প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল




পরের দিন ভোরবেলা গোমুখের
উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম ।ট্রেক করতে হবে 6 কি.মি.।পুরো রাস্তাতেই সঙ্গ দেবে বরফ সাদা
শিবলিঙ্গ পর্বতশৃঙ্গ।প্রথমেই গঙ্গার পাড় পরিবর্তন করতে হবে , অর্থাৎ ভুজবাসা’র ওপারে যেতে হবে । শুনতে কি সহজ !
অথচ এই পাড় পরিবর্তন করা যেমন কষ্টকর , সময়সাপেক্ষ তেমনই আদিম
সময়ের মত মানুষের শ্রমনির্ভর । মানুষ তার পেশীশক্তি খাটিয়ে ঝুলন্ত ট্রলি’তে করে 4 জন করে
টেনে টেনে পার করছে । অন্যপারে পৌঁছে আপনাকেও দড়ি টেনে 4 জন’কে পার করে দিয়ে তবে আপনি এগোতে পারবেন । এভাবে গঙ্গার ওপারে পৌঁছতেই সময়
লেগে যায় প্রায় 3 ঘন্টা । এটাও এক অন্যধরনের অভিজ্ঞতা ।“
মানুষ মানুষের জন্য”-এটাই এই নির্জন জায়গায়
মনে করিয়ে দেয় ।এবার গঙ্গার বা দিকের পাড় ধরে এগোতে হবে
। রাস্তা বলে বিশেষ কিছুই নেই । বড় বড় বোল্ডার পড়ে আছে , সেগুলোকে ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে এগোতে হবে ।হাওয়া বইছে , তবে শুষ্ক এবং ঠান্ডা । গাছপালাহীন , মনুষ্যহীন রুখাসুখা জায়গা , যা দেখে শীতল মরু’র দেশ লাদাখের কথা মনে আসে ।এভাবে ঘন্টা তিনেক পথ চলার পর আমাদের সামনে দৃশ্যমান হল সেই বহু আকাঙ্খিত গোমুখ গুহা , যেখানে গঙ্গা’র বিশ্বদর্শন শুরু । দেখে সারা শরীরে যেন শিহরণ খেলে যায় । এক অন্য ধরনের অনুভূতি শরীরকে গ্রাস করে নেয় । কাছে গিয়ে ছুঁয়ে দেখি ।কিন্তু সাবধান ! আলগা বরফের চাঙড় যখন তখন খসে পড়ছে।চুপচাপ বসে প্রকৃতির এই অপূর্ব সৃষ্টি’কে উপভোগ করতে ইচ্ছা করে। প্রকৃতি এখানে আমাদের প্রতি হঠাৎ করেই বিরূপ হল, শুরু হল landslide ।যেন প্রকৃতিই বলে দিলো ‘এবার আমাদের ফিরতে হবে’।Mt ভাগীরথী’র পাদদেশের ঐ সৃষ্টিশীল গুহা’কে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা ফিরতে শুরু করলাম।
। রাস্তা বলে বিশেষ কিছুই নেই । বড় বড় বোল্ডার পড়ে আছে , সেগুলোকে ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে এগোতে হবে ।হাওয়া বইছে , তবে শুষ্ক এবং ঠান্ডা । গাছপালাহীন , মনুষ্যহীন রুখাসুখা জায়গা , যা দেখে শীতল মরু’র দেশ লাদাখের কথা মনে আসে ।এভাবে ঘন্টা তিনেক পথ চলার পর আমাদের সামনে দৃশ্যমান হল সেই বহু আকাঙ্খিত গোমুখ গুহা , যেখানে গঙ্গা’র বিশ্বদর্শন শুরু । দেখে সারা শরীরে যেন শিহরণ খেলে যায় । এক অন্য ধরনের অনুভূতি শরীরকে গ্রাস করে নেয় । কাছে গিয়ে ছুঁয়ে দেখি ।কিন্তু সাবধান ! আলগা বরফের চাঙড় যখন তখন খসে পড়ছে।চুপচাপ বসে প্রকৃতির এই অপূর্ব সৃষ্টি’কে উপভোগ করতে ইচ্ছা করে। প্রকৃতি এখানে আমাদের প্রতি হঠাৎ করেই বিরূপ হল, শুরু হল landslide ।যেন প্রকৃতিই বলে দিলো ‘এবার আমাদের ফিরতে হবে’।Mt ভাগীরথী’র পাদদেশের ঐ সৃষ্টিশীল গুহা’কে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা ফিরতে শুরু করলাম।

এক দূষণহীন পৃথিবীতে দু’দিন কাটিয়ে এবার ফেরার পথে যাত্রা শুরু। ফেরাটা
তাড়াতাড়িই হয়।সকালে বেরিয়ে বিকালে’র মধ্যে গঙ্গা মাইয়ার
মন্দিরে প্রণাম সেরে গঙ্গোত্রীতে প্রবেশ করলাম জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা নিয়ে।
কখন
যাবেন: মে-অক্টোবর ।তবে অক্টোবর মাসই উপযুক্ত সময় ।
খুব ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনখুব খুব সুন্দর।
উত্তরমুছুন