সমর্পিতা ঘটক
বই আলোচনা
আর কতদিন কালো রাক্ষুসে মড়া ছুঁয়ে এ’ মহাশ্মাশান ঘুম
“সাঁকোয় ওঠো ‘পদ্মা নদীর মাঝি’।
এপার থেকে নকল পাতা সাঁকো
হৃদয় থেকে ঘিলুর দিকে নদী
নদীর বুকে সময়ভেলা আঁকো...” (আর্টিফিসিয়াল)
সময়ভেলা নিয়ে কবি তিষ্ঠোতে পারেন না। সময়ের ক্ষতে তার গা চুলকে চুলকে আগুন। লাভা স্রোত গড়িয়ে নামে। ‘কাহিনীকণ্ঠে তরল পারদ’। কবির অস্থিরতা কি সময়ের স্খলন থেকে উত্তরণের দিকে এগিয়ে দিতে পারে? এ পথ তত সহজ নয়, এ পারা একদিনে হয় না জেনেও কবিমন উতলা, আহ্বান পাঠিয়ে দেন মাঝিকে, ‘পদ্মা নদীর মাঝি’কে, জীবনের কঠিন স্রোত... “পাঁচ মাথার ভিড়ের মধ্যে দাঁড়ালে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে স্রোত, কেবল এই ভয় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি কাগজের ফুলের মতো খসখসে ব্যালকনিতে। কিন্তু ওই রঙ্গিণী কাকলির মধ্যে তো থেকে যেতে হবে, তারই সংঘর্ষের ভিতর থেকে বাড়িয়ে দিতে হবে নিঃশব্দের তর্জনী। কবিতা এখন সেই তর্জনী খুঁজে বেড়ায়”। (নিঃশব্দের তর্জনী, শঙ্খ ঘোষ) যারা নরম মোহের কবিতা থেকে বেরিয়ে আসতে চান, অন্তত কিছুক্ষণের জন্য তাদের কাছে ‘আত্ম...’ পাঠ অনিবার্য হয়ে ওঠে। কালের সময়স্রোত চেতনার ছবি আঁকে, সত্যের ছবি। খণ্ড খণ্ড জীবন আমাদের... ফেলে আসা সময় আর ভয়াতুর চোখে তাকিয়ে থাকা ভবিষ্যৎকে মিশিয়ে গড়ে ওঠা বর্তমানকে নিয়ে অস্থির কবি তর্জনী উঁচিয়ে আলো ও অন্ধকার চিনিয়ে দেন। রাজনীতি,সমাজ, দর্শন মিলেমিশে এ এক প্রবল ‘আত্ম...’
“...আড়ালে জঙ্গলে রত্নাকর দস্যু আমি
ঠিক সে সময়ে এলে ঘোর জঙ্গলে বসে
একমুঠো চুল ছিঁড়ি
যজ্ঞ আগুনে ফেলি। (বাল্মীকির কণ্ঠহার)
নিজেকে, নিজের মধ্যে সময়কে, সমকালের মানুষের যাপন, মননকে ফালাফালা করে কবি দেখতে চান... তাঁর রাজনৈতিক মন তীব্রতা নেয়। প্রতিরোধের, বিপ্লবের, দিন বদলের স্রোত দেখতে চায়। পথ বড়োই দুর্গম কিন্তু আশাও যে প্রতিরোধহীন ঢেউয়ের মতো জাগিয়ে রাখে চেতনকে। কবিকে। পাঠককে।
“...ছন্দ যদি উল্টোপুরান সাঁকোয় !
পুতুল বলে চরম প্রতিরোধ !
পায়ের নীচে রক্তরঙিন জলের
মগজ ঘুরে হৃদয়মুখো স্রোত” (আর্টিফিসিয়াল)
এই অন্ধকার হাতড়ে রাস্তা খোঁজেন কবি। যেন কানামাছি খেলা! সুড়ঙ্গের পরে আলো খোঁজেন। নিজের দিনাতিপাত লিখে যান। পানা সরিয়ে সরিয়ে হাতড়ে মরেন নতুন দিন। দিন বদল। ‘অন্ধকার শেষ হলে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে’। এই শ্মশান পরিক্রমার অন্ত হয়ে পিশাচী জীবন খোলস ছাড়ুক।
"... রোজ ভোরে ঘাটস্নান পবিত্র আমি
অফিসে কাজেকম্মে গোটাদিন -- অন্যপারে
শয়তানি মাথা ছুঁয়ে চোখ ভিজে পিশাচীর
ছেলেপিলে মুখ চেয়ে ভবিষ্যৎ আশায়" (পাপ)
নিরাশাও ঘোর হয়। সহ্যের সীমা কেন পেরোয় না মানুষের? দেওয়ালে পিঠ। তবু চিৎকার নেই, তোলে না আঙুল। নীলকালি আঙুলে লাগিয়ে প্রতি মরশুমে ভাবে বাঁচব এবার... আসলে তো মরে মরে বলি হয় আরো দু তিন দশক। আমাদের জীবন, একেবারে রক্তমাংসের রোজকার জীবন উঠে আসে তপ্ত তাওয়া থেকে। ছ্যাঁকা লাগে। ইচ্ছে করে অনেকগুলো কবিতারই দু একটি ছত্র এখানে উল্লেখ করি। শুধুই আলোচনা, রাজনৈতিক বিতর্ক, নুন খেয়ে গুণ গাওয়া মিডিয়ার রুনরুন শুনে যা একদা সত্যি মনে হতে থাকে,
‘চামর দুলিয়ে শাঁখে, প্রদীপে সন্ধ্যারতি/ ইভিনিং শিফটের ঘটা করে শুরুয়াদ...’, মনে হতে থাকে এ পুণ্য ভারতে সবই, সবটাই পুণ্যকথা... অতীতে খারাপ যা কিছু তা ধুয়ে যাবে পুণ্যকথায় এবং পুণ্যতোয়া শ্লোকে...
“...হ্যাঁ রে বাবু সঅঅঅব জানি, লম্বাচওড়া বাণী,
জ্ঞানযোগে হটযোগে চোখে কেটে গেছে ছানি
পুরো পদ্ধতি জানি।
আদানি ব্রহ্ম মানি
নেচেকুঁদে তাণ্ডবে নিরীহ একশো কোটি সতীর শরীর
খোলা হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে
কৈলাসে আম্বানি—
বাঘছালে ধ্যানস্থ
গলায় কেউটে সাপ।
ছিবড়ে বুকের খাঁচা ধুয়েমুছে রাখা ব্রেন
একান্ন হাজার কোটি লণ্ডভণ্ড খণ্ড
যেখানে যেখানে খুলে ছিটকে পড়েছে
আজ সেই-সেইখানে পীঠ—...” (পুণ্যকথা)
আমাদের যাপন এমনকি বিরুদ্ধতাও যখন একপেশে আমি কেন্দ্রিক, কিংবা তলে তলে সব হারিয়ে সমাজমাধ্যমে সাজানো জীবন ফেনিয়ে তুলছি আর দীর্ঘ তুলি দিয়ে আঁকছি নকল আয়ু, মিথ্যে উদযাপন, বিলাসী আস্ফালন তখন ‘আত্ম...’ বইটিতে কবি তীব্রতর করে তুলছেন বাস্তব- খড়, মাটি, কাঠ- খাঁ খাঁ কাঠামো। বেনারসি রাংতা, শোলার সাজ, রঙিন মুকুট ভেসে যাচ্ছে বাণের জলে। আতুপুতু কবিতা লিখতে পারছেন না কবি। ছিরি, ছাঁচ নেই কুৎসিৎ কাঠামো তাঁকে গিলতে আসছে...
‘শূন্য’ কবিতার কিছু অংশ দিতেই হয়...
... “ সাদা পায়রার ঠোঁটে ছাঁটাই চিঠিটি উড়ে এল।
আজ থেকে দুনিয়াশূন্য হাত শূন্য ব্যাগ শূন্য
ঢুঁ ঢুঁ রোজগার-গর্ব
বৌ বাচ্চা ঘাড়ে তিন জলজ্যান্ত চালু পেট
ফাদার্স হোটেলে- তীব্র কুয়াশা অমবস্যা রাত।
বিনা বায়ু ভেসে চলি,
তোলপাড় হাহাকার!
ক’ফোঁটা চোখের জল...
কী কষ্ট!... চাপামুখ।
ছায়া কাঁপছে কোথায়! কোনো গোপন মাটির বুকে
ভর্তি বিস্ফোরক!
... মর গাধা, মুখবোজা!
মুমমুন খরগোশের বাচ্চা!
জ্বলে মর!
একদম চুপ!”
প্রতিরোধ, প্রতিবাদ এড়িয়ে জড়ভরত হয়ে বেঁচে থেকে যারা ভাবছে বাঁচাতে পারবে নিজের অস্তিত্বটুকু, সে গুড়েও তো বালি। এমন পাথরের মতো চুপ থাকা, ভীতু খরগোশ হয়ে বাঁচাকে ঝাঁকিয়ে দিতেই হয় সোচ্চারে। সমাজতন্ত্রের আশা, উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি ধ্বংস করার আশা, ধ্বস্ত বেনিয়া নীতির বিরুদ্ধে বারবার গর্জন। তাঁর প্রশ্ন ধ্বনিত হতে থাকে গুহায়, সুড়ঙ্গে, অতলে। অচেতন নিদ্রিত মানুষকে এই বইটি ক্রমশ ঠেলতে থাকে- “আর কতদিন কালো রাক্ষুসে মড়া ছুঁয়ে এ’ মহাশ্মাশান ঘুম”। এই ঠেলতে থাকা শুকসারির গেয়ে ওঠা মধুর সঙ্গীত নয়। এগিয়ে আসা মিছিলের মতো। তেড়েফুঁড়ে প্রখর দাবি ছিনিয়ে নেওয়ার ডাক। স্বপ্নে, জাগরণে, শ্মাশানে একই ছবি বুনতে থাকেন কবি-
“নতুন সূর্যছবি পাতা জুড়ে লালে লাল
লালে মোড়া বালুতট
পতাকা হাতুড়ি চিহ্ন
নুন রক্ত ঘামে ভিজে দাপটশূন্য চেয়ার-
ঋণ আমার পথচলতি-
আমাদের রঙে শক্তি
লোহিত সাগর জল
একসাথে স্নান সেরে আমি- তুমি মুহূর্তযাপন
আমি-তুমি আকাশপানে মুঠো
আড়ালে জনস্রোতে মিছিলে ঘরের কোণে
চুম্বনে প্রাণের শব্দে
সে ঋণ শ্মাশানঘুমে ডোমের ভোরের স্বপ্ন
এটুকু সত্যি আঁকা থাক”
ভনিতাহীন অকপটে বলে যান যা বলতেই চান আজীবন। বইটির নাম ‘আত্ম...’ তিনটি ডটে পাঠকের সঙ্গে কবির যোগাযোগ। পাঠক তার মতো করে সেতু বাঁধেন। প্রচ্ছদ ধারণ করে চৌষট্টি পাতার বইটাকে। কবিতাগুলো পড়ার পর কবি রাজদীপ ভট্টাচার্য প্রচ্ছদ ভাবনায় সফল হয়ে যান পাঠকের কাছে। অল্প আয়োজনে বৃহৎরূপটি প্রতিভাত হয়। মলাটের ওপরের লাল ঢেউ ধূসর সময়ে চুঁইয়ে নামে ... অথচ পিছনের মলাটে লাল রঙ- অতীত। অস্বচ্ছ, অস্পষ্ট ধূসরতা ছত্রেছত্রে দিকশূন্য করে দিচ্ছে দিনগুলোকে... স্বপ্ন সত্যি হওয়ার অপেক্ষায় দিন গোনেন কবি।
অপেক্ষার কথা দিয়েই শুরু। সুসময়, প্রেম, আত্মানুসন্ধান, সুসামাজ, সঠিক রাজনীতি... লরেন্স ফারলিঙ্গেত্তির ‘আই অ্যাম ওয়েটিং’ এই বইয়ের প্রিল্যুড। একটা ছোট্ট লাইন কোট করা হয়েছে ... “and ’am waiting for the lost music to sound again”। পাঠকের দিক নির্দেশ তো ওই। ওই নোঙর। কিন্তু কবি লরেন্সের এই কবিতায় যে লাইন ফিরে ফিরে এসছে... “and I am perpetually awaiting a rebirth of wonder”। বিস্ময়! যা হারিয়ে যাচ্ছে... মহাবিস্ময় কি কবিকে গ্রাস করে! কিংবা পূতিগন্ধময় ধ্বংসাবশেষে দাঁড়িয়ে তিনি অপেক্ষায় থাকেন সূর্যোদয়ের... “অনন্ত এ দেশকালে, অগণ্য এ দীপ্তলোকে... তুমি আছ মোরে চাহি... আমি চাহি তোমা পানে...” যাত্রা অনন্ত। এক তপ্ত বালিয়াড়ি থেকে অন্যটায়। ফোস্কায়, প্রলয়ে, সাপের মাথায় পা দিয়ে নাচতে নাচতে হেঁটে যাওয়া। “সবকিছু ঝেড়ে ফেলে উজ্জ্বল ত্বকের আশায়” (শূন্য)। কবির সঙ্গে এই অযুত বছরের যাত্রাপথে দেখা হয়ে যায় আদিমানবের...
“নিয়ানডার্থাল : ... হয়ত জঙ্গলে গাছের কোটর থেকে অথবা কোথায় কোন্ গুহার ভেতরে সেই কঠিন লড়াইযুগে যাত্রা সূচনা করে হাঁটতে হাঁটতে আজ তুই-আমি একসঙ্গে...
আধুনিক : কোন্ পথে হাঁটি! কোন অপার সাহারা! (চোরা) বালির ওপর দিয়ে আজন্ম-আমৃত্যু পা... তলিয়ে যেতে যেতে মিথ্যেও স্বপ্নঘোর- হাত ধরি হাত ছাড়ি...
নিয়ানডার্থাল: নেশা! নেশা! বুঁদ হয়ে ডুবে থাকা! হাঁটার নেশাও যেন তাড়ির নেশার মত! শরীর চিমসে হোক, রোগা থেকে আরো রোগা, হাঁটার গল্পকথা তবুও একশো পার... হাজার লক্ষ পার... কোট কোটি বছরের হাড়ে দাঁতে পলিমাটি পাললিক শিলা পার...!” (“হঠাৎ দেখা”)
ভ্রমি বিস্ময়ে ভ্রমি বিস্ময়ে। সেই তো অনুরণন। হতাশ, বীতশ্রদ্ধ কবিকে নিরবিচ্ছিন্ন পথের কোন মন্ত্র দিয়ে যায় নিয়ানডার্থাল? সেও তো জানে “অনন্ত অভাগা আমরা” তবু কি অপুর মতো বলে ওঠে... “ কিন্তু সেইটি শেষ কথা নয়, সেইটি ট্যাজেডিও নয়, সে মহৎ কিছু করছে না, তার দারিদ্র যাচ্ছে না, অভাব মিটছে না, তা সত্ত্বেও সে জীবন বিমুখ হচ্ছে না, সে পালাচ্ছে না। এসকেপ করছে না, সে বাঁচতে চাইছে, সে বলছে বাঁচার মধ্যেই সার্থকতা, বাঁচার মধ্যেই আনন্দ, He wants to live”. কিন্তু কিছুটা আলাদা। মূল সুর একই কিন্তু ‘আত্ম...’ বলে যায় বাঁচতে হলে লড়তে হবে নিজের সঙ্গে, শোষক, সমাজ, আদর্শহীন বোধের সঙ্গে। ‘৮ ই মার্চ কিংবা শবরীমালা’ এবং ‘গরুরচনা’ কবিতা দুটি পাশাপাশি। সব কবিতা, পংক্তি তুলে আনা সম্ভব নয়। অন্তত নামটুকু পড়েই একটা দেশের অভিশপ্ত দশা উঠে আসে তো পাঠকের চোখে। একটা মধ্যযুগ যেন! দেশমায়ের জরায়ু, গর্ভ অচেনা ঠেকে। শান দিয়ে ওঠা রক্ত ফিনকি দিয়ে ভিজিয়ে দেয় শাইনিং ইন্ডিয়াকে। কবি বলে ওঠেন- “...ভানুসিংহ-কবিতা আজ তোমরা লিখলে লিখো/ আমার খালাসীশব্দ রক্তবৃত্ত ছন্দ...” (আগামী বসন্তে)
আট কুঠুরি নয় দরজাকেও খুঁজতে চেয়েছেন কবি। ‘ড্রয়িং-ডাইনিং’, ‘বেড রুম’ শীর্ষক কবিতায় দেহতত্ত্ব নাকি যৌন চেতনা! ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি ওই বাড়ি, যে বাড়িতে কেউ থাকে না! কিংবা থাকে খুব চেনা কেউ! লাভাপথে দেখা হয়ে যায়! মিলে যায় চেহারা, মুখ, চেতন?
“...আট কুঠুরী ঘরের নয় দরজা
তিনজন উজির তিনজন রাজা
তিনতলা ঘর বড়ই মজার
পাঁচজনার ওই বারামখানা...” এ তো বড়োই কঠিন চেনা। লালন পারেন। তিনি দার্শনিক। আমরা অভাগার দল কবিতা পড়ে জুড়তে চেষ্টা করি তার। সুর লাগে কখনো। কখনো বেসুর।
“...আগুন বিদ্যুৎ নুন কালকেউটের বিষ
যতটা গভীরের গ্যাছে
চরাচর শুষে নিলে শরীর শোলার বল
আরো হালকা ধুলোকণা হাওয়ায় উড়ব যদি
আকাশে বাউলমেলা মিহিশব্দে একতারা
শিব-শিবানী সুর কতটুকু দিতে পারি
বিকেল ফুরনো রঙে বেশ্যায় ব্রাহ্মণে
সটান তুলে নে দেখি
পাগলা চরণদাস
টুকরো জড়িয়ে দে উত্তরীয় গেরুয়ার
নাইটি জামা জাঙ্গিয়া প্যান্টি ব্রেসিয়ার
ঢালুপথে ওপারে সূর্য
শেষ দু’একটা চিল
জানলা বন্ধ করে কালোপর্দা আধা টেনে
উঠে এসেছি
নামার সময় হল
এখনও মে’ন গেট খোলা পড়ে আছে” (ছাদ)
বই- আত্ম...
কবি- সজ্জ্বল দত্ত
প্রকাশক- বারাকপুর স্টেশন
প্রচ্ছদ ভাবনা- রাজদীপ ভট্টাচার্য
নিবিড় আলোচনা। ভালো লাগলো। -- রাজদীপ ভট্টাচার্য
উত্তরমুছুন