নিলয় নন্দী
আমি কান পেতে রই...
পাঠভবন। ছাতিমসুবাস। তিনপাহাড় আর হেমন্তের এস.এম.এস । পলাশপাগল রাস্তা । জলরঙে শ্রাবণ কোপাই....
কান
পেতে রই। ক্যানভাসে তখন যোগেন চৌধুরীর তুলিঝড়। আর সুদূর দিগন্ত পেরিয়ে
ছুটে আসছে একটা বাইসাইকেল। হলুদ পাঞ্জাবী, সাদা পাজামা আর কন্ঠে " কোন
গোপন বাঁশির কান্না হাসির গোপন কথা শুনিবারে বারে বারে..." বাগানবিলাস
গাছের ছায়ার নীচে সাইকেল ধরে দাঁড়িয়ে সে। হলুদ শাড়ি, কোঁচড়ে তার নুন,
সর্ষের তেল, চিনি আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে মাখা তেঁতুল। শিখে নিচ্ছে "দূরে
কোথায়" এর "যেতে চায় সেই অচিনপুরের" সেই জায়গাটা যা এখনো গলায় বসেনি।
ততক্ষণে, 'আনন্দধারা' থেকে ডাক ছড়িয়ে গেছে হাওয়ায়
হাওয়ায়। "কই, কবি এলো না তো এখন ও "... বাতাসে ছড়িয়ে তখন উদ্বেগকণিকা।
গেটের শব্দ, সে এলো কি? অ্যান্ড্রুজ পল্লীর দিকে তখন ছুটে যাচ্ছে সাইকেল।
আর তার কিছুক্ষণ পরেই আনন্দধারা থেকে যুগল আনন্দধ্বনি। রবি বাউলের গানে
সারা পল্লি যেন ভেসে যাচ্ছে! গাইছে সে । সুর সরে গেলে ধরিয়ে দিচ্ছেন
শান্তিনিকেতনের মোহর।
শুধু মোহরমাসীই কেন, কখনো কখনো তাদের বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াতো
তাঁর রিকশা। বাড়িতে তাঁর পা পড়লেই মনে হতো স্বয়ং গুরুদেবের পা পড়েছে
বাড়িতে। বাবা, হুইলচেয়ার টেনে তাঁর সামনে এসে বসতেই স্বয়ং শান্তিদেব বলে
উঠতেন, " মোহন, ধ্রুপদ শোনাও। " আর ধ্রুপদে খুশি হয়ে তিনি খুলে বসতেন তাঁর
গানের ডালি। ভিতর ঘরে তখন নবীন কিশোরের হৃদপাতায় মুদ্রিত হয়ে উঠছে সেই সব
স্বরলিপি। "কত জনম মরণেতে তোমারি ওই চরণেতে /আপনাকে যে দেবো, তবু বাড়বে
দেনা/ আপনাকে এই জানা আমার ফুরাবে না "
ফুরায় না, আপনাকে এই জানা যে তাঁর ফুরায় না।
ফুরায় না, আপনাকে এই জানা যে তাঁর ফুরায় না।
সাঁঝবাতি জ্বলে উঠলে বাবার ঘরে শোনা যেত আব্দুল করিম খান,
ফৈয়াজ খানের কন্ঠ। আর তাঁরা দুই ভাই বাবার পায়ের কাছে বসে শুনতো দ্য
মাউন্টেন অফ দ্য মুন। শঙ্কর আর আলভারেজের সঙ্গে সেও ঘুরে বেড়াতো
রিখটারসভেলড এর গহন গহীনে চাঁদের পাহাড়ের সন্ধানে। সে হারিয়ে যেত বাঁশির
সুরে, হারিয়ে যেতো ছাতিমতলায়, হারিয়ে যেতো কালি কলমে। ‘অন্ধমুখে বাতাস
রাখো/ শীতল বুকে ছই/ আগুন যদি জ্বলে, জ্বলুক/ পাতার ফাঁকে সই...!’’ বেরোলো
তার "ছাতিমকে লেখা চিঠি " ততদিনে সে কলেজ। সেই কোন ছোটবেলায় কোলে জড়িয়ে
মোহর মাসী ডাকতেন, কবি। যেদিন চলে গেলেন কণিকা, মনখারাপি সর্বনাশের ছোঁয়ায়
সে ছেলেই তো লিখে ফেলেছিলো, ‘বর্ষাকাল ও শ্রাবণদিন/ তেমন করে ব্যথার থেকে
গানে/ তুমি কি আর নতুন কোনো জন্ম লিখে দেবে।’’
নতুন জন্ম লিখেই দিলো সে। বিশ্বভারতীর অনুরোধে তিনি তখন বাংলা
বিভাগের অধ্যাপক। ক্লাসের শেষে দুই প্রিয় ছাত্র বিক্রম আর নীলাঞ্জনের
কাঁধে হাত রেখে তিনি তখন পায়চারি করতেন পূর্বপল্লীর রাস্তায়। কুড়িয়ে খেতেন
আমলকী। উদাত্ত কন্ঠে বলে যেতেন, "আসলে কেউ বড় হয় না বড়র মত দেখায় /আসলে আর
নকলে তাকে বড়র মত দেখায় "..."আজ যেমন করে গাইছে আকাশ তেমন করে গাও গো "
আকাশী শব্দের জরিবোনা চলতেই থাকে। সুবর্ণরেখা বুকশপ থেকে হাতে উঠে আসে, "ও
চিরপ্রণম্য অগ্নি "। কলকাতায় তখন সত্যিই পুড়ছেন শক্তি তাঁর আকুতি মেনেই।
আর, বিক্রম, সে লিখে যায় কান্নাকাব্য ,..."বিপরীত মুখে চলে যাওয়া রাজপথ
কতোটা সময় রেখে যায়— আয়ুহীন মাপকাঠি?/ ক্রমশ ডুবে যাওয়া লালচাঁদ আর/
বৃষ্টিতে ভিজে চুপ্পুড় শালবন...।" ভিজে যাচ্ছে আপনকথা, ভিজে যাচ্ছে আলো।
সামলে চলাই ভালো।
''এই যে ঝুমরিতালাইয়া গজলগাইয়া, চলো যাই " বলেই হাত ধরে নিয়ে
ছুট হলুদ শাড়ির। "আরে ছাড় ছাড়, কোথায় রে?" "ওই কোপাই এর ব্রিজে, সেখানে সজন
এর আড্ডা বসেছে চলো, গাইতে হবে গো, তোমার মত গায়ক কে আছে এ তল্লাটে? " "
কি যে বলিস?".... পূর্ণিমার আগের রাতে গীটারের সাথে গাইলো সে, "কিছুই তো
হলো না...সেইসব... সেইসব"। হাতের জ্বলন্ত সিগারেট পুড়তে পুড়তে স্কাল্পচার
হয়ে গেলো। সেই মেয়েটিও গাইলো, "আমি বহুবাসনায় প্রাণপণে চাই, বঞ্চিত করে
বাঁচালে মোরে "..... জানিস, আমাদের বাড়ির নাম রেখেছি তোর নামে, "শাহানা"...
" আর ঢং করতে হবে না বিকু, সাহানা তোমার প্রিয় রাগ, আর সে যদি বলো, তোমার
সাহানা তো তালব্য শ " মান ভাঙাতে হো হো করে হেসে উঠতো সে ছেলে, " সে তো
আমার 'শাদা' ও। শুভ্র হতে পারে, শ্বেত হতে পারে, শুধু 'সাদা'য় দন্ত্য স।
ধুস, যেন শ্বেতত্বে ঘাটতি পড়েছে। "....
'শুভ্র আসনে বিরাজ অরুণ ছটা মাঝে', ভোর নেমে আসে বোলপুরে
রেওয়াজে রেওয়াজে। বিক্রমের শাদা শার্টে আজ রঙের প্লাবন। আজ দোল। জয়
শান্তিনিকেতনে। মেঘবালিকার কবি বিক্রমের ঘরে বসে শোনে শ্যামকল্যাণ, শোনে
জয়জয়ন্তী। ছাদে কবি ও গায়ককে ঘিরে বসন্ত উৎসব, ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়... জয়
কবি লিখে যান "জলঝারি.." বিক্রম লিখে যায় ‘‘...শীত শীত মিহিন কুঠিবাড়ি/ যা
কিছু উন্মাদ করতল উজাড় করে চায়/ গমের ঘ্রাণের মতো ভোর, শাঁখরঙ/ অপরাহ্ন
গুলঞ্চের... / ‘দিতে পারো দু-একটা বৃষ্টি গান লিখে’...।’’....লিখে দেন জয়
বৃষ্টিগান। আর কড়ি ও কোমলের সেই ছেলে ও সেই মেয়েকে খুঁজে পান খোয়াই এর
ধারে। জানো খোয়াই, ওরা কোথায়? জানি তো, ওরা গোয়াল পাড়ার মধ্য দিয়েই আসছে
খোয়াই এর দিকে। মেয়েটার চুলে ধনেপাতা আর ছেলেটার বিলাবল আলাহিয়া। শুদ্ধ
স্বর আর কোমল রেখাবের কথা। আর সেখানে কলাভবনের মিঠু দিয়ে দিচ্ছে ওর
গানওলাকে খোয়াই এর অর্ধেক স্বত্ব। বিক্রম লিখে ফেলছে "ব্রাত্যকথা"। আর
আলাপন। "তোমার পাশে রাত্রিজাগা মাঠ/ মেঘের নীচে কাঁপতে থাকা ভোর/ তোমার
কাছে যেটুকু পরিচয়/ যেটুকু পাপ ভাসিয়ে নেবে ঘোর"
বৃষ্টির মত তখনো ঝরে পড়ছে তিলক কামোদ, হেমকল্যাণ বা চাঁদনী কেদার। তখন কুয়াশার পাশে কবি, কবির পাশে কালো হরিণ চোখ আর,
"তুমি সঙ্গে ছিলে তুমি সঙ্গে ছিলে একরাস্তা পার
এখনো রয়েছে স্মৃতি পারাপার... "
বৃষ্টির মত তখনো ঝরে পড়ছে তিলক কামোদ, হেমকল্যাণ বা চাঁদনী কেদার। তখন কুয়াশার পাশে কবি, কবির পাশে কালো হরিণ চোখ আর,
"তুমি সঙ্গে ছিলে তুমি সঙ্গে ছিলে একরাস্তা পার
এখনো রয়েছে স্মৃতি পারাপার... "
যার বুকের অলিন্দ নিলয়ে ভীমসেন যোশী আর উলহাস কোশলকর, তাকেই
ফিরিয়ে দিলো সংগীতভবন। ইন্টারভিউ তে তার ও তার বাবার মার্গসঙ্গীতের
দক্ষতাকে তাচ্ছিল্য করা হল চূড়ান্ত। সেই শুরু হতাশার। সেই খোয়াই মেয়েও
কোথায় হারিয়ে গেছে এতদিনে! ২০০৫ এ চলে গেলেন মা। সে এখন বসে থাকে সোনাঝুরি
বনে জ্যোৎস্না শ্মশানে, বসে থাকে কোপাইএর জলে পা ডুবিয়ে। ভেসে যায় এলিয়ট আর
বোদলেয়ার। ভেসে যায় শক্তি আর জয়। সে এখন দেখতে পায় গভীর রাতে কারা যেন
লন্ঠন হাতে হেঁটে যায় দক্ষিণ গোলার্ধের দিকে। নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছো নয়নে নয়নে... "নভেম্বরের ৭ তারিখ ওদের মা চলে গেল। পিঙ্কু খুব কষ্ট
পেয়েছিল। ওর নিজের চলে যাওয়া হয়তো সেই শোকেই! খবর পেতাম, বহুদিন চাঁদের
শ্মশানে গিয়ে ও একা বসে থাকত!’’...ও ঘরে ভাই এখনো এস্রাজ বাজাচ্ছে। মিশ্র
খামাজ...
সেদিন বিক্রম একাই ছিল শান্তিনিকেতনে। বাবা অসমে গানের
অনুষ্ঠানে। সঙ্গে ভাই আবীর ও দূর্বা। সেইদিনই প্রথম অবুঝ হৃদবিকলতা। পায়ের
জোর গেলো কমে, প্রায় অসাড়। কলকাতায় ভর্তি করাও হলো। সেরেও উঠলো অনেকটা।
যেদিন শান্তিনিকেতন ফেরার কথা, সেদিনই ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যাটাক.....
"ফোন করলে প্রায়ই শুনি তুমি চান করতে গেছো । পরে ফোন করে
বলতে, 'শোন না, আজ বেশ করে শ্যাম্পু দিয়ে চান করলাম।' আমি তাচ্ছিল্যে
বলতাম, 'ওই তো দুটো চুল, তার আবার শ্যাম্পু। তোমার বুড়োবয়েসে ইয়াব্বড় টাক
পড়বেই দেখে নিও।' তার উত্তর প্রায়ই হতো, 'আর তুই তাতে ছবি এঁকে দিবি
কিন্তু ! তবে বুড়ি হলে তোকে খুব সুন্দর দেখতে হবে। তুই একটা অতি সুন্দরী
বুড়ি হবি, দেখিস'। তখনও আমরা নিশ্চিত, আমরা সকলেই একসঙ্গে বুড়োবুড়ি হবো।
তখন'ও আমরা প্রবীরদার ধাবার পেছনে বসে ধানক্ষেতের ওপর চাঁদ-ওঠা দেখবো। তুমি
গাইবে 'তুমি কিছু নিয়ে যাও, বেদনা হতে বেদনে', ঝিরিঝিরি হাওয়া দেবে, বৌদি
মাছ-চুর ভেজে দিয়ে যাবে মাঝে মাঝেই, আমাদের বাড়ি ফেরার তাড়া থাকবেনা তেমন"
সেই বাগানবিলাস, সেই তেঁতুলমাখা, সেই 'দূরে কোথায়', সেই কোপাই
ব্রিজ সব পড়ে রইলো যে বিক্রমদাদা। সেই হলুদ শাড়ি এখন ইউটিউবে গায় "আমার
হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি, মন বান্ধিবি কেমনে? ".... বেঁধে রাখতে পারে না
কাইনেটিক হোন্ডা, বইয়ের তাক, নিজের সিডি, তানপুরা, রং তুলি, ইজেল, পছন্দের
কলম, পারফিউম, সিগারেট...
-বিক্রমদাদা, একসাথে বুড়োবুড়ি হওয়া হলো না যে আর...
- কড়ি মা। বড় চড়া সুর। ছোঁয়া যায় না। আরোহণ আর আরোহণ। সরে যায় ধনেপাতা বিনুনীর কৃষ্ণকলি। দূরে যায়। কোমল সুর থেকে কত দূরে...
- কোথায় গেলি পিঙ্কু? কোথায়?
ভেসে আসে পিতৃসুর, "এ পরবাস রবে কে "
ভেসে আসে পিতৃসুর, "এ পরবাস রবে কে "
গভীর রাতে খোয়াই এর মাঠে ঝরে পড়ে দরবারী, বাগেশ্রী বা আভোগীর
সুর। তারা খসে পড়ে। কাঁদে ভায়োলিন। আশ্রমের মাঠে আম্রকুঞ্জে লেখা হয়
স্বরলিপি। কাঁচের মন্দিরের ভেতর থেকে ভেসে আসে ব্রাহ্মসঙ্গীত। ভোর হয়ে আসে।
সারি সারি হলুদ , পিঁপড়ের মত উঠে আসে প্রার্থনাসভায়। " এই আকাশে আমার
মুক্তি আলোয় আলোয়...."
গুরুদেব বসে আছেন অন্তরালে গাছের ছায়ায়। আর তাঁর পায়ের কাছে তানপুরা হাতে সেই পাঞ্জাবি যুবা, বিক্রম সিং খাঙ্গুরা। কন্ঠে " মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না".... সে তো দেখেনি রবীন্দ্রনাথকে কখনো, তবু দেখা হয়, তেমন করে ডাকতে জানে ক'জন, গাইতে জানে ক'জন....আজ কি তাঁর দেখা পেলে বিক্রম অতীন্দ্রিয়ের দেশে, শোনালে তাঁকে, "জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণা ধারায় এসো/ সকল মাধুরী লুকায়ে যায়, গীতসুধারসে এসো "?
গুরুদেব বসে আছেন অন্তরালে গাছের ছায়ায়। আর তাঁর পায়ের কাছে তানপুরা হাতে সেই পাঞ্জাবি যুবা, বিক্রম সিং খাঙ্গুরা। কন্ঠে " মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না".... সে তো দেখেনি রবীন্দ্রনাথকে কখনো, তবু দেখা হয়, তেমন করে ডাকতে জানে ক'জন, গাইতে জানে ক'জন....আজ কি তাঁর দেখা পেলে বিক্রম অতীন্দ্রিয়ের দেশে, শোনালে তাঁকে, "জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণা ধারায় এসো/ সকল মাধুরী লুকায়ে যায়, গীতসুধারসে এসো "?
আমি কান পেতে রই। শান্তিনিকেতন এর ডিয়ার পার্কের "শাহানা"
থেকে আজও ভেসে আসে, "কিছুই তো হলোনা সেইসব সেইসব "...আর দক্ষিণী হাওয়ায় উড়ে
যায় চিঠির পাতা " একলা ডিঙি ভাসাও দেখি মেঘের আগে আগে / একলা ভেসে শিখুক
তবে আগুন কেন লাগে"...
গ্লাসগো থেকে একটা বিমান ফিরে আসছে।
তথ্যঋণ ঃ বিক্রম সিং খাঙ্গুরা, জয় গোস্বামী, সাহানা বাজপাই এবং আনন্দবাজার পত্রিকা।
কখনো কখনো চোখে জল আসার কারণ ব্যাখ্যা করা যায় না......এ মায়া লেখা কোথায় নিয়ে যায় মনকে, নির্দিষ্ট করতে পারি না।মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
উত্তরমুছুনকী লিখলে নিলয়। অসামান্য। এমন চমৎকার গদ্যপাঠের পরে চুপ করে বসে থাকতে হয়। ভাবনায় জারিত হতে হয়।
উত্তরমুছুনটুপটাপ পাপড়ি ঝরা গদ্য। ❤❤❤
উত্তরমুছুনবিষয় যখন রবীন্দ্রগান ও শান্তিনিকেতন, মোহরদিমণি । আর কী চাই! দারুণ লাগল।
উত্তরমুছুন