সম্পাদকীয়
কথা ছিল "বাতিঘর অনলাইন" "বারিষনামা" সংখ্যা প্রকাশ পাবে যখন আকাশ ঢাকা থাকবে ঘন কালো জলমেঘে।বাতাসে থাকবে বৃষ্টির গন্ধ। ভারী ব্যাপক বৃষ্টি ঝরবে তোমার আমার বুকের মধ্যে। বিবসনা গাছ গাছালি ভিজে যাবে অকাতরে।মাটির সোঁদা গন্ধে মাতাল হবে অরণ্য। মেঘমল্লার রাগের আলাপে বিস্তারে মাতোয়ারা হবে বন পাহাড়। আমরা কেউ ঝুলবারান্দা থেকে দেখে নেব কুর্চি ফুলের স্নান। চোখে মুখে বুকে মেখে নেব বৃষ্টি।অদূরে বৃষ্টি মাখবে বাদলদিনের প্রথম কদম ফুল। নদী উঠে আসবে পথে।ভাসিয়ে দিয়ে বলবো, যা রে কাগজের নৌকো...। আমার মতো তোমার জানালার কাচও আবছায়া হবে। সার্সিতে আছড়ে পড়বে প্রবল আত্মবিশ্বাসী ও নাছোড়বান্দা বৃষ্টির ফোঁটা। ভিজে যাবে আমাদের ভিতর ও বাহির। বাসস্টপে জল জমবে।এক ছাতায় মাথা রেখে অবলীলায় হেঁটে যাবে প্রেমার্ত ছেলেমেয়েটি।মেঘবালিকাদের কি সে উল্লাস! বৃষ্টি বলে ডাকে আমায় শোনার আগেই লেখা হয়ে যাবে এক পৃথিবী রূপকথা।হয়তো বা হবে না।শুধুই আঁকিবুঁকি।কছের মানুষ দূরে থাকার কারণে, নিয়তি নির্ধারণে চোখের নোনা জলের সাথে মিশে যাবে সমব্যথী এক বৃষ্টিকণা। অনেক দূরে এফ এম এ বাজবে 'রিম ঝিম গিরে শাওন... " অথবা " আজ শ্রাবণের বাতাস বুকে..."।
এসব যদি কিছুই না হয়, অন্তত হাওয়া অফিস জানান দেবে, আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে।
অথবা একটা অকাল শ্রাবণ বরিষনে ভিজে যাবে আমার মাটি গ্রাম দেশ।
না।
"বাতিঘর অনলাইন বারিষনামা " মেঘমেদুর বরষায় প্রকাশ সম্ভব হল না। এ আমাদের ব্যর্থতা।
এখন মাঠে মাঠে ঘাসে ঘাসে হেমন্তের শিশির। হিমেল বাতাসে বার্তা, শীত এল বলে।
তবু " বারিষনামা "।
যাঁদের লেখায় এ সংখ্যা সমৃদ্ধ তাঁদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনারা সবাই বাতিঘরের আপনজন।
আশা রাখি আপনাদের ভালোবাসায় ও প্রশ্রয়ে অনাগতদিনে আলোকিত থাকবে আমাদের স্বপ্নের " বাতিঘর "।
দুর্দান্ত 'সম্পাদকীয়'। এমন সংখ্যার এমন কাব্যিক সম্পাদকীয়-ই দাবী করে।❤️❤️❤️❤️❤️❤️🌹🌹🌹🌹🌹🌹
উত্তরমুছুনযেন একটা কবিতা, খুব সুন্দর সম্পাদকীয়, শুভেচ্ছা নিরন্তর
উত্তরমুছুনসুন্দর সম্পাদকীয়। কাব্যময়।
উত্তরমুছুনমনমুগ্ধকর সম্পাদকীয়।পরতে পরতে কবিতা হয়ে উঠেছে। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনপত্রিকার নির্যাসটা হয়তো সম্পাদকীয় তে উঠে এল! এ পত্রিকার উড়ান অনন্ত হোক!
উত্তরমুছুনবাকি অংশ পাবার জন্র্য অধীর আগ্রহেরইলাম।
অসাধারণ সম্পাদকীয়
উত্তরমুছুনঅন্তরে গেঁথে রইলো এ সম্পাদকীয়।
উত্তরমুছুন