নীলম সামন্ত
খুচরো বৃষ্টি
১
আষাঢ় এলেই কবিতায় বৃষ্টি পড়ে
ছেঁড়া ছাতার ম্যাহফিলে
আমি বৃষ্টি ও পাপোশ এক সরলরেখায়
ক্রিয়াপদের ব্যবহার কমাতে মেপে নিচ্ছি
টিকটিকির গতিবেগ
২
এক গোছা কালো বেলুন মুখ লুকিয়েছে জামগাছে
পাখিদের স্প্রিং জাম্প
আনকোরা বৃষ্টির টি টোয়েন্টি দেখতে দেখতে বুঝি
কাদা জমছে নখের গোড়ায়
৩
জামাটা পড়ে গেল কার্নিশে
না বুঝেই হাতটা বাড়িয়ে দিলে বৃষ্টিতে
মুছে যাচ্ছে সন্ন্যাস
দেখ না আমিও কেমন পড়ে যাচ্ছি
৪
ন্যাতানো জিলিপিগুলোর দিকে তাকালে
ইচ্ছে করে পৃথিবীকে জিরো গ্র্যাভিটির করে দিই
ব্রহ্মান্ডের মাছি, পাথর, পোকা
সবাই খেতে পারবে লোফালুফি করে
৫
গাছগুলো ভিজতে ভিজতে ক্লান্ত
কাকেরাও
ল্যাম্পোস্টের নিচ দিয়ে যেতে যেতে ভাবি
ঈশ্বর তো চাইলেই পারেন মাথার ওপর
ডাল লেক বানিয়ে দিতে
৬
রাস্তায় এখন অজস্র কেঁচো
জ্যামিতিক নকশায় চাঁদনিরাত
কে বলে বৃষ্টি বাড়লে ঘুম পায়
আমি তো দেখছি ঘরে ঘরে বিরিয়ানির আতর
বাহ, খুব সুন্দর লেখা।
উত্তরমুছুন-- রাজদীপ ভট্টাচার্য