আলো বসু


আলাপ 
ঘ্রাণেন অর্ধভোজনম্  থেকেই বোঝা যায় তার  বিস্তারের বহর

আটপৌরে করে পরা শাড়ি যেমন নাকের কাছে নাচাতে থাকে চমনবাহার, মিঠাপানের গন্ধ ফুসলিয়ে নিয়ে যায়

নো ম্যানস ল্যান্ডে যার দূরত্ব রচনায় বারবার গোল্লা পেয়েছি

কিংম্বা আমাজনে কেনা 'মিট্টি কী আতর'

প্রথম বৃষ্টির জল আর মাটির মাখোমাখো গন্ধ

পেরেছে কী  বোতলবন্দি করতে!

সেইসব বৃষ্টি গন্ধ আমাকে নিয়ে পাড়ি দেয় অনেকদূরে

মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে আমার দুর্বল  কলম   অসংখ্য ক্লিশে উপমার স্তুপে

এমনকি তুমি যখন চলে গেলে ততদিনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে অল্প স্বল্প পরিচয়

জেনেছি চলে যাওয়া  এই নশ্বরে একপ্রকার শিল্প, বহুবিস্তৃত তার চলন

যে যাবে সমস্ত দিয়ে তাকে বলতে হবে ----যাও

আর বিয়োগব্যথার গন্ধ একজীবন  বিস্তার নিয়ে

আমাকে মাঠের পর মাঠ পার করিয়ে দেবে

অথচ দ্যাখো, এই প্রথম আলাপ একটা গন্ধের সঙ্গে যার কোন বিস্তার নেই!

কোথাও যাচ্ছে না, যেতেও দিচ্ছে না

সুখ- দুঃখ, শোক - অশোক এর মাঝখানে একটা হাইফেনে ঝুলছি দুজনেই!










মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য