মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়
ঢাক
সারাবাড়ি জুড়ে গুজগুজ, ফিসফাস ।
‘সত্যি নাকি ?’ ‘তাহলে এখন উপায় ?’ কী হবে গো ?’ ‘ইস্, না এলেই ভাল হতো ।’ ‘এখন সারাবাড়ির লোককে হ্যাপা পোয়াতে হবে ।’ ‘আমাদের সবার টেস্ট করতে হবে ।’ ‘সে তো করতেই হবে । নাহলে বুঝব কীভাবে ?’ ‘সবথেকে বিপদ তন্নির । সে একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছে ।’ ‘কী বলি বল । শহরের মেয়েদের গ্রামে এলে আদিখ্যেতা যেন বেড়ে যায় । নে, এবার ঠ্যালা বোঝ ।’
‘না গো, ওভাবে বলো না । তন্নি সেই ছোট থেকে আসছে । ওকে আর পাঁচটা ছেলেমেয়ের হুজুগের সঙ্গে মিলিয়ে দিও না ।’ ‘যাই হোক আর তাই হোক, বিপদ আমাদের কমবেশি সবার । এটা মানতেই হবে ।’এতরকম প্রশ্নে রাজগ্রামের মৈত্রদের পুজোবাড়ি উত্তাল । প্রতিবছর পুজোয় আত্মীয়, কুটুম্ব, বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে কম করে একশোজন আসে । কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন । ভাইরাস আতঙ্কে সবাই জড়সড় । মৈত্রদের জ্ঞাতি, খুব কাছের আত্মীয়রা এসেছেন । যাঁরা মোটামুটি রাজগ্রাম আর তার আশেপাশের গ্রামে থাকেন । শুধুমাত্র কলকাতা থেকে গেছে তন্নি । মৈত্রবাড়ির বড় বউ সোমলতার বোনঝি ।
তন্নির যখন সাত বছর বয়স তার মা মারা যায় । মানুষ কলকাতায় বাবার কাছে হলেও সোমলতা মানে তার মাসির ওপর খুব টান । কারণ আছে । তন্নির মা কমললতা আর মাসি সোমলতা যমজ বোন । দেখতে হুবহু এক না হলেও মিল প্রচুর । দ্বিতীয়ত, সোমলতা ভীষণ স্নেহশীলা একজন মানুষ । কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের দেখলে মনে হয় নিশ্চিন্ত আশ্রয় । সোমলতা সেই ধরণের । তন্নিকে স্নেহ, ভালবাসা, আদর, আবদার, প্রয়োজনে শাসন, সবরকম দিয়ে মা না থাকার কষ্টটা সোমলতা অনেকটা ভুলিয়ে দিয়েছেন ।
কিন্তু এবারের পুজোর পরিস্থিতি ভিন্ন । তন্নির বাবা চাননি এবারে সে মাসির বাড়ি যাক ।
‘তুই এবারে মাসির বাড়ি যাবি না ।’ সুদীপবাবু মেয়েকে বলেন ।
‘প্লিজ বাবা, একেবারে অর্ডার দিয়ে দিও না । ভাল করেই জানো, পুজোয় মাসির বাড়ি না গেলে আমি ভাল থাকব না । তাও কেন এসব বলছ ?’ তন্নির গলায় অভিমানের সুর ।
মা-মরা মেয়ে, খুব অভিমানী । কিন্তু এবারের পরিস্থিতির জন্য সুদীপবাবু ভয় পাচ্ছেন মেয়েকে যেতে দিতে । কিন্তু তন্নি জেদে অনড় । সে যাবেই ।
‘বেশ, তোর মাসিকে ফোন করে দেখি, সে কী বলে ।’ উপায়ন্তর না পেয়ে সুদীপবাবু বলেন ।
তন্নি এবারে নিশ্চিন্ত । মাসি কখনই না বলবে না । গোছগাছ শুরু করে দেয় । এবারে তার একটা পরিকল্পনা আছে । দেখা যাক, কতটা কী করতে পারে ।
মাসির কথার ওপর বাবা না করতে পারেনি । তন্নি এসেছে মাসির বাড়ি । মাসির বাড়ি আসার আরও একটা আকর্ষণ হল ঠাম্মাই, মানে মাসির শাশুড়ি । ভীষণ স্নেহশীলা মানুষ । তন্নি মাতৃহারা বলে স্নেহ একটু বেশিই পায় । ঠাম্মাইকে বলা যায় পুরনো দিনের গল্পের ডালি । মৈত্রবাড়ির কত পুরনো কথা ঠাম্মাইয়ের কাছে শুনেছে । সেগুলো শুধু কথা বা গল্প নয়, ঠাম্মাইয়ের বর্ণনায় পুরনো দিনগুলো যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে ।
‘তন্নি, তন্নি, কোথায় তুই ?’
মাসির ডাক শুনেও সাড়া দেয় না তন্নির । কষ্ট হচ্ছে । অপরাধী লাগছে নিজেকে । তার জন্যই আজ মাসির পুরো পরিবার বিপদে । এখন তার মনে হচ্ছে, বাবার কথামতো না এলেই ভাল করত । তাহলে আজকের দিনটা আসত না ।
‘কী রে, এত করে তোকে ডাকছি, আর তুই সাড়া না দিয়ে চুপ করে ঘরে বসে আছিস ?’ সোমলতা বলেন ।
‘প্লিজ মাসি, তুমি ঘরে ঢুকবে না । যা বলার দরজার বাইরে থেকে বলো । আমার জন্য তোমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল ।’ ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে তন্নি ।
‘কী যা তা বকছিস তন্নি ? এত কথা কেন কানে তুলিস বল তো ?’ সোমলতা ধমকে ওঠেন ।
‘ঠিক বলছি মাসিমণি । চারপাশের অবস্থা ভাল নয় । এখন আমার জন্য তোমাদের সবার যদি ক্ষতি হয়ে যায়, তাহলে কিছুতেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না ।’
‘সত্যি তন্নি, নামেই কলেজে পড়িস । আসলে তুই সেই পুচকেই রয়ে গেছিস । আচ্ছা, একবারও তো মাদলের কথা জিজ্ঞাসা করলি না ? কেমন আছে, কোথায় আছে, তার টেস্ট হয়েছে কিনা ?’
‘তুমি ছাড়া আর কাকে জিজ্ঞাসা করব বলো ? সবাই আমাকে দোষারোপ করছে । তাছাড়া আমিও ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা জানি না । তাই আমার ঘর থেকে না বেরোনোটাই ভাল । আচ্ছা, মাদলের জ্বর কি এখনো আছে ?’ তন্নি বলে ।
‘হ্যাঁ আছে । তোর মেসো খবর পাঠিয়েছে সেন্টারে । লোক আসবে কিছুক্ষণের মধ্যে । ওকে নিয়ে যাবে ।’
তন্নি শব্দ করে কেঁদে ওঠে ।
‘কাঁদিস না মা । সব ঠিক হয়ে যাবে । ভরসা রাখ । যা হবে ভাল হবে । আমি আসছি এখন ।’
‘মাসিমণি ।’
তন্নির ডাকে ফিরে আসেন সোমলতা ।
‘কিছু বলবি ?’
‘ঠাম্মাইয়ের কাছে গল্প শুনেছিলাম, মাদলের পূর্বপুরুষেরা এই পরিবারে পালপার্বণে ঢাক বাজিয়ে আসছে । একবার সেই নিয়মের অন্যথা হয়েছিল আর ...’
তন্নিকে থামিয়ে দেন সোমলতা ।
‘আমি এখন কোনকিছু ভাবছি না । ভাবতে পারছিও না । আমার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, মাদলের সুস্থতা । তুই ঘরে থাক । ভুলভাল ভাবনা মাথা থেকে বের করে দে । আমি চাঁপাকে দিয়ে তোর খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছি ।’
সোমলতা আর দাঁড়ান না । অনেক কাজ । মাদলকে সেন্টারে পাঠিয়ে বাকি আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলবেন । সাধ্যমতো বোঝাবেন । তারপর ওঁরা কী করবেন ওঁদের সিদ্ধান্ত ।
মাসিমণি যাই বলুক না কেন, কিছু ভাল লাগছে না তন্নির । আজ সকাল দশটা পর্যন্ত দিনটা ঝলমলে ছিল । মাদল যখন ঢাক কাঁধে ঠাকুরদালানে এসে দাঁড়াল, তখনও আপাতদৃষ্টিতে সব ঠিকই লাগছিল । মেসো হঠাৎ বলে উঠল, ‘মাদল, তোর চোখ ছলছল করছে, জ্বর এসেছে নাকি ?’
মেসোর কথায় ঠাকুরদালানে যারা ছিল প্রত্যেকে যেন ভূত দেখার মতো করে চমকে উঠল ।
মাদল মাথা নাড়ল । মেসো বলল, ‘কখন থেকে ?’
মাদল কোনরকমে বলল, ‘কাল রাত থেকে ।’
‘তুই ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নে । আমি আসছি কিছুটা পরে ।’
মাদল দাঁড়ায়নি । মেসোও চলে গিয়েছিল । ঠিক তখন থেকে শুরু হয়েছিল গুজগুজ, ফিসফাস আর তন্নিকে দোষারোপ করার পালা ।
তন্নির কষ্ট হচ্ছে । কিন্তু কথাগুলো তাদের মিথ্যে নয় । মাদলের সঙ্গে সে গতকাল বলতে গেলে প্রায় সারাদিন ‘পদ্মবনে’ কাটিয়েছে । মাদল ঢাকীর ছেলে হলেও যথেষ্ট আদর পায় মাসিমণি, মেসো আর ঠাম্মাইয়ের কাছ থেকে । এই নিয়ে মাসিমণিকে বাকী আত্মীয়স্বজন কথা শোনাতেও ছাড়ে না । বলে নাকি এটা ‘আদিখ্যেতা’ ।
রাজগ্রাম থেকে মাইলখানেক দূরে পদ্মবন । মাদল গতবছর বলেছিল, ‘তুমি যদি পুজোর আগে আগে আসো, তাহলে তোমাকে পদ্মবন দেখাতে নিয়ে যাব ।’
মাদল নিয়ে যাবে শুনে মাসিমণি আপত্তি করেনি । সবে পঞ্চমী । মাদলের কাজ শুরু ষষ্ঠী থেকে । এবারে মাদলের বাবা আসতে পারেনি । কাঁধে ব্যথা । ঢাক বাজাতে পারবে না । মাদল আর ওর কাকার ছেলে এসেছে, ঢাক আর কাঁসি বাজাবে ।
তন্নি অবাক হয়েছিল পদ্মবন দেখে । এত বছর আসছে মাসির বাড়ি, কেউ কখনও সেভাবে পদ্মবনের কথা বলেনি । আসলে রাজগ্রামেই অনেক বিল । সেখানে প্রচুর পদ্ম ফোটে । কিন্তু পদ্মবনের বিশেষত্ব পদ্মফুলে নয়, পদ্মপাতায় । এক-একটা পাতা এতটা বড় আর ওজনদার তাতে সাত-আট বছরের বাচ্চাকে বসিয়ে দেওয়ার পরেও অনায়াসে ভেসে থাকে ।
দুপুরের মধ্যেই ফিরে এসেছিল ওরা । সব ঠিকই ছিল ।
‘এই নাও তন্নিদিদি, তোমার খাবার । বড়মা সব খেয়ে নিতে বলেছে ।’ চাঁপার কথায় ভাবনা কেটে যায় তন্নির । লক্ষ্য করে চাঁপা ঘরে ঢোকেনি । হাত বাড়িয়ে সামনের টুলে খাবার রেখেছে, আর মুখেও মাস্ক পরা । মুহূর্তখানেকের জন্য তন্নির মনটা খারাপ হয়ে যায় । তারপর ভাবে, এটাই ঠিক । সাবধানতা এখন খুব জরুরী ।
ঠাম্মাইয়ের বলা একটা গল্প খুব মনে পড়ছে তন্নির । অনেকদিন আগেকার কথা, তখন ঠাম্মাই নতুন বউ হয়ে এই মৈত্রবাড়ি এসেছে । কিছু জানে না । শুধু অবাক চোখ মেলে সব দেখে আর বোঝার চেষ্টা করে । মাদলের দাদুর বাবা ভুবন, তখন মৈত্রবাড়ির ঢাকি । মধ্যরাতে সন্ধিপুজো ছিল । রাত দশটায় খবর এলো ভুবনের বাবার বাড়াবাড়ি । ভুবনকে যেতে হয়েছিল । কথা ছিল সন্ধিপুজোর আগে ফিরে আসবে । কিন্তু আসেনি । নির্দিষ্ট সময়ে সন্ধিপুজো শুরু করতে হয়েছিল । তবে ঢাকের বাদ্যি ছাড়া । সন্ধিপুজোর মাল্যদানের সময় হঠাৎ ঢাকের শব্দ । সবাই ভেবেছিল ভুবন ফিরে এসেছে । সেই মুহূর্তে কেউ মাথা ঘামায়নি । কিন্তু সন্ধিপুজোর আরতির সময় কেউ ভুবনকে খুঁজে পায়নি । পরেরদিন জানা গিয়েছিল সেই সন্ধিক্ষণে ভুবনের বাবা মারা গিয়েছে । ঠাম্মাই যখন বলছিল, তন্নির মনে হয়েছিল ঠাম্মাই যেন তখনও নিজের কানে সেই ঢাকের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে ।
এবারে মেসো দেরি করেননি । ঢাকির খোঁজ শুরু করে দিয়েছেন । কিন্তু কোন ঢাকি পাওয়া যায়নি । ষষ্ঠী কেটে সপ্তমী এলো । শুধুমাত্র শাঁখ আর উলুধ্বনিতে কলাবউয়ের স্নান হল । মেসো ছাড়াও আরও দু-একজন ঢাকির খোঁজ করতে দূরের গ্রামে গেছে । কিন্তু না, কেউ নেই । সবাই বায়না পেয়ে রওনা হয়ে গেছে আগেই । বাড়িশুদ্ধ লোকের মনখারাপ । এই পরিস্থিতিতে একটাই ভাল খবর । তন্নির জ্বর আসেনি । ভাইরাস ঘটিত আর কোন লক্ষণও নেই ।
তন্নি তাও বেরোয়নি ঘর থেকে । ঠাম্মাই এসেছিল তন্নির সঙ্গে দেখা করতে । তন্নি ঠাম্মাইকে ঘরে ঢুকতে বারণ করেছে । বাইরে চেয়ার পেতে ঠাম্মাই বসেছে । তন্নি ঘরের বিছানায় বসেছে । দুজনের মুখে মাস্ক । কথা হয়েছে অনেক । তবে ঠাম্মাইয়ের শেষের কথাটা খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে তন্নির ।
‘চলার পথ সবসময় মসৃণ হয় না । ওঠানামা, ভাঙাগড়া থাকবে । চাই ধৈর্য । আর আমি সবসময় বিশ্বাস করি যাই ঘটুক না কেন ভাল কোথাও না কোথাও অপেক্ষা করছে । আর সেই ভাল’র কাছে আমাদের পৌঁছতে গেলে সঠিক পথটা বেছে নিতে হবে ।’
ঠাম্মাইয়ের কথাগুলো খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে তন্নির । ভাল আছে, শুধু তাকে সঠিক পথ ধরে সেখানে পৌঁছতে হবে ।
ভোর চারটেয় সন্ধিপুজোর সময় । মাসিমণি বারবার করে বলে গেছে, ‘তন্নি, স্নান করবি না অত ভোরবেলা । এবারে তুই পুজোর কাজে তো হাত লাগাবি না । তবে ঠাকুরদালানে যাস, মাস্ক পরে । অন্যরা আপত্তি করবে না ।’
এই তিনদিন বেরোয়নি তন্নি । এমনকি অষ্টমীর অঞ্জলিও দেয়নি । মাদলের কোন খবর পায়নি । মেসোকে জিজ্ঞাসা করেছিল । মেসো এড়িয়ে গেছে, উত্তর দেয়নি ।
এবারের পুজো অক্টোবর মাসের শেষে পড়েছে । গ্রামের দিকে এখনই ভোরের দিকে একটা হিমেল হাওয়া দেয় । গায়ে একটা পাতলা চাদর জড়িয়ে তন্নি গুটিগুটি পায়ে ঠাকুরদালানে আসে । একটু দূরত্ব রেখে দাঁড়ায় ।
নির্দিষ্ট সময়ে পুজো শুরু হবে । খুব কঠিন এই সময়টা । প্রতিটা মুহূর্তকে ঘড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেপে নিয়ম-আচারে ব্রতী হন পুরোহিতমশাইরা । হাতে ঘন্টা তুলে নিয়েছেন পুরোহিতমশাই । মন্ত্র বলতে শুরু করবেন, ঠিক সেইসময় মৈত্রবাড়ির ঠাকুরদালান ঢাকের শব্দে মুখর হয়ে ওঠে । চোখ বুজে নেয় তন্নি । তাহলে এবারেও কি কোন অলৌকিক ঘটনা ঘটছে !
‘এই হাঁদা মেয়ে, চোখ বুজে আছিস কেন ? দেখ কে এসেছে ?’ মাসিমণির ধমকে চোখ খোলে তন্নি ।
অবাক চোখে তাকিয়ে দেখে ঢাক বাজাচ্ছে মাদল । কথা যোগায় না তন্নির মুখে । শুধু চোখ দিয়ে অঝোরে জল গড়িয়ে পড়ে ।
‘বোকা মেয়ে, কাঁদছিস কেন ? মাদলের কিছু হয়নি । জ্বর যেকোন সময়ে হতে পারে । তার জন্য চিকিৎসা করতে হবে । অযথা আতঙ্কিত হয়ে একে অপরকে দোষারোপ করলে কোন সমাধান হয় না ।’
মাসিমণির কথা কানে যাচ্ছে না তন্নির । ঠাম্মাইয়ের কথাগুলো মনে পড়ছে ।
তন্নি দেখছে মাদলের ঢাকের বোলে সমস্ত ভাল, শুভ ছড়িয়ে পড়ছে দিক থেকে দিগন্তরে ...
-------------------------------------------------------------------------------------------
MOUSUMI BANDYOPADHYAY
V ROAD, NORTH SHANPUR (NEAR SANDHYA BHABAN)
DASNAGAR, HOWRAH – 711105.
M: 98303 67334
E-MAIL: mbanerjee1972@gmail.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন