নিমাই জানা


 

 একটি অমরাবতী ও কিছু ধ্বংসাত্মক দানবদের জেব্রা ক্রসিং




একটা অমরাবতী , টেন এমএল কর্টিকোস্টেরোয়েড স্রোতবাহী গঙ্গোত্রীর বরফ গলা নদীর মতো জমাট শিরাতন্ত্র রক্তের উৎক্ষিপ্ত দলা , আগ্নেয়পিণ্ড ছিটকে বেরিয়ে আসে আইসিইউ কেবিনের দরজা ভেঙে বেরিয়ে যাচ্ছে মহাশূন্যের যৌন ও জড়জগতের লাল নিশাচর সুড়ঙ্গ ভেদ করে , পৃথিবীর সব অপার্থিব বাবাদের হত্যা করবো আমি লাল নগ্ন নর্তকদের বেশে

কুলকুণ্ডলীদের মতো আদিম পাতাল , উঠে আসে পিপাসার্ত ধ্বনির থেকেও আরো আরো সুক্ষ্মতম মা , যারা প্রতিটি যৌগের বীভৎস মুদ্রাযোগ জানে , শাঁখ বাজিয়ে মৃত দানবদের জন্য শেষ রাতের সানাই বাজাবে কেউ , ভেজা কাপড় মিলবে রাতের মতো সংক্রামিত লোমশ কোন নারকেল দড়িতে  , কাছাকাছি কাঁচা কাঠের উচ্ছিষ্ট পড়ে থাকবে ,  ছড়িয়ে থাকবে শুকনো খড়ের সরু আঙ্গুল , আর্তনাদ , কান্নার অবশেষ , ছাইয়ের লাল কৌটো,  আগুনের স্কেলিটন ভাঙচুর , শিশু কন্যা চুমু খাবে মৃত পিতার কপালে , জিরাফটি জেব্রা ক্রসিং ওভার পেরিয়ে যাবে না কোনদিন

সাদা জবার হাঁ মুখে আমি তরল ছাই গুলো দিয়ে একা একাই নিজের সংকল্পিত ট্রাইসাইক্লিক মাথার ভেতরে মস্তিষ্কের আগ্নেয়গিরি জ্বেলে নিজেকেই পরিশুদ্ধ করে তুলছি,
আমি আসলে কুরুক্ষেত্রের মতো একটা ট্রেকার ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম পৃথিবীর দীর্ঘতম সর্বনাশের নাম কি ? সাপ নাকি নিজের সন্তানকে কাঁধে নিয়ে যাওয়ার সেকচক দৃশ্য

সাপের জিভের থেকেও দীর্ঘতর কুশের জলে মৃত সূর্যকে ডোবাই লব কাষ্ঠা অয়ন ও যোগের মতো একটা প্রহর ডোবাই , আমি আগুনের থেকেও তড়িৎবাহী ধ্বংসাত্মক জননেন্দ্রিয়ের উপর একা একা হেঁটে বেড়াই জোঁকের মতো , সরু সুক্ষ্ম তারের উপর ঝুলিয়ে রাখি নর মাংসাশীদের ধারালো দাঁত ,  তামার পাত্র থেকে কেঁচোর মতো একটা দ্বাররক্ষী নেমে এসে আমাকে নিয়ে যাবে অমৃত সাগরের দিকে অথচ আমি নিজের মৃত্যুর পাশে কোনদিন এত সহজ করে দাঁড়াইনি , অসুস্থতা আর মৃত্যু ছাড়া বোধহয় পৃথিবীতে আর কোন উৎসব নেই

ক্ষয়রোগ,  চর্মরোগ , স্নায়ুর রোগ , বুকের রোগ,  অজীর্নের রোগ হাড়ের রোগ সব আমাকে খায় সূর্যের মতো। আমি কোন কোন দিন শ্বাসকষ্টের বাঁশি শুনি স্বপ্নের প্লুতস্বরে , এভাবে যেতে হয় লাল পেয়ারা ব্যবসায়ীটিকে ও
অনাদি চিহ্নের থেকেও ভয়ঙ্কর মৎস্যজীবী , তাদের থেকেও পিচ্ছিল কলকাতা , খুব সস্তায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পাশে রবীন্দ্রসদনের মতো স্বচ্ছ সরোবরে নেমে স্ফটিক তরঙ্গের মতো 'র' চা কালারের ডাঁই করা একটা অপ্রাপ্তবয়স্ক মৃত্যুকে কিনে ডবল ডেকার অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে সোজা সাদা কৌটোর মতো প্রতিচ্ছায়া আগুনকে নিশাচর নিকোটিন ফুঁকতে ফুঁকতে সোজা বাড়ি ফিরে এলো কেয়ার অফ নাড়ুগোপাল মাইতি ,

ব্রাহ্মণ্যটি ত্রিপাদ দোষের সব মরুদ পুরোহিতদের নীল গন্ধর্ব উপত্যকার যোগ প্রদেশ করে নীল সাপদের নিয়ে যাচ্ছে আরো একবার নীল কীর্তন শোনাবে বলে ,
ঈশান কোণে হলুদ বারুদ জমা করে রেখেছি নিঝুম রাতের ডলফিন সঙ্গম নিরোধকের মতো, নিঃশর্ত পীতাম্বর স্বরবর্ণ মালায় উলেন বিসর্গ খুঁজছে সারারাত , তাপ একটি পাপ

 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য