শুভশ্রী সাহা
মূল কবিতা : জালাল উদ্দীন মুহাম্মদ রুমি
অনুবাদক : শুভশ্রী সাহা
পান্থশালা
অন্তরাত্মা এক পান্থশালা
প্রতিটি ভোরেই নতুন কোন অতিথি
এসে পড়ে
অপ্রত্যাশিত ভাবে দেখা হয়
আনন্দ, বিষাদ ঈর্ষা কখনো
সুচেতনার সঙ্গে
সবাইকে হাসিমুখে স্বাগত জানাও,
যত্ন করো,
তারা, যদি দু:খের পেঁটরা খুলে দেয়
নির্মম ভাবে মুছে দেয় আনন্দের শেষ কণাটুকুও
তবুও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থেকো
অতিথিরা দেবদূত, কঠিন সময়ে
পাশে থাকবেন
প্রেমিকের ঘর
হৃদয় প্রেমের উত্তাপে পোড়ে
শিখা দেদীপ্যমান
হৃদয়ের স্পন্দন আবেগে ছলকায়
সমুদ্রের ঢেউ কে গুণতে পারে
পরিচিত সব মুখ সহসা অপরিচিত
আততায়ী চারপাশে ঘোরে
প্রেমিক এক মুক্ত বাতাসের ঝলক
কুৎসা কলঙ্ক স্পর্শ করে না তাকে
প্রেমিকের গৃহ তার মাটি
ভালোবাসার ঘর সরেজমিন
বন্ধ চোখেও দেখা যায় তার
ওড়নার আড়ালের আলো
প্রেমিক নাচতে থাকে তালে
এই ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর সাথে
চেতনা লুপ্ত হলে ভালোবাসার
জন্নতে ঠিক পৌঁছে যায়
খুব ভালো লাগল
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর অনুবাদ করেছেন।
উত্তরমুছুন