লিটন শব্দকর

 

 

অরণ্যচিহ্ন 


কাপড়ের ছোট্ট থলেতে জমানো কয়েকটি খুচরো পয়সা

বটের ঝুড়ির মতো শান্তিমাখানো কোনো হাতের ছোঁয়ায়

স্বর্ণাভ ভরসা,বায়না,শক্তি,আনন্দের ধারাপাত শেখাতো।

আমরা সেখানেই শিখেছি প্রয়োজনের সমীকরনের মূলে 


অম্লান সন্তুষ্টি পূর্ণিমার জ্যোৎস্নালোকের মতোই সমার্থক,

এতসব ভাবতে ভাবতে খুচরোগুলি সেকেলে হয়ে এলো

কড়ি কচ্ছপকে খুটে খুটে কালো পিপড়ে খেতে দেখলাম

থলে থেকে শেষত একটি আধুলি বেড়িয়ে জ্ঞান হারালো 


অনেককিছুই যেন সামনাসামনি পালটে গেল তাড়াতাড়ি।

বসন্তের ভোর নিস্পত্র হাড়্গজার গুচ্ছবদ্ধ ফুলের হলুদে

অনিচ্ছাকৃতভাবে নরম বিস্মৃতির মাসে পু্ঁইমাচা ঘরবাড়ি

শচুরভ পাখিরা আসেনি ঝাঁকে ঝাঁকে মরসুম চলে গেছে 


বুঝলাম আমরা আধুলি জমিয়ে সংক্রান্তি সেরেছি যখন,

তখনই পৃথিবীতে নিয়ম নিয়মে আধুনিকতা এসে গেছে।

ভেজা কার্ণিশের উপর বাগান সরীসৃপ রেখে গেছে চিহ্ন,

থলেটি এখন পুরনো হয়ে বাড়ির পেছনে জীর্ণপ্রায় শূণ্য।




মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য