নীলম সামন্ত

 


 খুচরো বৃষ্টি  



১ 


আষাঢ় এলেই কবিতায় বৃষ্টি পড়ে

ছেঁড়া ছাতার ম্যাহফিলে

আমি বৃষ্টি ও পাপোশ এক সরলরেখায়

ক্রিয়াপদের ব্যবহার কমাতে মেপে নিচ্ছি 

টিকটিকির গতিবেগ 


২ 


এক গোছা কালো বেলুন মুখ লুকিয়েছে জামগাছে

পাখিদের স্প্রিং জাম্প 

আনকোরা বৃষ্টির টি টোয়েন্টি দেখতে দেখতে বুঝি 

কাদা জমছে নখের গোড়ায় 



জামাটা পড়ে গেল কার্নিশে 

না বুঝেই হাতটা বাড়িয়ে দিলে বৃষ্টিতে 

মুছে যাচ্ছে সন্ন্যাস

দেখ না আমিও কেমন পড়ে যাচ্ছি 



ন্যাতানো জিলিপিগুলোর দিকে তাকালে 

ইচ্ছে করে পৃথিবীকে জিরো গ্র‍্যাভিটির করে দিই 

ব্রহ্মান্ডের মাছি, পাথর, পোকা

সবাই খেতে পারবে লোফালুফি করে



গাছগুলো ভিজতে ভিজতে ক্লান্ত 

কাকেরাও

ল্যাম্পোস্টের নিচ দিয়ে যেতে যেতে ভাবি 

ঈশ্বর তো চাইলেই পারেন মাথার ওপর 

ডাল লেক বানিয়ে দিতে



রাস্তায় এখন অজস্র কেঁচো 

জ্যামিতিক নকশায় চাঁদনিরাত 

কে বলে বৃষ্টি বাড়লে ঘুম পায় 

আমি তো দেখছি ঘরে ঘরে বিরিয়ানির আতর 


মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য