রঞ্জনা ভট্টাচার্য

  

মরীচিকা প্রহর  


সকাল বিকেল থেকে সকাল সকাল 

চাইতে চাইতে জ্বালানি শেষ,

কোশের প্রাচীন মায়াবী উনুন

কবে থেকে তারা জ্বাল দেয়,

ছাই ছাই তারা  ওড়ে মহাকাশে 

গায়ে গতরে ছাপ লাগে প্রত্যন্ত

পুড়ে যাওয়া ঘুমিয়ে পড়া তারার,

ঘুমের দগ্ধাবশেষ থেকে স্বপ্ন জেগে ওঠে,

টুকরো হয়ে ছড়িয়ে যাওয়া কাজে

লেগে থাকে কর্মফলের আশা,

যীশুখ্রীষ্টের পানপাত্রে

কর্মফলের ভার্জিন মোহিত

স্ট্র দিয়ে চুমুক দেয় ভিজে যাওয়া গোধূলি...

ভিজিটিং আওয়ার্স শেষ হয়ে আসে

কম পাওয়ার বাল্বের আলোয়

কামরাঙা কৈশোর 

ফুরিয়ে আসা জ্বালানির নিজস্ব গান

আছে, তাল আছে, সোমে ফেরার 

ইচ্ছে আছে 

সুজাতার পায়েস ভাণ্ড জেনেছিল

'শূন্যতা ' সাম্যের গান,

চাহিদাকে শূন্যতা দিতে চেয়েছিল

যাতে জ্বালানি না ফুরায়,

রক্তের মধ্যে শুধু খেলা করে অনন্ত 

কেন আর কে...

খেলতে খেলতে তারা জেগে ওঠে

মরীচিকা প্রহরে,

দেখে বিন্দুর ভিতর সঙ্কল্পের হৃদপিন্ড

ধুকপুক চলছে নিরন্তর  


 

বারুদ -মুহূর্ত 


ঊর্বরা না হলেও ,কর্ষিত হতে চাই,

আলপথের দুঃখ ,সুখ গোধূলিতে

স্নাত হয়,

নিরীহ জ্যোৎস্না উদাস লাঙ্গলের ফলায়

ছিঁড়ে যাওয়া সঙ্গীত রেখে যায়...

অনেক কথা বলার ছিল,

শোনার কেউ ছিল না ,

লাল গ্রহের নদীর পাশে শুয়ে

গতজন্মের  নীলতৃষ্ণা বয়ে যায়...

ধূপ জ্বলে আনপড় জমির উপর

কুয়োয় অনেক নীচে এক বালতি জল

আমাকে ধোয়ায় না মোছায় না,

পাশ দিয়ে চলে যায় রোগা ট্রেন

অকারণ হুইসেল নিয়ে খেলা

করতে থাকে পড়ন্ত বিকেল


মন্তব্যসমূহ

  1. পড়লাম। ভালো লাগল।
    পৃথা চট্টোপাধ্যায়

    উত্তরমুছুন
  2. দুটো কবিতাই ভালো। দ্বিতীয়টা বেশি ছুঁয়ে গেল।
    "অকারণ হুইসেল নিয়ে খেলা
    করতে থাকে পড়ন্ত বিকেল" - খুব ভালো। -- রাজদীপ ভট্টাচার্য

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য