অসিত মণ্ডল, নিলয় নন্দী
এক ... দুই ... তিন।
"আত্মপ্রকাশ "... "পর্ণমোচী "... "রাবীন্দ্রিক "।
বছরে চারবার প্রকাশের অভিপ্রায়ে মে মাসে তো আর অন্য নাম হতে পারে না।অতএব সম্পাদক যুগলের অপরজন কবি বন্ধু নিলয় নন্দীর ভাবনায় আর কারিগরী সম্পাদক মেঘনা চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদনে বাংলা সংস্কৃতির পিতৃপুরুষ ঋষিতুল্য দাড়িওয়ালা জমিদার তনয়ের নামেই সিলমোহর।
ছোট পরিবার আমাদের। পথ চলাও বেশিদিন নয়।এক চিলতে ঘর -বারান্দা খুঁজে পেতে নিয়ে নিয়মিত অনিয়মিতভাবে গল্প কবিতা গান নিয়ে আড্ডার মেজাজে বসে যাই আমরা ক 'জন।এগিয়ে চলে স্বপ্নের 'বাতিঘর '।তারই ফাঁকে আলোচনায় তুফান ওঠে। ব্লগজিন, বর্ষপূরণ, কবি প্রণাম -- এসব নানা পরিকল্পনা ডানা মেলে।এসবের হাজারো ঝক্কি ঝামেলা সামলানোর ভরসা যুগিয়ে চলেন আমাদের মুকুন্দদা।ব্যস! কোন দূরের কুয়াশাঘেরা পাহাড়ী গ্রামে যেমন ঝুপ করে সন্ধ্যা নেমে আসে, ঠিক তেমনি, প্রথম রাতে পুষ্প প্রদর্শনীর অনুষ্ঠান করে, শেষ রাতে ঘুমের দেশে চলে গেলেন তিনি।
ছোটো পরিবারে এ বড় কঠিন আঘাত।
কে জানতো আরও বড় আঘাত এগিয়ে আসছে। এই তো সেদিন টি ভির পর্দায়, সংবাদপত্রে ভেসে আসল দুটো শব্দ -- কোভিড -১৯, করোনা ভাইরাস। দেখতে দেখতে সারা পৃথিবীকে একরকম গিলে ফেলল ওই এক রত্তি ভাইরাস। এ কোন ভেদাভেদ মানে না। ধনী, দরিদ্র সব দেশকেই এক আসনে বসিয়ে দিল।এখন পৃথিবী জুড়ে মানুষের মৃত্যুর মিছিল । যারা জীবিত তাদের মুখে মুখোশ। ঘরবন্দী দুঃসহ লকডাউন জীবন।কোয়ারেন্টাইন, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং শব্দগুলো উড়ে এসে জুড়ে বসল আমাদের জীবনে। জানি না কবে মুক্তি পাবে আমাদের সাধের পৃথিবী।কবে শেষ হবে প্রকৃতির প্রতিশোধ!
পৃথিবীর এই গভীরতম অসুখে 'বাতিঘর অনলাইন 'কাছে দূরের সব মানুষের মনের সব অন্ধকার দূর করে দিক।মুছে দিক সব ভয়, উৎকন্ঠা আর আতঙ্ক।
"বাতিঘর অনলাইন " 'রাবীন্দ্রিক ' সংখ্যায় বিভাগ বিন্যাসে সামান্য রদবদল করা হোল।কবিতার সাথে দীর্ঘ কবিতা, গদ্যের সাথে মুক্তগদ্য। নিয়মিত গল্প, ভ্রমণকথা, ফটোগ্রাফি বিভাগ তো থাকলোই।
যাঁরা এই সংখ্যায় প্রথম এলেন তাঁদের সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।আশা, তাঁরা অনাগত দিনেও তাঁদের সৃষ্টি সম্ভার নিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন, আমাদের প্রয়াসকে সার্থক করবেন।
এই ব্লগজিন যাঁদের চিন্তার ফসল, যাঁরা 'কবিতায় গল্পে গানে আবৃত্তিতে আড্ডায় 'বাতিঘর সাহিত্য আসর ' জমজমাট রাখেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এক একজন সৈনিক।তাঁদের সবার সদিচ্ছায় বাতিঘরের আলোকস্তম্ভ অনির্বাণ থাকবে এ আশা রাখি।
এবার ফুলমালা সাজিয়ে, প্রদীপ জ্বালিয়ে কবি প্রণাম হল না।অন্তরের নিভৃতবাসে শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম আমরা। এ সাহিত্য প্রয়াস তারই অঙ্গ।
পৃথিবী সেরে উঠুক।পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে পাক নিকানো উঠোন, পরিপাটি গৃহকোণ।কাজ -হারা মানুষের রান্নাঘর ফের ভরে উঠুক ফুটন্ত ভাতের গন্ধে।শিশুদের কলরব ফিরে পাক পৃথিবীর প্রতিটি পাঠশালা ।
"বাতিঘর অনলাইন " পা রাখুক, তিন থেকে চার এ।
সুন্দর সম্পাদকীয়
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনরুচিশীল সম্পাদকীয়। পত্রিকার সাফল্য কামনা করি।
উত্তরমুছুনসুন্দর সম্পাদকীয়
উত্তরমুছুনপরিচ্ছন্ন প্রকাশ বাতিঘরের
উত্তরমুছুন