অশোক চক্রবর্তী

 

অশোক চক্রবর্তীর গুচ্ছকবিতা ###

আজ

(১)
এ বাড়ীর চৌহদ্দি আছে
দেওয়াল আছে
ছাদ আছে__

বাড়ীটা রঙহীন বিবর্ণ স‍্যাঁতসেতে।

(২)
আকাশে নৌকোর মতো চাঁদ ভাসছিল
তাতে বসে পা দোলাচ্ছিল যে__
সে নিজস্ব নিয়ম ভেঙে নেমে এলো
ঘাস জঙ্গল আর আগাছায় ভরা
আমার উঠোনে___

সেই অসামান‍্যাকে আমি ছুঁতে পারিনি।

(৩)
গতকাল গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে দেখি
একটা মান্দাস ভেসে যাচ্ছে__ভাসতে
ভাসতে যখন আমার পাশে এলো__
দেখি ওটায় শুয়ে আছে একটা লোক__
লোকটার মুখ আমার চেনা মনে হ'ল

ঠিক,যে মুখটা আমি রোজ আয়নায় দেখি!

(৪)
যখনই ভাসতে চাই
লবণাক্ত ঢেউ ডোবাতেই চায়
এভাবে নুন মেখে নুনের পুতুল
মিশে যাই লবণাক্ত ঢেউয়ে....

(৫)
আকাশ কি ছোঁয়া যায়?
আকাশ তো মাটি ছুঁয়ে থাকে
সহজেই দিগন্ত রেখায়...

মাটি হয়ে যাই__
আকাশই ছুঁয়ে দেবে কোনো একদিন।

(৬)
রোদ ওঠা দিনগুলো শেষ হয়ে
গ‍্যাছে সেই কবে__
তখন মাঘ ও ফাল্গুন ছিল__

এখন মেঘ ও বর্ষার কাল
পা টিপে টিপে পিছল এড়িয়ে চলা
মনে হয়, তোমাদের পাড়াটাই
দূরে সরে গ‍্যাছে__

(৭)
পথ পড়ে আছে পথের মতোই
ঝোড়ো বাতাস এলে
ধুলো মাখিয়েছে যথেচ্ছতায়
এগিয়েছি___
বাঁকগুলো পিছনেই রয়ে গেছে
সাথে সাথে রয়ে গেছে
ইচ্ছেরা অনেক__
সামনেই নদী
স্নান করে ধুয়ে নেব ধুলো
নির্দ্বিধায় ভাসাব
বাকি সব ইচ্ছেগুলো।

(৮)
কলস ভাঙার পর পিছনে তাকাইনি আর
ভাঙা কলসের জল থেকে বিষন্নতা
গড়িয়ে গড়িয়ে মিশেছে গঙ্গায়
প্রায়শঃই গঙ্গাস্নানে গিয়ে
গায়ে মেখে নিয়ে আসি
বিষন্ন গন্ধবাতাস
বারবার।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য