সুবিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

 


 কোকনদ ও করতল 



১ 


ভুলে যাওয়া স্পর্শ মালার ওপর দিয়ে বর্ষার একটা সোঁতা বয়ে চলেছে।

কখনও ভিজছে কখনও শুকোচ্ছে। 


২ 


মধু লিখি। লিখছি।

মধু মাখি। মেখেছি।

মধু খাই। ভুলে গেছি স্বাদ। 


তার দাগ... 

তার আঠা হয়ে...

তার গন্ধে মাতোয়ারা... 


মরে যাই, মরে যাই! ভাই কী লেখালি তোরা! 


৩ 


উলুখাগড়ার মতো

উলুধ্বনির শব্দে

উল্লম্ফন দিয়ে হিসহিসিয়ে উঠল বর্ষা। 


ফলায় ঝলক তার, জলে পুলক তার। 


আলুলায়িত কুন্তল ভিজে রিঠা রিঠা... 


৪ 


বৃন্দগান, স্তব। 

বৃন্দ ব্যজন, ব্যজনী দুলায় কুলায় স্খলিত

বচন, 

বৃন্দাবন। পুণ্য লিখি কাটি পূর্ণ লিখি হাসি, 

হা হা, হা হা, হা হা হা... 


দে গো বৃন্দে আমায় যোগী সাজায়ে! 


৫ 


ওই, জলের ভেতরে মেঘ ছায়া...

দ্যাখো, মেঘের ভেতরে ভরা জল। 


ঠিক, প্রলাপের মতো দাগ কাটা

আর , দাগের ভেতর করতল। 


সেই, করতলে কোকনদ ফোটে

ইশ, কোকনদে জল টলমল...


মন্তব্যসমূহ

  1. বিশ্বজিৎ বাউনা৩ নভেম্বর, ২০২৩ এ ৬:৫১ AM

    চমৎকার লেখা

    উত্তরমুছুন
  2. বর্ষা থামার পরে পড়তে হলো এটাই আফসোস।

    পিনাকী ধারা

    উত্তরমুছুন
  3. খুব ভালো লেখা। প্রথমটি অনবদ্য।
    -- রাজদীপ ভট্টাচার্য

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য