চ য় ন ভৌ মি ক


জলছাদে বসে 
১)
ও পথ চেনা ছিল আমার। ট্রেন থেকে নেমে পড়ার সাক্ষী হিসাবে, রাতজাগা, সেই স্টেশনের ওভারব্রিজটাও এখনও
ভেসে আছে চোখে। যেভাবে ভাঁড়ের চায়ে মিশে যেতে পারে ঝুমরিতালাওয়ের হালকা কুয়াশা, সেসবও অপরিচিত নয় তেমন। তবুও গতজন্মের নবারুণ , শহুরে আহ্লাদে বদলে যায় যেন। মুথাঘাস নুয়ে পড়ে উল্লসিত পায়ের চাপে। আমার ভ্রম হয় হঠাৎ। সূর্যকে ঘিরে, আচমকা এই বেহেড উদ্দীপনা , ছবিগুলোকে বদলে দেয় কেমন। চোখে পড়ে বন্দুকের নলে গোলাপ বেঁধে লং-মার্চ করছে অজানা মুখ। আর আমি দূর থেকে দেখি পাশবিক হত্যা। এই যে কারখানা গিলে খায় শালবনের গভীর অন্ধকার, এর পিছনেই অভিনয় তোমাদের।  এখম পারফিউমের বিবরণে ভেসে গেল যে সরল লাবণ্য, রতিসুখ হারানো সহস্র বাগানের কান্নায় তাকে খুঁজো না কোনো নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপনে । দূরে থাকো সব, সংক্রমণের পরেই আসবে পাখিদের আজান ও ভোরের স্তব্ধতা। 
দুচোখের টলটলে পুষ্করিণী শুকিয়ে যাবে একদিন।

২)
উৎস ও মোহনার মাঝে চাবুক হাতে দাঁড়িয়ে আছে রিং-মাস্টার। এবার জলবন্টন হবে। একদিকে পড়ে থাকবে মোটাদানার বালি, তিরিতিরে কান্না। অন্যদিকে টলটলে নৌকাবিলাস, কৃত্রিম অভয়ারণ্য, বনদপ্তরের নিরুপদ্রব রেস্ট হাউস। খালি বর্ষাকালে কাহিনী বদলে যায়। তখন রিংমাস্টার ছুটি নেয় কয়েকমাসের। আর জল মহানন্দে বিভব প্রভেদে ভাসিয়ে দেবে সমস্ত ফারাক।  
মৃত্যুর হিসাব, সংখ্যাতত্ত্ব হয়ে খুন করবে প্রতি রাতের বিলাসবহুল স্বপ্ন।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য