অনিন্দ্যকেতন গোস্বামী
গদ্যেরা
একদিন ধন্বন্তরি হবে
❋❋❋❋❋❋❋❋❋❋❋❋❋❋❋❋❋❋
ফসলেরা
সমাগত হয়ে আছে রাত্রির নক্ষত্রের কাছে
রাত্রি ঢুকে
যায় নিস্তব্ধ গ্যালাক্সি প্রদেশে।
তবু নীলিম
রক্ত আরক্তিম করে তোলে চূর্ণির ঢেউ
চুম্বন করে
হরিণী রেশমি সোনালী রৌদ্র।।
কবিরা বড়
মানবীয় জাদু;
বড় ঘুম নিয়ে
শুয়ে থাকে পাহাড়ের খাটিয়ায়-
কবিরা বড়
মায়াবী কচি পাতা;
জাগরী গান
শুষে নিয়ে সোনালী চাঁদের মত ঢেউ খেলে
রাত্রি নেমে
আসে সিংহল দ্বীপে।
দরদী ঘুনপোকা
খেয়ে ফেলে কাঠের পেরেক
বুকের
ছাতিমে হাওয়া নড়ে ওঠে;
রাত্রি নড়ে
ওঠে উচ্ছের মাঁচা ঘেঁষে।
সুঘ্রানে
নেমে আসে পাটিসাপটার পাড়া
সুঘ্রানে
নেমে আসে লাবণ্যের রাশি;
সিড়ি নেমে
যায় গহ্বর চোখে মণিকর্ণিকায়...
নখ নামে
নখপলিশের উজ্জ্বল হ্রদে।
কালো চশমার
কাঁচ ঘিরে রোদ ভরে ওঠে
কালপুরুষ
হাসে। লুব্ধক বিশ্রুত হয়
সম্রাট তুমি
নেমে আস বরবুদুরের স্তূপ প্রাঙ্গণে।
মানুষ
বিছানায় স্তব্ধ হয়ে ওঠে হংসগর্ভে
রাত্রি নেমে
এলে ফসলেরা সমাগত হয় সম্রাজ্ঞীর নিকট।
এইসব করুণার
হাত সূর্য মুখী গত;
এই সব
করুণার ঠোঁট বন্ধু;
এই সব
রাত্রিরা বড় বিশুদ্ধ যোগী বট
তবু
মানুষেরা একদিন পেলে
নিতান্ত বিশুদ্ধ একদিন পেলে
হাওয়া-ঘর জপ
করে নাবিক, বাঁধন মন্ত্রে।
অহো, তোমার
গর্ভে আমার গদ্যেরা একদিন
ধন্বন্তরি
হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন