্ধতিতে তা সম্পন্ন হয় তাকেই ফ্রয়েডিয়ান মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় “somatic compliance” অর্থাৎ দেহগত অনুবর্তিতা। Roquentine এর ক্ষেত্রে এই দেহগত অনুবর্তিতায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শারীরবৃত্তিয় অঙ্গটি হলো তার গলা। উপন্যাস থেকে একটি উদাহরণ দিলে ব্যাপারটি ভালো ভাবে বোঝানো যেতে পারে। উপন্যাসের শেষের দিকে আমরা দেখতে পাই, সোশ্যালিস্ট ভাবনায় প্রভাবিত Autodidact (Roquentine এর বন্ধু) খাবার টেবিলে বসে হিউম্যানিজম নিয়ে (fraternal love) নিয়ে যখন আলোচনা করে, Roquentine তখন বুঝতে পারে সমাজ পরিবর্তনের এই আদর্শবাদী আলোচনায় তার কোন ভূমিকা নেই এবং অনুভব করে, “I can’t speak any more, I bow my head. The Autodidact’s face is right up against mine. He smiles foolishly… I laboriously chew a piece of bread which I can’t make up my mind to swallow…I feel like vomiting- and all of a sudden, there it is: the Nausea”. বাক-স্বাধীনতা এবং উদরপূর্তির মধ্য দিয়ে জৈবিক চাহিদা পূরণ- এই দুটো থেকেই সে বঞ্চিত।
এই ‘Nausea’ বা অসুখ তাকে তাড়া করে নিয়ে যায় আজীবন। মানবসম্পর্কের ভ্যালিডিটি নিয়ে প্রশ্ন করছে যে, তার নিজের জীবনের প্রেমটিও যে ভঙ্গুর, তা বলাই বাহুল্য। Anny-র সাতে তার সম্পর্ক অনতিবিলম্বে ভেঙ্গে যায়। এমনকি, যে উদ্দেশ্য নিয়ে সে এই Bouville শহরে এসেছিল- Marquis De Rollebon কে নিয়ে গবেষণা এবং বইপ্রকাশ- সেই কাজটিও মাঝপথেই অসমাপ্ত রেখে সে বন্ধ করে দেয় কারণ তার মনে হয় যে ব্যাক্তি নিজের অস্তিত্ব নিয়েই সন্দিহান, সে ‘অপর’ একজন ঐতিহাসিক চরিত্র নিয়ে কী-ই বা লিখবে?
Roquentine পালিয়ে যেতে চেয়েছিল এমন একটি জগতে যেখানে সে নিজেকে খুঁজে পাবে, নিজের প্রশ্নের উত্তরগুলো পাবে। কিন্ত তা হল না। এই আকুতি থেকেই সে উপলব্ধি করলো, “…but my place is nowhere; I am unwanted.” সার্ত্রের ভাবনার চমৎকারিত্ব এইখানেই যে তিনি বিশ্বাস করতেন মানুষের অধিকার আছে ‘স্বাধীন’ হওয়ার, নিজের অস্তিত্ব ইচ্ছেমত বেঁছে নেওয়ার। পারিপার্শ্বিকতা এবং অবস্থা তাকে কখনই চালিত বা বাধ্য করতে পারে না। একান্তই যদি সে পারিপার্শ্বিকতা দ্বারা বাধ্য হয় তার অস্তিত্ব খুঁজে নিতে তবে সেই “existence”, সার্ত্রের বিশ্বাসে এবং Roquentine এর জবানিতে “is an imperfection”.
গ্রন্থসূত্রঃ
১. Nausea: Jean-Paul Sartre
২. অস্তিবাদ ও মানবতাবাদঃ মৃণালকান্তি ভদ্র
৩. Sartre’s Nausea, Text, Context, Intertext: Edited by Alistair Rolls and Elizabeth Rechniewski
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন