শাশ্বতী চট্টোপাধ্যায়
ইতিকথা
------------
শত্রুতার সূত্রপাতে এসে
শেষ করে দিয়েছি যত অধোগতি
মায়াশেল যতবার বিপন্নতায়
পিছুটানে ফিরে যায় প্রবল চুম্বকে
ফ্যাঁসফেঁসে মোমবাতি মিছিলে
জুৎসই পংক্তি খুঁজে খোপবন্দী রাধিকা পুরাণ
লেটারবক্সে চড়ে দানাপানি আসে
বেণুবনে কুহকিনী কুলটা রটায়
কবে যেন গোয়ালিনী বাঁশি ভেঙেছিল
কপিকল
---------
রাতচরা পাখিদের আঁচড়ের ভীড়ে
হিজিবিজি আঁধার শরীর
তবু তাকে টেনে হিঁচড়ে পাতালমুখী
হবু প্রবেশ মিটে গেলে
গুহামুখে দাঁড় করিয়ে নাম দেয়
নরকের দ্বার
পোষ্য
-------
টপাটপ মাছি গিলে
পাতকুয়ো চাঁদে ভেসে যায়
সেকথা এমন কিছু নয়
অকালের কুবাতাসে ঝুনো হচ্ছে মঙ্গলের মাটি
আমাদের খুঁটিনাটি
এসবের ধার ধারে না
পোষ মানানোর গুণে অহো পাপ!
সমূহ চৌর্যবৃত্তি আমাদের সনাতন বাস্তুসাপ
স্নানযাত্রা
----------
এজন্যেই আসা যাওয়া বহাল রেখেছি।
যাবার পথের পাশে শত্রুর মুখ
কাঠগোলাপের মতো প্রেয়সীকথিত
প্রলম্বিত মজে ওঠে গোধূলি বেলায়
করুণ ঘাসের মতো তারও চোখ
অপাপবিদ্ধ ভরে
কানায় কানায়
নবকলেবরে
বিরহ প্রযোজ্য প্রতি আসায় যাওয়ায়
ভাসান
---------
জ্যোৎস্নার খড়ি দিয়ে গণ্ডী কাটে সাধারণ মানুষ
ধুয়ে রাখে শিলনোড়া পিঁড়ি
গুটিকয় সংলগ্ন যাপন
ভিজে চুমু ছেড়ে আসে ক্ষারকাচা ধাপে
যেখানে হরেন ঢাকি বেদম পিটিয়ে যায় সপাট চামড়া
বার বাড়ি ভেসে যায় ভাসানের টানে
উচ্চবোল বাদ্যির হুজুগে
বেবাক লুটিয়ে পড়ে ভাড়া করা সলমা আঁচল
মিঠে সেঁজুতির আঁচে ধিকি ধিকি ধরে
ভোর থেকে ঝিঁঝিঁ ডাক তক্
দম ফেলা দায়
দেউড়ির এই পারে খুঁটি বেঁধে কালো গাই
গোয়াল সামলায়
ভালো লাগলো লেখাগুলি। কপিকল - নামটি অভিনব। পোষ্য - র ছন্দ খুব ভালো।
উত্তরমুছুন- রাজদীপ ভট্টাচার্য