আরণ্যক বসু
আমি বৃষ্টি বৃষ্টি মেয়ে
(বুঝি এলি যার অভিসারে মনে মনে দেখা হলো তারে, আড়ালে আড়ালে দেয়া-নেয়া-- গীতবিতান, ৪৩)
আমার মেঘলা ভোরের আষাঢ়
তোকে কোথায় লুকিয়ে রাখি ?
নদী মহানন্দার তীরে
যেন সাতরঙা এক পাখি!
নরম ডানার একটি পালক
যখন বিলিয়ে দিলি মেঘ
তুই ভিজিয়ে দে না আমার
সব ভয়ার্ত উদ্বেগ !
জানিস ,তুই যে হারিয়ে গেছিস ?
যেতে শিলিগুড়ি রোড ধরে ?
এলি আমার বুকে হঠাৎ
এমন ফিসফিসফিস ভোরে !
ওরে গোপন ,আমার গোপন ,
ছিলাম তোরই প্রতীক্ষাতে !
হলাম বেলাগাম ইচ্ছেতে মেয়ে,
সামান্য পাগলাটে !
তুই এমন ভিজিয়ে দিলি
এলো বেহুঁশ বেঘোর জ্বর...
ও মেঘ ,এখন কী যে করি,
ঠোঁটের সবটুকু থরথর !
আমার ভিজলো চোখের পাতা
ভিজে সপসপ লজ্জাতে
তবু ভরা আষাঢ়ের নেশায়
অবিশ্রান্ত বাদল ছাতে !
যখন ঝুলবারান্দা জীবন
যখন ঘরের মধ্যে ঘরে
তুই ডাকাত হয়ে এলি
আমার অবাধ্য অন্তরে !
আয় খোলা পিঠের ঢেউয়ে
আয় অমার্জিত তীর
তুই বিন্দু বিন্দু মরণ
আমার মুগ্ধতা অস্থির !
আমার অবাক জীবন যাপন
আমার বৃষ্টি মেঘে বাঁচা
আমি হঠাত্ ঝড়ের মাঠে
ভাঙি মন্দ-ভালোর খাঁচা !
তুই মরু বিজয়ের নিশান
ছায়া ঘনায় আকাশ ছেয়ে
আমি কিচ্ছু না , কেউ না তো !
আমি মহানন্দার মেয়ে
আমি লাজুক নদীর মেয়ে...
প্রেম ও প্রকৃতির অবিশ্রান্ত ধারা বইছে কবিতা জুড়ে।👍ভালো লাগল।
উত্তরমুছুন