নিমাই জানা

 

 

নীলাভ শরীরের ছায়াপথ অথবা জলজ সরীসৃপের সন্ন্যাস চিহ্ন 


প্রবুদ্ধ সুন্দর কর একখণ্ড অগ্ন্যাশয় নিয়ে এখনো হায়দ্রাবাদে বসে আছেন অপারেশন থিয়েটারের নীল মজ্জাময় আলোটির দিকে তাকিয়ে

মাঝে মাঝে ধ্যানমগ্নের মতো নিদ্রা এলেই ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখেন 


চাঁদের ও আজকাল কোন তৃতীয় পক্ষের নারী নেই বলে ব্রহ্মপুত্রের বিষাক্ত বিষ থেকে ১১ জোড়া জৈবনিক সুদেষ্ণা ঈশ্বরীরা থিওফাইলিন মা শরীরের মেরুদন্ড ভেঙে ভেঙে জীবিত ঈশ্বর তৈরি করবেন √ ৮১ দৈর্ঘ্যের হেমলক খন্ড দিয়ে

প্রতি রাতে নীল শরীরে বক্ষবন্ধনী গজিয়ে উঠলে রান্না ঘরের ভেতর থাকা তরবারিহীন পুরুষটি হঠাৎ করেই শ্মশানের রজঃস্বলা জীবিত জীবাত্মাদের দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় রক্তহীন উন্মত্ত পাগল পুরুষের মতো , এক জন্মান্ধ পৃথিবীর সব আসক্তিহীন সম্ভোগের কথাই শুনে ফেলে 


এখনও কর্দমাক্ত শিউলিপুর জেগে আছে আমার বিষহীন পরকীয়া রক্ত মজ্জায় , আমার বিছানা ফিসফিস করে রাতের গভীরতা মেপে নেয় আমি শুধু পেন্ডুলামকে আত্মহত্যার জন্য দায়ী করি বারবার ,

আমার বাবা অ্যালজোলামের ভেতর কিছু জুনিপ্রাস ঝাউ গাছ লাগিয়ে দিচ্ছে যারা ক্রমশ সিলভার ঠোঁট হতে হতে সজারু হয়ে যাচ্ছে আমাদের সংসারের বিবিধ চৌকাঠে , জমাট রক্তের কোন দ্রাব্যতা নেই

আমি হঠাৎ করে আজ কিছু নির্বিকল্প অসুখ চাইছি

জীবিত উদ্ভিদ গুলোকে ভক্ষণ করছে বুভুক্ষু মানুষের দল

পূর্বজন্মের সব মৃতপ্রায় ঋষিরা আজ আমার মৃত আত্মাটিকে নিয়ে এক বৃহৎ আতা গাছের গোড়ায় রেখে গেল অনাবাদি জমি ফেলে , ক্যাটায়ন রোদের দিকে একগুচ্ছ ব্রহ্মপুত্র পালক উড়িয়ে দিলাম , সকলেই তৃণভোজী নক্ষত্রদের জরায়ু ছিঁড়ে ছিঁড়ে নরম ভুট্টা ফলের চাষাবাদ করছি আমরা কোন এক তৃতীয় পুরুষ হয়ে 


চাঁদের শরীরে কোন স্বরবর্ণ নেই বলে একা একা মধ্যরাতে উঠে সাদা রঙের জবাটি সকল শ্বেত প্রদর অসুখকে খেয়ে ফেলে মৃত্যুর মতো , আমরা বিসর্গ চিহ্নটিকে সংক্রামক অসুখ বলে ঝুলিয়ে রাখি তিনটি ধারালো ব্লেডের নিচে , স্পন্দনহীন নৌকাটির মতো

ঈশ্বর দেখছেন মৃত্যুটি বিষধর সাপ হয়ে দোল খাচ্ছে হাফ পর্যায়কাল নিয়ে , স্থির বাতাসে স্থলপদ্মের জল রঙ ভাসছে




মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য