তপোব্রত মুখোপাধ্যায়
কবিজীবন
আগুন
নিভতে কেউ দেখেনি।
প্রথমে আলো, তারপর ছায়া, তারপর আরও যত
শূন্যমার্গ আধার, সব, সবটুকু পুড়িয়ে ফেলে শেষতক
কাগজের খাতায়
মিথ্যে বানিয়ে রাখা, অথবা মিথ -- যেন এরপর
যাত্রাপালার রাম, রাবণকে তীরবিদ্ধ করে গেলে পরবর্তী সিনে
সীতা আসবে না আর; কেউ জানবেনা শরীরী বিলাপ
সর্গে সর্গে শেষ: এবে হরিধ্বনি দাও! আবছা অন্ধকার
আড়ালে দেখাবে পুণ্যের দায় টেনে
মাটি ভাগ হয়ে যায়। আগুনের
ঢেউ ওঠে। একটি লোক
মিথ্যে মিথ্যে জুড়ে
কবিতা বানায়
তার তলে একা পুড়ে মরে। শ্রীহীন
ছাইদানির গায়ে একাকীর নাম লিখে রাখবার মতো
এক শব্দ, বহু স্বরে নিজেকে পোড়ায়। কবিগণ
হীন হয়ে দেখে ছিটে ছিটে ওঠা পোড়া ছাই
হাওয়ায় ঘুরে ঘুরে সুখ বেয়ে ওঠে
সুখ জুড়ে শয়ন পোড়ায়
যেমন, অভ্যাস
শান্তি, অভ্যাসে আসে।
অভ্যাস উড়নচণ্ডী, খায় দায়
বনের মোষ তাড়িয়ে এনে শুয়ে পড়ে।
বুকের উপর বানিয়ে তোলে মোষের বাথান
একটা ভূমিকম্পের কথা ছিল, অথচ মাটি
কাঁপল না এতটুকু। পায়ের পিছন পানে
ঘরের দরজা বন্ধ হয়ে গেল কোনো
শব্দ হবার আগেই।
আগুন অভ্যাসে জ্বলে। দক্ষিণের হাওয়া
আচমকা এসে পড়ে কোনদিন নিভিয়ে দিয়ে যাবে
ততদিন চিঠি, বাক্য জ্বলে জ্বলে খড়ি উঠে যায়।
অভ্যাস এনে ফেলে ঘরে। দেওয়ালে দেওয়ালে
কথা হয়, আয়নার কাঁটা উল বোনে, বোনে
শেষ হয় না।
না-হওয়ার 'না'-টুকু অভ্যাস; ইচ্ছাধীন সুখ…
ভালো লেখা
উত্তরমুছুন