সম্পাদকীয়
বাতিঘর অনলাইন মেঘ পিওন সংখ্যা
"মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মনখারাপের দিস্তা, মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা।"
বাতিঘর অনলাইন ব্লগজিনের প্রতি সংখ্যার আলাদা আলাদা নাম থাকে।এবার " মেঘ পিওন সংখ্যা "। নামটা বেছে নিতেই পৌঁছে গেছিলাম প্রিয় পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের বিখ্যাত ছবি ' তিতলি'র শুটিং স্পটে।আঁকাবাঁকা সাপলুডু পাহাড়ি পথ।চুলের কাঁটা বাঁক। একপাশে ঋজু দীর্ঘদেহী ব্যক্তিত্ববান সব গাছ,সবুজে সবুজ।অন্যপাশে গভীর মৃত্যুগন্ধী খাদ,খরস্রোতা উচ্ছলযৌবনা তিস্তা।আর অনিবার্যভাবে মেঘেদের আনাগোনা। পাইন গাছের চিরুনি - চিকন পাতায় পাতায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। তিরতির কাঁপন।ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ।মেঘ পাহাড়ের মিঠে খুনসুটি।
ঠিক এমনটাই চাইছিলাম। মেঘ- বৃষ্টি আবহে মুক্তি পাবে বাতিঘরের আপনজনেদের প্রিয় লেখা। হল না।ঘনঘোর মেঘমেদুর বরষায় শ্রাবণ বরিষণ দিনে পারলাম না প্রকাশ করতে। তার জন্য শর্তহীন ক্ষমাপ্রার্থী।এ দায় আমার। বিনম্র স্বরে বলি,' আমার আর হবে না দেরি..'।
আমাদের নিয়মিত প্রায় সব বিভাগই থাকছে এ সংখ্যায়।লেখা নির্বাচনে আমরা যতদূর সম্ভব লেখাই বিবেচনা করেছি, লেখক নয়।
অনাগতদিনে আরও কিছু কাজ করার অভিপ্রায় আছে।আমাদের মেইলে আপনারা পরামর্শ পাঠান।মতামত দিন।পত্রিকা সমৃদ্ধ হবে।আমরা উপকৃত হব।
আমরা ভাবতেই পারি মেঘযাপন কোন ক্যালেন্ডার নিয়ন্ত্রিত বিষয় নয়।যখন তখন ' ভারী ব্যাপক বৃষ্টি' বুকের মধ্যে ঝরতেই পারে।হৃদয়ের আনাচকানাচে অভিমানের মেঘ জমলে বৃষ্টি এসে দিতেই পারে ভিজিয়ে আশিরনখ।মেঘপিওন ব্যাগের ভেতর মনখারাপের দিস্তা নিয়ে হাজির হতেই পারে বৃষ্টিকাতর মনের কাছে বৃষ্টিবিলাসবেলায়।কেউ বলতে পারে না কার মেঘবালিকা কখন বৃষ্টি হবে, কে কখন ভিজে একসা কাপড় জামায়।আমরা জানি না বৃষ্টি আবহে শিহরিত স্বরে কে কখন গেয়ে উঠব, " এমন দিনে তারে বলা যায়... "।
তাই, মেঘ জমুক না জমুক, আমরা হাজির হলাম ' মেঘ পিওন সংখ্যা ' নিয়ে। একাজে সহায়তা করে ঋণী করলেন তাদের সবাইকে আন্তরিক ভালোবাসা জানাই।তবে আলাদা করে বলতেই হবে ,কারিগরী সহায়ক শমীক ঘোষের কথা।ও না হলে এ কাজ অধরা থেকে যেত।
শেষ করি মেঘ রংয়ে আঁকা চারটি লাইন দিয়ে....
' এই যে তুমি কাজের মাঝে,
বুকের মাঝে কি শূন্যতা!
ভালোবাসার মেঘগুলো কি
ছড়িয়ে দিল বিষন্নতা? '
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন