সব্যসাচী মজুমদার

 


এই যে আবার...

______


এই যে আবার ডেডবডিগুলো ছড়িয়ে ছড়িয়ে

শুয়ে পড়েছিলে মিশনারি যেন  


পাখি চিৎকার করে ওঠবার পরেই বুঝলে

তোমার দু'হাত টিপে ধরেছিল

দুটো মানুষের ভেঙে দেওয়া গলা 


তোমার পিঠের ওপরে একটা নিমপাতা লেগে

মাড়ির ওপরে দূর্বা 


প্রতিটা শবের ভেতর আসলে

কবিতার মতো

মনোলগ থাকে...



নস্যাৎ করি

_____


শরীরের মতো নস্যাৎ করি

বড় গাছগুলো 


মুছে যেতে বসা দেয়ালের গায়ে

কামাতুর ঘোড়া

দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘাস খাচ্ছিল 


তর্জনী ভরা লালা নুন

            লালা নুন আর

গাছ ভরা তারা...




শ্রাবণ মাসের

______


শ্রাবণ মাসের মাঠে জল নেই

পাটগুলো খুব সবুজ হলেও পচাতে গেলেই

টের পাবে ক্ষণ 


কিছু কিছু মেয়ে পাখির পেছনে দৌড়চ্ছিল আর গ্রহপটে এক তারা নিভে গেল

ঘোলাটে আলোর দিনে এইসব দেখা যায় না সে

আগেই বলেছি।

তাই সাপটুকু পোড়ানোর পর খেতে খেতে দেখি

অভিরাম জলে ডুববার আগে

শাঁপলার ডাঁটা তুলে নিয়ে গিয়ে ডাঙায় রাখল 


তারপর সাদা মেঘ ফুটো করে তাকাতে চাইল

                জেব্রার দিকে

অসহ্য এক গুমোট বাগানে হেঁটে যাচ্ছিল ক'জনের বৌ

তাদের একটু পেছনে পেছনে ছোটার সময়

কানের ভেতরে যেরকম খুশি বেজে উঠেছিল

সংগীত প্রথা 


সে কী উদ্বেল ইছামতি ওগো,

সে কী চঞ্চল জোয়ারের ফেনা 


যাই যাই দেখি মনোরমখানি...



এত সাপ আসে

______ 


কোথাও কোথাও এত সাপ আসে

জল তুললেই সাপ ছোটোখাটো

ছুটে ছুটে যায় উঠোনের দিকে 

আর জল পড়ে শুধু জল পড়ে

ধীর পায়ে দুটো কুকুর হাঁটছে... 


জন্মদিনের দুধ ওথলায়

পরদিন মোটা হলদেটে সর জমা হলে তাকে

লুচি দিয়ে খাও

-এসব তো খুব স্পষ্ট বাক্য

ব্যঞ্জনাতেও বলা যায় দেখো

পুকুরের জলে সাঁতার কাটাটা জরুরি হলেও

মালবেরি কালো রঙ ধরবার আগে

দেখে নেওয়াটাও জরুরিই বটে 


তুমি কোন গলি দিয়ে ভিড়তে চাইছ,

একটার মুখে তিনটে শুয়োর

আর একটাতে মানুষেরা বসে

মধু খাচ্ছিল...

 



মন্তব্যসমূহ

  1. অপূর্ব। প্রতিটি কবিতাই ব্যঞ্জনাবহুল

    উত্তরমুছুন
  2. ভীষণ ভীষণ ভীষণ ভীষণ ভালো লেখা

    উত্তরমুছুন
  3. প্রতিটি কবিতাই অসাধারণ । তবে সবশেষের "এত সাপ আসে "তে স্পেলবাউন্ড হয়ে রইলাম।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য