পৃথা চট্টোপাধ্যায়
ডাক নাম
১
তুমিও কৃপণ হবে এতো শ্রাবণের মেঘ ? আজকে আকাশ দ্যাখো কেমন পান্ডুর হয়ে আছে । উঠোনে দাওয়ায় আল্পনা এঁকে, আহা লিখেছে মনের কথা কেউ। নীরবে তাকিয়ে ভাবে আরো দূরে কবেকার ফেলে আসা সীতেহার গ্রাম, দু'চোখে গোপন করে কাজল দীঘির ঢেউ, সেই ডাক নাম
২
কতদিন আসো নি এ পথে, উড়িয়ে শণের মত চুল রুখুশুখু মুখে তোমাকে খুঁজেছে কত সেও। ঘোর অন্ধকারে একটি বাতির আলো টিমটিম জ্বলে, কী গভীর জ্বর সেই দেশে। চাপা কান্নারা ওড়ে সে বাড়ির গুমোট বাতাসে । এমন চাষের দিন কখন ফুরোয় , ধান ওঠে , ভরা বর্ষায় বাড়ে জল। গভীর নাভির কাছে কে রেখেছে ঠোঁট, ছুঁয়ে গেছে ডাগর ডালিম , তাকে দেখিবার কত ছল
৩
ধৈর্য্য নেই তার
অরণ্যের অধিকার
তুমিও তো জানো
এটুকু যদি না বোঝো
কী জানলে এতদিনে?
প্রতিদিন কত ফুল ফোটে
সবার কি নাম জানে কেউ
খবর কে রাখে
নিজের বাগানে রোজ জল দাও
দেখে রাখো কোন গাছে কতগুলো কুঁড়ি
৪
এত ভালোবাসা
সব কিছু মিথ্যে? বলো তুমি?
কেন এত টান অবিরাম
তাহলে ডাকো নি কেন তোমার সভায়
আমিও দেখতে চাই কাছে থেকে
কীভাবে বলছ কথা,
চোখ দুটি কেমন করুণ
৫
অজস্র শাসন ঘিরে জীবনের জট
জটিলতা চিরকাল মুখ বুজে থাকা
বলেছিলে একমাত্র আমি
আর কেউ নেই এভাবে আদর করো যাকে
সেই সব কথা ফিরে ফিরে আসে
নোনা জলে মাছ ঘাই মারে
কত দিন চলে গেল
কত রাত তারা দেখি একা
নির্জন গলির মুখে অপেক্ষায় থাকি
একবার যদি আসে আগের মতন
নাম ধরে ডাকে
আমার রঙ্গন
অপূর্ব
উত্তরমুছুনখুশি হলাম খুব 🍀❤️🍀
মুছুনখুব সুন্দর লেখা 🙏🏻
উত্তরমুছুনখুব আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ জানবেন। 🙏
মুছুনখুব সুন্দর কবিতাগুলি পৃথা
উত্তরমুছুনধন্যবাদ জানবেন দাদা।খুব উৎসাহ পেলাম। 🙏🌿🌷🌿
মুছুনসুন্দর কবিতা
উত্তরমুছুনধন্যবাদ জানবেন। খুব খুশি হলাম।
মুছুনচমৎকার অনুভূতির প্রকাশ।
উত্তরমুছুন