রাখী সরদার
মহাপ্রস্ততি
কোথাও প্রখরতা নেই।
মোরগফুল মেঘ গানহীন, স্তব্ধ।
একটি ময়ূর পালক ঝরিয়ে উড়ে গেল।
কোথা থেকে ভেসে আসছে আচ্ছন্ন হরিণের
কান্না ! কে এক বিষণ্ণ রাজা ঘোড়া
থামিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে বিরাট
বটবৃক্ষের তলে...
শব্দের পাহারাওয়ালারা একেবারে
শান্ত, স্থির,চারিদিক দেখে মনে হচ্ছে
কোনো এক নির্বাক দেশের রাজত্ব...
আমি ও গৌতম অতীতের পিছু ও
টান ফেলে হেঁটে চলেছি উরুবিল্ব
গ্রামের দিকে ... হাঁটছি তো হাঁটছি
আমাদের যেন কোনো গন্তব্য নেই!
আকাশজুড়ে সূর্যের বিসর্জন দৃশ্য,
ঘাসে ঘাসে কে যেন সাজিয়ে রেখেছে
মাটির আর্তনাদ!
অকস্মাৎ অন্ধকার! ধীরে ধীরে রাত্রি
খসে পড়ছে পাখিদের আলয়ে,ভাঙা
চাঁদ একাকী গাছের মাথায় ,কী ভীষণ
ক্ষুধার্ত চোখে তাকিয়ে সে! আলো-
অন্ধকার পথ দৃশ্যে আমার দৃষ্টিবন
কাতর! বনের ভিতর দিয়ে যে
অশ্রু- পথ,সে পথে সরতে সরতে
গৌতম মিশে যাচ্ছে বহুদূর
বোধিবৃক্ষ শরীরে !এ কি কোনো ভ্রমদৃশ্য!
কোথা থেকে ভেসে আসছে হাওয়ার
কান্না!
ওগো হাওয়া,আমাকে নিয়ে চলো
এইসব অপাংক্তেয় দৃশ্য থেকে দূরে...
গাঢ় চোখে ভরে দাও ধুলোবালি, ভরে
দাও কোনো মরু-জীবনের নদী...
নদীতে বাণ এসেছে, কী তীব্র
জলের স্রোত! যা কিছু লেখা ছিল
গাছেদের নীরব অন্ধকারে, সব ব্যথা,
সব প্রেম নির্জন প্রশ্নের ভিতর আজ
প্রবল স্রোতে ঘূর্নি হয়ে কাঁপে অথচ
হে গৌতম ,তুমি জানো তোমার ছায়া
ক্রমাগত বড় হচ্ছে আমার এই দেহ
ও পঞ্চভূতের ভিতর , যার প্রস্তুতি
ছিল কোটি কোটি আলোকবর্ষ পূর্বে।
চমৎকার লেখা
উত্তরমুছুন- রাজদীপ ভট্টাচার্য
অনেক অনেক ধন্যবাদ
উত্তরমুছুন