নন্দিতা মিত্র

                          

ঝাপসা রাতে মেঘমুলুকে মেঘবালিকার অন্দরমহলে...

-নন্দিতা মিত্র


মেঘমল্লারের সাথে বর্ষার যেমন নিবিড় সখ্যতা, আমার সাথে তেমনি পাহাড়ের পাহাড় আমার প্রথম ভালোবাসা, আনন্দের উদযাপন আর মনখারাপের সঙ্গী প্রতি ঋতুতে পাহাড়ের সৌন্দর্য ভিন্ন তবে বর্ষার আগমনে পাহাড়ের শোভা যেন আরও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায় দিনরাত অবিরাম বৃষ্টির ধারা প্রকৃতিকে করে তোলে আরো মোহময়ী সারাদিন মেঘের আনাগোনা, মেঘবালিকা আর রোদের দুষ্টু-মিষ্টি লুকোচুরি খেলা, কালো মেঘের বুক চিরে বিদ্যুতচমক, মুহূর্মুহু বাজ পড়ার আওয়াজ, বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ, কুয়াশার কুহকজাল বা মেঘের মন্দ্রমধুর গর্জন...ঋতুরাণী বর্ষায় পাহাড়ের এই মনমোহিনী রূপ দেখতেই তো শহুরে যান্ত্রিক জীবনের নাগপাশ ছিন্ন করে বারবার ছুটে যাওয়া পাহাড়ে!


যারা পাহাড় বলতে শুধুই কাঞ্চনজঙ্ঘা বোঝে তাদের জন্য মেঘলা আবহাওয়া হতাশাজনক কিন্তু এই পরিবেশেই পাহাড়ের আসল সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি উপভোগ করা যায় রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আচমকা কুয়াশার চাদরে হারিয়ে যাওয়া কিংবা আচমকাই বৃষ্টির জলে ভিজে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে রাস্তার ধারে পাহাড়ি কন্যার দোকানে চা কিংবা কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে ঝাল ঝাল সসে ডোবানো মোমোর তুলতুলে নরম শরীরে আয়েসী কামড়... এই না হলে পাহাড়িয়া সফর? যাদের কাছে পাহাড় মানে ম্যাল চত্বরে ঘুরে বেড়িয়ে দামাদামি করে কিছু কেনাকাটা আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাভেন্টার্সের ব্রেকফাস্টে প্ল্যাটার কিংবা গ্লেনারিজের পেস্ট্রি হাতে ছবি তাদের পক্ষে পাহাড়ের আসল এসেন্স আর হৃদপিণ্ডকে বোঝা সম্ভব নয়

বর্ষার পাহাড় যেন প্রকৃতির সেই সুন্দরী কন্যা বৃষ্টির স্পর্শে যে হয়ে ওঠে আরও লাবণ্যময়ী আরো আকর্ষণীয় মনে হয় সে যেন সদ্যস্নাতা যুবতী যার শরীর থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে সবুজ লাবণ্য এই সবুজ নির্জন স্নিগ্ধতায় যে একবার ডুব দিয়েছে তার চোখে আর কোন রূপ ধরা দেবে না বর্ষার সময় পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে যে গহীন সবুজ উচ্ছ্বাস নিয়ে স্বপ্নালু চোখে বেঁধেছিলাম মেঘমল্লার তান আর শাওনের রাগ তার প্রতিটি শব্দ প্রতিটি সুর আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়ে গেছে এই ঘনঘোর বর্ষার সময় পাহাড়ে এলে বিশ্বাস হয় আধুনিক নাগরিক সভ্যতা এখানে আজও অক্টোপাসের মতো গিলে খেতে পারেনি বর্ষার জিয়নকাঠির ছোঁয়ায় প্রকৃতি আজও যেন অনূড়া এখানে পাহাড়ের গায়ে এলিয়ে থাকা এক চিরসবুজের ঠিকানা সে পাহাড়ের নিভৃত কোণে লুকিয়ে থাকা এক আশ্চর্য রত্ন সে বদঁলেয়ারের একটি কবিতা অনুবাদ করতে গিয়ে বুদ্ধদেব বসু এভাবে বলেছিলেন:

“বলো তবে, অদ্ভুত অচেনা মানুষ, কী ভালোবাসো তুমি? আমি ভালোবাসি মেঘ...চলিষ্ণু মেঘ...ঐ উঁচুতে... ঐ উঁচুতে... আমি ভালোবাসি আশ্চর্য মেঘদল”!


এমনই এক ঘনঘোর বর্ষায় পাহাড়ের পাদদেশের এক ছোট্ট লুকানো ঐশ্বর্য লিংতামে ছিলাম যেখানে শুধুমাত্র মেঘের দলের এলোমেলো ঘুরে বেড়ানো দেখেই অলস সময় কাটিয়ে দেওয়া যায় তাই বুদ্ধদেব বসুর বলা এই ‘চলিষ্ণু মেঘদল’কে ভালো না বেসে কি উপায় আছে! মেঘেরা তো জন্ম বাউন্ডুলে উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু মায়ার বাঁধনে বেঁধে রাখে মে মাসের গরমেও এখানে দাপুটে শীত এখনও পাহাড়ের বাঁকে হারিয়ে যায়নি আচমকা বৃষ্টির হাত ধরে সে আবার ফিরে এসেছে লিংতাম পূর্ব সিকিমের শান্ত, নীরব পাহাড়ি জনপদ রংপো হয়ে সাজানো পিচের পথ যেভাবে একটু একটু করে জুলুকের দিকে এগিয়েছে, সেই পথ ধরেই যেতে যেতে হটাৎ তাকিয়ে দেখি মাথার উপর ছবির মতো সাজানো এক পাহাড়ি গ্রাম সৌন্দর্যের রানী সে নামটি তার লিংতাম রংপো শহর থেকে প্রায় সোয়া ঘণ্টার পথ লিংতাম আসার পথে অনেকগুলো ঝর্না চোখে পড়ল তার মধ্যে বিখ্যাত কিউখোলা ঝর্ণা মেঘেদেরও তো মনখারাপ হয় আর তাদের চোখের জল ঝর্না হয়ে পাহাড়ের কোল থেকে গড়িয়ে পড়ে পাহাড়ের চোখের জলকে সুবীর নন্দীর গানের মাধ্যমেই বলেছেন “পাহাড়ের কান্না দেখে তোমরা তাকে ঝর্না বল...” হ্যাঁ বর্ষায় পাহাড়ের কোল বেয়ে নেমে আসা ঝর্নাও এক মোহময়ী রূপ নেয় মেঘ, পাহাড় আর ঝর্ণার মিতালীও বর্ষায় পাহাড়ের আরেক আকর্ষণ


লিংতাম পূর্ব সিকিমের রেশমপথের প্রথম দরজা হাতে গোনা দু-চারটে ঘর-বাড়ি, দোকান তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ছুটতে হয় রংলি বাজারে সিসনে ছাড়িয়েই লিংতাম নিউ জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় ১৫০ কিমি যেতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘন্টা পাহাড়, জঙ্গল, নদী দিয়ে ঘেরা আর কিছু স্কোয়াশ, এলাচ, ভুট্টা এইসবের চাষবাস মানুষজন ভীষণ শান্তিপ্রিয়, হাসিখুশি পাহাড়ের সহজ সরল মানুষগুলো যেমন হয় আর কি রাস্তার আশেপাশে ফুটে আছে নাম না জানা অনেক ফুল আমাদের সিল্করুট ভ্রমণের এক রাত বরাদ্দ ছিল লিংতামের জন্য পরে আফশোস হচ্ছিল কেন ভ্রমণসূচিতে এখানে থাকার জন্য আরেক রাত রাখিনি নির্জন লিংতামে অখণ্ড বিশ্রাম খাওয়া-দাওয়া আর ইচ্ছেমতো ঘোরাঘুরি সুন্দর পরিচ্ছন্ন একটি গ্রাম ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য একটু দূরে দূরে রয়েছে ওয়েস্ট বাস্কেট গাঁয়ের মানুষজন খুবই সচেতন বিশেষ করে যত্রতত্র প্লাস্টিক ফেলা থেকে বিরত হওয়া দু'পাশের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই বকুটার নদীর কাছে পাথরের খাঁজ-খোঁজের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে উচ্ছল জলরাশি চারিদিকে সবুজ পাহাড়, কত রকমের পাখির কলতান চুপচাপ বসে শুনতে থাকি হোমস্টের অবস্থানটিও দুর্দান্ত জায়গায় ঠিক চেকপোষ্টের পাশেই বিকেলবেলা হাঁটাপথে গ্রামের আশেপাশে এলাকায় ঘুরে এলাম গ্রামের সব বাড়িতে আর দূর পাহাড়ের কোলে একটা দুটো করে আলো ফুটতে শুরু করেছে তখন এই আলোই জানান দেয় ওই দূরে রয়েছে মানুষের বসতি মাঝে মাঝে বৃষ্টির অকস্মাৎ হানাদারির জন্য এদিক ওদিক ছুটে আশ্রয় নিই আর চা, মোমো, ম্যাগির মিশেলে সান্ধ্যবৃষ্টির আনন্দময় উদযাপন করি


সন্ধের পর আর কোনো কাজ নেই জানালা খুললেই অন্ধকারের মধ্যে রহস্যময় পাহাড়ের ইশারাময় হাতছানি বকুটার নদীর গর্জন পাহাড়ি নির্জনতা ভঙ্গ করে মেঘ ফিসফিসিয়ে জানান দিয়ে যাচ্ছে তার সলাজ উপস্থিতি:

পাহাড়কে ডেকে বলল মেঘ,

‘তুই কি আজ বৃষ্টি নিবি?

আলতো স্পর্শে গা ভিজাবি?

ভালবেসে বৃষ্টি দেব

তোর গহীনে জল ছিটাবো

শান্ত কোলে ঘুম পাড়াবো

বৃষ্টি নিবি?’

মেঘের এমন নিবিড় ডাককে বোধহয় পাহাড় উপেক্ষা করতে পারেনি তাই নিবিড় আলিঙ্গন করে নেয় তাকে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি হোমস্টের ব্যালকনি থেকেই দেখতে পাই বৃষ্টিতে ঝাপসা হয়ে আসা পাহাড়ি সন্ধে


বাইরে প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাসে বেশিক্ষণ বসে থাকা যায় না ঘরে টেনে আনে সন্ধের নির্জনতা মন্দাক্রান্তা লয়ের ঝিঁঝির ডাক, বৃষ্টিভেজা পাহাড়ি সন্ধে বড়ো অলস করে দেয় নেটওয়ার্কবিহীন মুঠোফোন নীরব সারা পৃথিবী থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নির্জনতা আর একাকিত্ব পরম দোসর বাইরের বৃষ্টির ছন্দময়তার আমেজের সাথে তাল মিলিয়ে বই  পড়া শুরু করতেই লোডশেডিং সাথে শুরু শিলাবৃষ্টি পাহাড়ি সন্ধে আর তুমুল বৃষ্টির যুগলবন্দির উদযাপনে দু'একটি বরফের টুকরো পাওয়ার আশায় ছেলেমানুষী আনন্দে মেতে উঠি কিন্তু দরজা খুলতেই প্রবল ঠান্ডা আষ্টেপৃষ্ঠে জাপটে ধরে রাত বাড়ে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বৃষ্টি মনের মধ্যে বেজে ওঠে কিশোরকুমার কিংবা আদনান সামির "ভিগি ভিগি রাতো মে..." মোমের আলোয় গরম গরম রুটি আর চিকেন খেয়ে গোটা কয়েক কম্বলের নিচে বাইরে তখন ঝোড়ো হওয়ার প্রবল গর্জন রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার দাপাদাপি যেন আরো প্রকট হয়ে উঠছে মাঝে মাঝে তার পাশবিক গর্জন হাহাকারের মতো শোনাচ্ছে সেই আর্তনাদ শুনতে শুনতে পরেরদিনের কথা ভাবতে ভাবতে তলিয়ে যাই ঘুমের দেশে


পরদিন খুব ভোরে ঘুম ভাঙল পাখিদের সমবেত সোহাগী আলাপে ঘরের ভিতরের উষ্ণতার মায়াটুকু ত্যাগ করে বাইরে বেরিয়ে এলাম গোটা গ্রামটার ঘুম ভাঙেনি তখনো বাইরে অঝোরধারায় বৃষ্টি আর তার সাথে জাঁকিয়ে ঠান্ডা কিন্তু বৃষ্টি আর ঠান্ডার ভয়ে ভিতরে বসে থাকলে তো আর ভোরের স্নিগ্ধতাকে অনুভব করা যাবে না তাই বৃষ্টি একটু কমতেই চরকি কাটতে বাইরে বেরিয়ে পড়লাম আজকেই আমাদের বিখ্যাত সিল্করুট যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ শুনে উৎসাহে ভাটা পড়ল কিন্তু ওই যে কথায় বলে একদিকের দরজা বন্ধ তো আরেক দিকের দরজা প্রকৃতি যেন খুলে রেখে দেয় বহুদিন থেকে ইচ্ছে ছিল সারাদিন অঝোরধারায় বৃষ্টি পড়বে এমন একটি পাহাড়ি গ্রামে গিয়ে থাকব আজ যেন প্রকৃতি উদারহস্ত আর বরাভয় মনের সব ইচ্ছাপূরণে যেন সে উদ্যত পাহাড়ের ঢালে গ্রামের পথের একদম শেষপ্রান্তে রয়েছে একটি ছোট মনাস্ট্রি বৃষ্টির খামখেয়ালিপনার মধ্যে ছাতা নিয়েই বেরিয়ে পড়ি মনাস্ট্রির উদ্দেশে ঘন কুয়াশার মধ্যে দূর থেকে মনাস্ট্রির অবয়ব চোখের সামনে ভেসে ওঠে খুব মৃদু স্বরে বাজছে ওঁম মণিপদ্মে হুম বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি জলকণা চোখে মুখে ছুঁয়ে যায় আলতো করে রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ গাছ কুয়াশায় মোড়া গাছের সারি অন্ধকার পথ আগলে রেখে মুগ্ধতা বাড়ায় জলসোহাগী মেঘ যেন বৃষ্টি নিয়ে এসে পাহাড়ের চারপাশে সবুজ প্যাস্টেল রং ঢেলে গেছে পাহাড়ের নির্জন এই রাস্তায় হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে শিশুসুলভ উচ্ছ্বাসে ভেসে ওঠে মন ভাবতে থাকি রুখুসুখু পাহাড়ও যেন অপেক্ষা করে থাকে বৃষ্টির জলের জন্য তার সম্পূর্ণরূপ তুলে ধরবে বলে এসময়ই তো সবুজ রঙের ইস্তেহার ছাপা হয় সেবকের রাস্তায়, রোহিণীর পথে-ঘাটে, গোপালধারায় কিংবা পাহাড়ের প্রতিটি জায়গার প্রতিটি কোনায় কোনায় এখন যেমন সবুজ রংয়ের উৎসবে মেতে উঠেছি লিংতামের রাস্তায় ভীষণভাবে মনে পড়তে থাকে শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে:

"বুকের মধ্যে বৃষ্টি নামে, নৌকা টলোমলো

কূল ছেড়ে আজ অকূলে যাই এমনও সম্বল

নেই নিকটে – হয়তো ছিলো বৃষ্টি আসার আগে..."

বর্ষায় পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য তো অনেক জায়গাতেই দেখেছি কিন্তু পাহাড়ি গ্রাম লিংতামের নির্জন হোমস্টের  বারান্দায় দাঁড়িয়ে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ হাতে যেরকম নিরলসভাবে দেখেছি বর্ষার নৈসর্গিক শোভা, মাইলের পর মাইল সবুজ গালিচার মতো বিছিয়ে থাকা বিস্তৃত সবুজ বনভূমি , চিরসবুজ পাইন বন, দূরে পাহাড়ের গায়ে ছবির মতো  কাঠের বাড়ি আর তার বারান্দায় ফুলের বাহার, পাকদন্ডী পথ বেয়ে চলার সময় পথের বাঁকে বাঁকে পাহাড়ি ছোট ঝোরা কিংবা হঠাৎ হঠাৎ মেঘের আনাগোনা তা খুব কম জায়গাতেই দেখেছি এখানকার অবিরাম বৃষ্টিভেজা রাতের নিস্তব্ধতার অনুরণন মনে থেকে যাবে সারাজীবন একদিনের জন্য থাকলেও লিংতাম আমাকে মুগ্ধ করে দিয়েছিল প্রকৃতিকে ভালোবাসার জন্য তো প্রতিদিন তার সাথে সহবাস করতে হয় না তবে তার শান্ত, নির্জনতার কোলে আশ্রয় নিতে এই জায়গায় আরও একবার আসতে হবে কারণ লিংতামের উজাড়করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বন্ধনে যে সারাজীবন বাঁধা পড়লাম মেঘের লুকোচুরি, মায়াবী মনাষ্ট্রি, জানালা খুললেই পাহাড়ি শীতল হাওয়া, আবার একাধারে নির্জন, সুন্দর  এবং সর্বোপরি মনোমুগ্ধকর এক অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরতেই তো আসা আর সে আসা বড়ই অর্থবহ গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে অবিরাম বৃষ্টি দেখতে দেখতে যখন নিউ জলপাইগুড়ির দিকে এগোচ্ছি তখন আমার স্পটিফাই-এর প্লে লিস্টে বাজছে:

"মন মোর মেঘের সঙ্গী,

উড়ে চলে দিগ্‌দিগন্তের পানে

নিঃসীম শূন্যে শ্রাবণবর্ষণসঙ্গীতে

রিমিঝিম   রিমিঝিম   রিমিঝিম"




মন্তব্যসমূহ

  1. অপূর্ব ভ্রমণ সাহিত্য, আলংকারিক বর্ণনায় প্রকৃতি মোহময়ী হয়ে উঠেছে ঐশ্বরিক ভাবে।👌

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য