সোমনাথ বেনিয়া
১৩নং কবিতা পাড়া বাই লেন
দিনের শেষে সব একাকার একথা জানে বিকেলের গুপ্তসংহিতা
তবুও প্রহরের ভিতর পাঁজরের অদম্য চলাচল জাগায় অহংকার
মেঠো বাউলের একতারায় স্বপ্নের নিপাট বুনোন ঐশী পরিবেশ ঘিরে
প্রচ্ছন্ন ঢেউয়ের পাশে মনখারাপের শিরদাঁড়া চুপিসারে এসে দাঁড়ায়
এসব হয়তো কোনো শিল্পীর ক্যানভাসে বিচ্ছিন্ন বৃষ্টির কথা বলে
তারপর গন্তব্য ঠিক হলে ডাকটিকিটে ধূসর ব্যক্তিগত প্রযত্ন পড়ে থাকে
কে এসে গ্রহণ করবে যাবতীয় কাল্পনিক সত্তার অগ্নিময় কষ্টমালা
ঋতুর প্রতিঘাত নিয়ে গুটিশুটি পায়ে এগিয়ে যাবে সহজ অনুশীলন হতে
মনে হতেই পারে অসুখ শুরু হলে গাছের ডালে এসে বসবে পাখি
ঠোঁটে তার কোনো পরিত্যক্ত স্বরলিপির গুনগুন অনাদরের মৌমাছি হবে
ঘুমের রকমফের দেখে রাতের নক্ষত্র বিমর্ষের ধারাপাত লিখবে সুখে
ভিতরে ক্ষরণ হলে আগামীর কাছে দৌড়ে যাবে চেতনার ঊহ্য যতিচিহ্ন
হৃদয়কে জিজ্ঞাসা করে এক ফ্রেমে হাসিমুখে বসে থাকে মনের অভিন্ন
ভালো লাগলো
উত্তরমুছুন