দীপ শেখর চক্রবর্তী



              হৃদয়ে গমের  ঘ্রাণ             
                      ' যাও পাখি যারে উড়ে,তারে কয়ও আমার হয়ে
                               চোখ জ্বলে যায় দেখব তারে
                                 মন চলে যায় অদূর দূরে
                      যাও পাখি বল তারে,সে যেন ভোলে না মোরে। '
না পাওয়ার দেবতা যিনি এভাবে একটা উন্মাদ হাওয়া ছড়িয়ে দেন একেকদিন।পৃথিবীর সবথেকে সুখ হল যেখানে যাওয়ার নিয়ম সেই পথ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আসা।শীতের সন্ধেবেলায় টেমার লেনের একটা ঘিঞ্জি আড্ডা ছেড়ে এই যে বিপরীত দিকের একটা রেলগাড়িতে চড়ে বসলুম এতে করে জীবনের লাভের অংশে খুব বড় একটা ক্ষতি হয়ে গেলেও জীবনের দেবতা সেই ক্ষতির ভার বহন করার জন্য যথেষ্ট শক্তি দিয়েছেন।অন্তিম স্টেশনের আগে যত জায়গায় রেলগাড়িটি দাঁড়াবে প্রতিটি স্টেশনেই নেমে পড়তে ইচ্ছে হয় অথচ অভিজ্ঞতা বলে ধৈর্য ধরো।ক্ষণস্থায়ী এবং চিরকালীনের মধ্যে তফাৎ বুঝে নাও।স্টেশন থেকে একটা ব্যাটারি চালিত গাড়ি ধরে এগোতে এগোতে দেখি মানুষের বসবাসচিহ্ন।পুরনো মন্দিরতলায় বসে আছে যে বয়স্ক মানুষটি তার সঙ্গে এই জীবনে হয়ত এই শেষ দেখা।আমার জীবনের মানুষগুলির অন্তিম দেখার মুহূর্তগুলি কি মনে আছে?ইছামতীর পাশ থেকে গেলে পুরনো রাজবাড়িটার কিছুই আর নেই।আয়োজন যখন প্রয়োজনের থেকে বেশি হয়ে দাঁড়ায় তখন তার স্বাভাবিক সুন্দর নষ্ট হয়।ঐ পাড়ে বাংলাদেশের রক্তাভ মাটির এক দৃশ্য চোখের সামনে স্বপ্নের মতো দাঁড়িয়ে আছে।কিছুক্ষণ পাওয়া,তারপর ফিরে আসার উপযুক্ত সময়টি বুঝে নেওয়া।জীবন চিনিয়েছে আমাকে ছেড়ে আসার যথার্থ মুহূর্তটি,শিখিয়েছে ভঙ্গিমা।
রুনাকে অন্ধকারে টেনে নিয়ে যখন ওর হাত দুটি আমার বুকের ওপর রাখলুম মনে হল সেদিনের সেই ইছামতী নদীটির কথা।আমবাগানের মাঝে এই অন্ধকার পথ দিয়ে খুব একটা মানুষ যাতায়াত করেনা।সামনেই মাখন সাহার পুকুর পাড়ের উঁচু উঁচু গাছগুলোতে লোকে বলে আগুনের জীবের বসবাস।একটা আলো কমে আসা হলুদ রঙের বাল্ব এখানে টিমটিম করে জ্বলে।কিছুটা এগোলে একটা বৌদ্ধদের ইশকুল।তার পাশ দিয়ে বড় বড় জোনাকওয়ালা এই আমবাগানের রাস্তায় এত অন্ধকার যে সচরাচর কেউ যাতায়াত করেনা।ছোট মসজিদ থেকে ভেসে আসছে সন্ধের মোহময় গানটা।রুনার কোমর ধরে আরও একটু কাছে টেনে নিই।ওর বুক থেকে আসে আমের মুকুলের গন্ধ,মনে হয় ছুঁয়ে দেখি।নিয়মের টিউশন থেকে পালিয়ে এই সামান্য সময়টুকুর অন্ধকার নিজেদের জন্য পেয়েছি আমরা।বুকে বুক চেপে ধরে মনে হয় এই শান্তি হল তবু আরও কত পাওয়া বাকি রয়ে যায়।সতর্ক হতে মন চায়না তবু সতর্ক হতে হয়।ঠোঁটে ঠোঁট রাখার সময়টুকুতে চোখ খোলা রাখতে হয়,সতর্ক থাকতে হয়।মাঝির মতো নৌকাটি নিয়ে অকুল সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া যায়না।এ যেন পাড়ের কাছাকাছি সাবধানে চলা।হয়ত নিশ্চিত মৃত্যু তবু সমস্ত মাঝিই চায় ঝড় উঠুক,একটা ভীষণ ঝড় উঠুক।
                                             ২
                                ' প্রেমেরও মুরালি বাজাতে নাহি জানি
                                        না পারি বান্ধিতে সুর                  
                                   নিথুয়া পাথারে নেমেছি বন্ধু রে
                                     ধর বন্ধু আমার কেহ নাই '
কাজিপাড়ার শ্মশানের কাছ থেকে কিছুটা এগিয়ে ডানদিকে ঘুরলে বিরাট মাঠ।বিকেলবেলার খেলা শেষ হয়ে আসে।ছাদের ঘরে বসে বসে বুড়োদা ও আমি বসে বসে সেই খেলা শেষ হয়ে যাওয়া দেখি।সন্ধেবেলা ইশকুলের মাঠটার পেছনে পাঁচিলটা পার করে যাই পুকুরটার ধারে।পশ্চিমদিকের পাড়টায় বসা এখন ছেড়ে দিয়েছি কারণ সন্ধে মাঝেমাঝে পুলিশ এসে তুলে নিয়ে যায়।বুড়োদা তামাকটা নিয়ে উঠে যায় পুরোনো ভাঙা বাড়িটার সিঁড়ি দিয়ে।প্রতিদিনই নেশা করে একটা আশ্চর্য গান শোনাবে বুড়োদা।পুকুরপাড়ের দিকে তাকালেই মনে হয় এই ত্রিশ বছর আগে যত লাশ এই পুকুরটার তলায় পুঁতে দেওয়া হয়েছিল সকলেই হয়ত জলের তলায় গোপনে গোপনে একটা বিপ্লব করছে।তাদের মধ্যবয়স পুকুরটির ওপরের কচুরিপানা দিয়ে ঢাকা তবে একদিন ঠিক প্রকাশ পাবে।বুড়োদার কোন গান কেউ আজ অবধি শুনতে পায়নি,হয়ত ভবিষ্যতেও পাবেনা।অথচ ছাদের ঘরে একদিন মহিনের ঘোড়াগুলো কেমন দৌড়ে বেড়াতো।শিলাজিতের বাজলো ছুটির ঘন্টা গানটা যে কতরকম ভাবে গাইতে চেয়েছিল বুড়োদা।কারিগরি বিদ্যা শেষ হল বটে তবে কোথাও নিজেকে আঁটিয়ে নিতে পারলো না।সম্পূর্ণ উন্মাদ হয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর করা আগে অবধি বুড়োদা তেত্রিশটা গান শুনিয়েছিল আমাকে।কোনটাই সম্পূর্ণ গান হয়ে ওঠেনি।বুড়োদার পাড়ার চায়ের দোকানের আড্ডায় যে সমস্ত প্রবীণ মানুষেরা সন্ধেবেলা তাস খেলতো তারা এই তেত্রিশটি গানের একফোঁটাও কোনদিন শোনেনি।তাদের কাছে বুড়োদার পরিচয় শুধুই চাকরি ছেড়ে দেয় নাকি পাগল।এই পাগল শব্দটির অভিশাপ যে একদিন এমন ভাবে লাগবে বুঝিনি,তাই কোনদিন কোন আড্ডায় আমি যাইনা।শুধু পথ থেকে পথে ঘুরে ঘুরে বুড়োদার সেই তেত্রিশটা গান মুখস্ত করে যাই।মানবেন্দ্র স্যারের বাড়িতে মাঝে মাঝে বাঁশির সুর শুনতে যাই।দেখি সমস্ত বাড়ি জুড়েই একটা ধানক্ষেত।সেখানে একটা ছোট্ট চৌকির ওপর বসে বই পড়েন স্যার।ছাত্র হয়না।ধানক্ষেতের উত্তর পশ্চিমে দিকে যে মেঠো পথটা আছে দুপুরবেলা এক বাউল দোতরা বাজিয়ে গান গাইতে গাইতে যান।পিছু পিছু যেতে যেতে একেকদিন গিয়ে দাঁড়াই কাঁটাতারের সামনে।বাউল পার হয়ে যান শুধু কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় আমার সমস্ত শরীর।
স্বপ্নের ভেতর রাতে পুলিশ আসে গ্রামের দক্ষিণের মাটির বাঁধের ওপর দিয়ে।বৃষ্টির মতো গুলিতে প্রথমেই লুটিয়ে পড়ে সন্ধেতে বাড়ি ফিরতে চাওয়া কিশোরের দল।মাটিতেই মিশে যায়।আগুন ছুটে আসছে হা করে আর আগুন লেগে যাচ্ছে মেয়েদের শাড়িতে।উলঙ্গ দৌড়চ্ছে তারা ধানক্ষেতের পাশ দিয়ে,একটা গুলি তাদের নরম বুকের ওপর বিঁধে সমস্ত গন্ধ চুরি করে নিয়ে গেলো।একটি ছেলে এই সমস্তের মাঝে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাড়ির পেছনের উঠোনে।সে শোনে তার বাবা চিৎকার করে বলছে একটিই শব্দ-
পালা,পালা,দাঁড়িয়ে থাকিসনা,পালা
একটা বাঁশির শব্দ কেমন আগুন হয়ে ছড়িয়ে পড়লো আমার এই সমস্ত শরীরে।মানবেন্দ্র স্যার তুমি জন্মের পর জন্ম ধানক্ষেতের ভেতর বসে বাংলা পড়াও?
বুড়োদা তুমি পরিত্যক্ত বাড়ির ছাদে বসে লেখো কিছুই না পাওয়ার বাংলা গান?
আমি জানি তোমাদের কারও কাছে নেই এদেশে থাকার কোন বৈধ প্রমাণপত্র।তবু বসন্তের হাওয়া যখন গাছের পাতার ছায়ায় লিখে রাখে ঝিরিঝিরি।যখন চাপকলের শীতল জল একবারে মাথায় উপর করে ঢেলে তোমাদের শরীর শীতল হয়ে ওঠে,যখন দূর থেকে আসা কোন চিরকালীন কোকিলের ডাক তোমাদের বুকের ভেতর একটা ব্যথা নীরবে লিখে কাদমাটিসুখ,তখন?
সেই বাউলের পিছুপিছু আমরা যে কতদিন কত কাঁটাতার পার করে গেছি।
     

                                             ৩
                        ' হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ বিদেশে ভিড়াই তরী রে
                             নোঙর ফেলি হাটে ঘাটে,বন্দরে বন্দরে
                              আমার মনের নোঙর পইড়া রয়েসে হায়রে
                                      সারেং বাড়ির ঘরে '                                                                                        
রুনার ভালোবাসা আমার কাছে ছিল।ওর চিঠি পড়তাম চিলেকোঠার ঘরে রাতের আলো জ্বালিয়ে।খাতার পেছনের পাতার রুলটানা পৃষ্ঠায় সুন্দর হাতের লেখায় বলেছিল অনেকদিন দেখা হয়না।অথচ বিচ্ছেদের পর কত বছর কেটে গেলো রুনা আমাদের দেখা হয়না।জানতে ইচ্ছে হয় তোমাদের বাড়ির কাঁঠালগাছের সেই কাঠবেড়ালিটি এখনও তোমাকে ভরসা করে হাত থেকে খেয়ে যায়?জানতে ইচ্ছে হয় জ্যৈষ্ঠের দিনগুলোতে পাড়ার মাঠে ম্যারাপ বেঁধে এখনও কি যাত্রা বসে?যে মুদিখানার লোকটি একদিন তোমার বাড়িতে বলে দিয়েছিল আমাদের কথা তার বিশেষ সক্ষম ছেলেটি কি এখনও আকাশে মেঘ হলে ছাদে ছুটে গিয়ে অস্বাভাবিক চিৎকার করে?এখনও কি বাড়ি বাড়ি টিউশন করে রুনা?বাড়ি ফেরার পথে গলিটায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রেমিকের হাতে তাড়াতাড়ি চিঠিটা গুঁজে এদিক ওদিক ভয়ে তাকায়?এখনও কি দুপুরের ঘাম ঝরানো ত্রিশটাকার সিনেমা হলে ঠোঁটে ঠোঁট রাখায় ভয় ওর?জানতে ইচ্ছে করে,রুনার কথা খুবই জানতে ইচ্ছে করে।রুনার মামাকে মাঝেমাঝে দেখি বিবেকানন্দ মূর্তিটার পাশ দিয়ে সেই একই ভঙ্গিতে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফেরে।যে দলকে বিশ্বাস করেছিলেন তিনি তাদের লোকই একদিন মেরে ওনার একটা চোখ আজীবনের জন্য নষ্ট করে দিয়েছেন।এখন তাকে দেখলে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন হয়না কারণ আমার পাশে রুনা নেই।ওর বাড়ির পথে একেকদিন যাই।পুরোনো ভ্যানগাড়ি স্ট্যান্ডটা বদলে ব্যাটারি চালিত গাড়ির আস্তানা হয়েছে।দুটো নতুন টেলিফোনের দোকানের ঝকমকিতে হারিয়ে গেছে ইস্তিরির দোকানের শান্ত সুন্দর আলোটা।ইটের রাস্তার পাশের সবুজ ঘাসগুলো কোথায় নিরুদ্দেশ হয়ে এখন পুরোটাই ঢালাই।মাঝে মাঝে নিজেকে গোপন করে যাই সেই পথে।রুনার কথা জানতে ইচ্ছে করে,মনে হয় ওকে একটা চিঠি লিখে জানাই।দশ বছর আগে জীবন যতটা আশ্চর্য রূপকথা নিয়ে আমাদের কাছে আসবে বলে ভেবেছিলাম তার কিছুই হয়নি।জীবন শুধু শিখিয়েছে ছেড়ে আসার যথার্থ মুহূর্তটি, বিদায়ের ভঙ্গিমা।
রুনার কাছে জানতে ইচ্ছে করে এখনও কি ওর বুকে রয়েছে সেই আমের মুকুলের গন্ধ?
রুনাকে মাঝেমাঝে জানাতে ইচ্ছে করে আমার এই দুচোখ আজ সমস্ত বিস্ময় পার করে গেছে।
                                               ৪
                       ' যাইবা যদি নিঠুরও পাখি ভাসাইয়া মোর আঁখি
                       এ জীবনও যাওয়ার কালে রে একবার যেন দেখি রে
                                 আমার সোনার ময়না পাখি '
জানি না যাদের জীবনে আর কোন চিঠি লেখার মানুষ নেই তারা কীভাবে নিজেদের জীবন বয়ে নিয়ে যায়।হেমন্তের শেষের দিকে ঘরে ফেরার সময় মায়া ছড়িয়ে থাকে আমাদের এই শহরতলির আকাশে বাতাসে। দুপুরের রোদটা কেমন কমলালেবু রঙা হয়ে আসে,মনে হয় কাউকে ফেলে এসেছি বহুদূর।কাউকে অপেক্ষা করতে বলে ভুলে গেছি অপেক্ষা করার ঠিকানা।নিমগাছের পাতার ভেতর থেকে আশ্চর্য একটা জীবন দেখা যায়।ন্যাড়া বেলগাছের ডাল থেকে নিজের সামান্য জীবনের কথা ভেবে অসীমের দিকে তাকিয়ে থাকে কাক।বাবার দাঁড়িকাটার বাক্সটা পিঠ ছড়িয়ে বারান্দায় বসে রোদ পোহায়।সাইকেলের ঘন্টাটা শক্ত করে,চাকায় তেল দিয়ে বাবা দুপুর দুপুর কোথায় যে হারিয়ে যায়।কোথাও কি কোন চিঠির ঠিকানা পড়ে আছে বাবার?গভীর রাতে বাবার ঘরে আলো জ্বললে ভাবি সেই চিঠির কথা।বাবার সাইকেল নিয়ে একেকদিন অনেকটা ঘুরে আসি,বুঝি সেই চিঠি পাওয়ার ঠিকানাটা একমাত্র বাবার জন্যই।গভীর রাতে একেকদিন অনিচ্ছাকৃত একটা ঝড় আসে।
সকালের রুটি থেকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে কাকেদের সঙ্গে একটা বন্ধুতা পাতিয়েছে বাবা।গায়ের ফর্সা চামড়ার ভেতর লাল রঙের তিলগুলোকে মনে হয় বাংলাদেশের একেকটা গ্রাম।বুকের কাছে অনেক ধান ফলে আছে।শুধু গলার কাছে একটা কাঁটাটার।ওইপারে সেই ফরিদপুর।বিকেলে হাতের জলের নলটা দিয়ে জল দেয় ফুলের গাছগুলোতে।কতরকম ফুলের কথা জানে।দুপুর দুপুর কোথায় যাও?
ঐ দিকে,যতদূর গিয়ে ফিরে আসা যায়।বুঝি আমার মতোই আকাশের সেই বড় মাঠটার খোঁজ জানে বাবাও।সেই বাউলের দেখা পেয়েছে।তার দোতারার সুরে উতলা হয়ে বাবার এই অসীমের দিকে যাত্রা।কাকে অপেক্ষায় রেখে এসেছে বাবা?বাবাও কি কাউকে দেখতে চায় আবার?জানতে চায়? সে কেমন আছে?
পশ্চিমা আকাশের গোধূলি ছড়িয়ে দিয়ে যায় এই সমস্ত প্রশ্নের ওপরে।আমি,এই আমার সত্তা আসলে যুগ যুগ ধরে প্রবাহিত এক বোধ।বাবার আগে ঠাকুরদা তারও পূর্বের মানুষ, মায়ের আগে দিদা,তারও পূর্বমানুষ সকলেই আসলে আমার এই বোধ।যা হাজার বছর ধরে বাংলাদেশের এই ফুল ফল নদী মাটি পাখির ডাক দ্বারা লালিত।কি অপরূপ এই মায়া।
চিঠি আসে।আমাদের সকলের জন্য জীবনের চিঠি আসে।খাতার পেছনের রুল টানা পাতায়।গভীর রাতে লুকিয়ে সকলে পড়ি সেই জীবনের চিঠি।চোখের ভেতর থেকে একটা নদী হৃদয় অবধি প্রবাহিত হয়।তার পাশে গড়ে ওঠে গ্রাম,সারি সারি সুপুরিগাছের মাঝে জামগাছের নিচে খেলা করে বালকেরা।একজন পথিক অহেতুক সুখে দাঁড়িয়ে থাকে মাঠের বিস্তৃতির পাশে।
সে জানে,চিঠি আসে।আমাদের সকলের জন্য আসে।কাঁটাতার পার হয়ে আসে।আকাশের ঠিকানায় আসে।জেনে যাই আমরা সকলে
                            
তিন তক্তারে নৌকা খানি

                                গাঙে গাঙে চুঁয়ায় পানি
                         আমি কি করে সেচিব নৌকার পানি রে
তুই সে আমার মন’।

মন্তব্যসমূহ

  1. মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়লাম।অদ্ভুত লেখনি।

    উত্তরমুছুন
  2. দারুন সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো

    উত্তরমুছুন
  3. একটা মুগ্ধতা বয়ে গেল। জড়িয়ে ধরে রাখার মতোন এই লেখনি!

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য