শ্যামলী আচার্য

 


আয়না



১ 


    ঠোঁটে লিপস্টিক লাগাতে গিয়েই খটকা লাগল। কিছুতেই ঠোঁটের আউটলাইন আঁকা যাচ্ছে না। কেবল একটা এবড়োখেবড়ো ব্যাপার। ঠোঁটের মধ্যেটা ঠিকঠাক ভরাট হচ্ছে না, ছেতরে যাচ্ছে। মোট কথা প্রতিদিন দামি লিপস্টিকের নরম মোলায়েম রঙ যেভাবে ঠোঁটে মিশে যায়, সেই বিষয়টা আজ একেবারে উধাও।

    লিপস্টিক জুঁইয়ের ফেভারিট। নিত্যনতুন রঙের প্যাশন। অন্য কোনও সাজের চেয়ে লিপস্টিক নিয়ে ও খুব বেশি চিন্তাভাবনা করে। কোন শাড়ি, কোন কুর্তি, কোন টপ, কার সঙ্গে কোন রঙ। ব্লাউজের হাতা না শাড়ির পাড় কেমন কনট্রাস্ট ঠিক ভাল যাবে, এই নিয়ে নিরন্তর গবেষণা। তা’ও ওই আয়নার সামনে দাঁড়িয়েই। লিপস্টিকের চিন্তা ওর সাজগোজের অনেকটা সময় নিয়ে নেয়।    

    ‘একটু সরবে’?

    পিছনে দিব্য। জুঁইয়ের এগারো বছরের পুরনো বর। কোঁকড়ানো চুল থেকে টুপটাপ জল ঝরছে। আয়নার দখল নেবে। স্নান সেরে সদ্য এসেছে। এবার তার ঝাঁকড়া চুলের একরাশ জল ছিটবে আয়নায়। তার আগেই এই তল্লাট থেকে সরে গিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসবে জুঁই। দুজনেরই অফিসের তাড়া। 

    ‘চুলটা কি এখানে দাঁড়িয়েই আঁচড়াতে হবে?’

    ‘যাব্বাবা! তা’ কোথায় যাব?’

    ‘কেন, ওইদিকটায় দাঁড়িয়ে আঁচড়াও না...। কাঁচের গায়ে একগাদা জল ছেটাবে’।

    দিব্য এবার বেশ অবাক হয়ে তাকায়।  

    ‘জুঁই, তোমার হঠাৎ কী হল বলো তো? আয়নার সামনে দাঁড়িয়েই তো বরাবর চুল আঁচড়াই... সেই জন্মে ইস্তক’।

    দিব্যর সুন্দরী স্ত্রী আবার ফিরে তাকায় আয়নার দিকে। দেওয়ালজোড়া বিশাল আয়না। বেলজিয়ান গ্লাস। মেহগনি কাঠের বার্নিশে দারুণ কারুকাজ। অন্তত দেড়শো বছরের পুরনো ড্রেসিং টেবল। দিব্যর ঠাকুমা তাঁর বিয়ের সময়ে পেয়েছেন। শাশুড়ির সম্পত্তি ভাগাভাগি করে নিয়েছিল বাড়ির তিন ছেলের বউ। কিছুদিন হল দিব্যর মা, জুঁইয়ের শাশুড়ি নিজেই সব ভাগ করে দিয়ে গেছেন। তাঁর শ্বশুরের পড়ার টেবলটি গেছে ছোটছেলের কাছে। সে লেখালেখি করে। তার শখপূরণ হয়েছে। ড্রেসিং টেবলটা এল জুঁইয়ের কাছে। সে মেজবউ। বাড়িতে সে সুন্দরী হিসেবে যথেষ্ট প্রশংসা পায়। হয়ত তার সেই সৌন্দর্যকে প্রকাশ্যে আরও একটু বাড়তি স্বীকৃতি দেওয়া হল। কাঠের বড় আলমারি গেছে বড় বউয়ের ফ্ল্যাটে। সম্পর্কে বড় হওয়ার একটা কিছু বাড়তি সুবিধে সে পাবে না? তা’ কি হয়!      

    এই বেলজিয়ান গ্লাসের ড্রেসিং টেবল জুঁই-দিব্যর দেড় হাজার স্কোয়্যার ফুটের ফ্ল্যাটের ক্লাসি ইন্টিরিয়রে বেশ বেমানান। তবুও বেডরুমে লম্বায়-চওড়ায় বড়সড় আয়নাটির সামনে দাঁড়িয়ে সাজতে একটা আলগা উত্তেজনা হয় জুঁইয়ের। এভাবে কখনও নিজেকে পুরোপুরি দেখার সুযোগ ঘটেনি আগে। নিজেকে যেন আরও একটু ঝলমলে দেখায়। বিশেষত সমস্ত সাজ শেষ হলে ঠোঁটের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া যায় বাকি সাজ। 

    আজ সকাল থেকেই বিরক্ত লাগছে। ঘুম থেকে উঠে নিজের এলোমেলো মুখটাও একবার আয়নায় দেখে নেয় জুঁই। রোজকার অভ্যেস। আজ একটু অন্যরকম। কপাল-নাক-ঠোঁট-চিবুক সব যেন ঠিক এক লাইনে নেই। সরলরেখায় নয়। তখন অস্বস্তি হচ্ছিল। কিন্তু ঘুমের রেশ ছিল বলে আর তত তলিয়ে ভাবেনি। অফিসের তাড়া, ছেলের স্কুলের ব্যস্ততা।

    স্নান সেরে এসে সাজতে যাবার সময় আবার এই এক ঝঞ্ঝাট। লিপস্টিকটাই ঠিকমতো লাগানো যাচ্ছে না। 

    ‘দিব্য...’

    দিব্যজ্যোতি চৌধুরীর চুল আঁচড়ানো শেষ। দামি আফটারশেভের মৃদু সুগন্ধ এখন তার গালে মিশছে। 

    ‘বলে ফেলো’।

    ‘আয়নাটা বেশ পুরনো। তাই না?’

    ‘হ্যাঁ, তা তো বটেই। ঠাম্মার বিয়ের সময় তাঁর পিতৃদেব দিয়েছিলেন। সে কি আজকের কথা নাকি! বাবার বিয়ের আগেই ঠাম্মা ঠিক করেছিলেন, বউমাকে তিনি এটি দিয়ে দেবেন। সেই থেকে মায়ের ঘরে। গত সেঞ্চুরির কথা...’  

    ‘দেখো না, কিছুতেই ঠোঁটে লিপস্টিক লাগাতে পারছি না। মুখটাও ঠিকঠাক আসছে না। আয়নার ফোকাসের প্রবলেম?’

    দিব্য হাসিমুখে তাকায়। জুঁই অপূর্ব সুন্দরী এবং অত্যন্ত বুদ্ধিমতী। সাধারণত এই কম্বিনেশন বড় একটা পাওয়া যায় না বাজারে। সুন্দরীরা মাথামোটা এবং বুদ্ধিমতীরা তেমন ডানাকাটা পরী নয় বলেই একশ্রেণির বিদ্বজ্জনের বিশ্বাস। তবে দিব্য বিদ্বজ্জন নয়। এবং জুঁই ব্যতিক্রম।  

    দিব্য আপাদমস্তক খুঁটিয়ে দেখে তার বউকে। দেখে, মানে দেখার ভান করে। গাল টিপে দিয়ে বলে, ‘আয়নার পুরো গন্ডগোলটা মাথার দিকে মনে হচ্ছে তো? তা’ই হয়। পৃথিবীসুদ্ধ লোকের যাবতীয় গন্ডগোল দেখবে ওই মাথার দিক থেকেই শুরু...’

    জুঁই স্পষ্টতই চটে যায়। কিন্তু সবসময় মোক্ষম উত্তর তো আর সবার মুখে জোগায় না।   

    ‘এই তো দেখো না, আমার চিবুকের ঠিক নিচে... একটা ওই আছে’।

    ‘কী আছে শুনি?’ জুঁই কটমট করে তাকালেও তার কপট রাগের ভান লুকোনো যায় না। 

    ‘একটা ইয়ে মানে, ওই অ্যাট্রাকশন। চিবুকের এই খাঁজটার জন্য কত মেয়ে পাগল... দেখলেই নাকি তাদের চুমু খেতে ইচ্ছে করে। অথচ দেখো, আয়নাতে বোঝাই যায় না’। 

    দিব্যর গালের গন্ধটা এখন অনেক স্পষ্ট, অনেক কাছাকাছি। মাথা ঝিমঝিম করে। কিন্তু সকাল ন’টার ব্যস্ততায় খোলা দরজার পর্দা তুলে ঢুকে পড়তে পারে অনেক প্রয়োজন... জুঁই ছদ্ম রাগে একটু হালকা ধাক্কা দিয়েই সরিয়ে দেয় দিব্যকে।  

    ‘অফিসে কেউ আজকাল এসব বলছে বুঝি? কে বলল আবার? তোমাদের নতুন জয়েন করা অনমিত্রা?’

    দিব্য হেসে ফেলে। জুঁইও। তাদের এগারো বছরের দাম্পত্যে বোঝাপড়া বড় মজবুত। কোনও ঠোকাঠুকিতেই টাল খায় না সহজে। কিন্তু দেড়শো বছরের পুরনো বেলজিয়ান গ্লাসের আয়নায় নিজের ঠোঁটের অচেনা চেহারায় জুঁই বেশ ধাক্কা খায়। অস্বস্তিটা রয়েই গেল। 


     

‘এইসব বাজে খাবার আমি কিছুত্তেই খাব না। একদম খাব না। কক্ষনও খাব না’।

    স্কুল থেকে ফিরে দুপুরে শোবার ঘরের বড় আয়নাটার সামনে দাঁড়িয়ে স্কোয়্যার কাটের শ্যাডো প্র্যাকটিস করে ঋক। ঠিক এইসময় প্রতিদিন মিনুমাসি ভাতের থালা নিয়ে ডাকাডাকি করবে। টেবিলে না বসলে থালা নিয়ে সোজা ঘরে চলে আসবে। ওই সেই একগাদা ভাত। তার মধ্যে ট্যালটেলে মাছের ঝোল। ঝিঙে। পটল। যত অখাদ্য সবজি। বিস্বাদ। ঝোলটাও কেমন বিশ্রি দেখতে। অসহ্য। দেখলেই গা গুলোয়। কিন্তু কিচ্ছু বলার নেই। 

    ‘বেশ। তুমি খাবে না তো? আমি তাহলে মাম্মামকে ফোন করতে যাচ্ছি। বলছি গিয়ে বৌদিকে। রোজ রোজ তোমার ভাত নিয়ে এই এক বায়নাক্কা। আর ভাল লাগে না বাপু’। 

চব্বিশ ঘন্টা এই ফ্ল্যাটের সংসার দেখভাল করা মিনুমাসির বয়স বেশি নয়। কিন্তু ঋকের প্রতিদিনের দুরন্তপনায় এখনও অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি। তিনি ভাতের থালা হাতে নিয়ে ফোন করতে চললেন ঋকের মাকে। মায়ের ধমক পড়লে যদি ছেলে দু’চার গ্রাস ভাত খায়।  

বেলজিয়ান গ্লাসের বিরাট আয়নার সামনে শ্যাডো প্র্যাকটিস করার মজাই আলাদা। পুরোটা দেখা যাচ্ছে। কাঁধ, হাতের পজিশন। কনুইটা ঠিক কতটা উঠবে। কতটা অ্যাঙ্গেল হবে, কবজি, কাঁধ, কনুই। তার সঙ্গে পা দুটো কতটা ফাঁক। এর মধ্যে ওইসব ভাত-মাছের ঝোল কেউ আনে? 

বাড়িতে কেউ বিশ্বাসই করে না ঋকের এখন নাইন প্লাস বয়স। ওর হাইট এখনই বাবার কনুই ছাড়িয়ে অনেকটা। স্কুল ক্রিকেট টিমের সে ভাইস ক্যাপ্টেন। এদিকে প্রচুর পড়ার চাপ। কোচিং-টিউশন-পরীক্ষা। সব নিয়ে নাজেহাল। একটু শান্তি নেই। অথচ ওর যে একটা ডায়েট চার্ট রয়েছে, কেউ সেটা খুলেই দেখে না! ওর কথার যেন কোনও দামই নেই। সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতেই ঋক দেখে, ওর স্কোয়্যার কাটের শ্যাডো প্র্যাকটিস দেখা যাচ্ছে বিরাট আয়নায়। মাঠে কোচ নিলয়স্যার যেমন দেখিয়েছিলেন, একদম হুবহু সেইরকম। আয়নাতে পরিষ্কার দেখে বোঝা যাচ্ছে ঋকের সমস্ত শরীর পালকের মতো ঘুরে যাচ্ছে। দু’হাতে ধরা কাল্পনিক ব্যাটে বল লেগে এক স্কোয়্যার কাটে লাল টুকটুকে বল সোজা মাঠের বাইরে। ছক্কা! দু’হাত মাথার ওপর তুলে লাফিয়ে ওঠে ঋক। হুররে! এই তো সে ফাটিয়ে দিয়েছে! একদম কপিবুকের মতো হয়ে যাছে চটপট। মাঠে আজ আর নিলয়স্যার ওকে বকুনি দেবেন না। 


   

বিকেলের এই সময় একবার গা ধুয়ে নেয় মিনু। ঋককে ক্রিকেট কোচিং ক্লাসে পৌঁছে দিয়ে এসে এইটুকু একার সাম্রাজ্য। বৌদির শোবার ঘরের দেওয়ালজোড়া বড় আয়নাটা যেদিন থেকে এসেছে, সেইদিন থেকে বিকেলে একবার সে ওই আয়নার সামনে দাঁড়াবেই। আয়নায় মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখা যায়। অন্যরকম দেখায়। চেনা চেহারাটাই একদম অচেনা। গা শিরশির করে। কেবল মনে হয়, ভেতর থেকেও এক জোড়া চোখ দেখছে ওকে। ভারি নরম দৃষ্টি। শুধু চোখ বুলিয়ে এত আদর করা যায়? মিনুর সমস্ত শরীরে কাঁটা দেয়। খুব জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তেমন মানুষ আর হাতের নাগালে রইল কই? অন্য সংসার পেতে কবেই তো...। 

    মিনুর চোখের কোনে জল আর বিদ্যুৎ। অপমান আর অপ্রাপ্তিতে শুধুই দুঃখ থাকে না। ক্ষোভ জমে যায়। কী নেই ওর? মানুষটা শুধু শরীরের টানে সরসীর সঙ্গে চলে গেল? বিশ্বাস করার আগেই দাঁতে দাঁত চেপে ধরে মিনু। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটু একটু করে সরাতে থাকে ওর একের পর এক পোশাকি আবরণ। শাড়ির আঁচল একটানে সরিয়ে দিলেই যে বেআবরু হয়ে যাওয়া শরীর নিয়ে সকলের অস্বস্তি, সেই সম্পূর্ণ শরীরকে সে মেলে দেয় দেওয়ালজোড়া আয়নার সামনে। কোনও সুতো নেই, কোনও আবরণ নেই। বিকেলের অস্ত যাওয়া সূর্যের শেষ মরা আলো কাঁচের জানালার মধ্যে দিয়ে মিনুর শরীরের পাশে আলতো হয়ে লুটিয়ে থাকে। আয়নার বিশাল আলিঙ্গন। দু’হাতে যেন সে জড়িয়ে ধরছে এক উপোসী মেয়েকে। 

মিনু দু’হাত মেলে ছড়িয়ে দেয় দু’দিকে। হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে কোন এক আদিম মিলনের অলীক স্বপ্ন দেখতে থাকে মধ্য তিরিশের এক স্বামী-পরিত্যক্তা নারী। ঠোঁটে অস্ফুট অলীক ভালোলাগা।  


   

দিব্যর চিবুকের ওই খাঁজটা আমার ভারি পছন্দ। ওর মধ্যে স্বচ্ছন্দে ঠোঁট ডুবে যাবে আমার। আমি নিশ্চিত। ওকে সামনে আসতে দেখলেই ওই খাঁজে আমার ঠোঁটদুটো ডুবিয়ে দিই। ও বুঝতেও পারে না। দেখতেই পায় না। এখনও ছেলেমানুষ। বউকেও ভালবাসে বড্ড। বউটাও তেমন। নিজের সাজগোজ নিয়েই ব্যস্ত। মনে হয় ঘষে ঘষে মুছে দিই ওর সব লিপস্টিকের রঙ। বড় গুমোর। মাঝে মাঝে ওর ঠোঁটের রঙ মুছে দিলেই কিন্তু ওর সব সাজ মাটি। সেইসময় ওর মুখখানা দেখার মতো হয়। আমার এই হিংসেকুটি স্বভাবটা সবে তৈরি হয়েছে বোধহয়। আচ্ছা জুঁই নিজে এত সুন্দর হবে কেন? আমার দিকে তাকিয়ে আমার চোখে কেবল নিজেকেই দেখবে? আমাকেও তো তাকিয়ে দেখতে পারে একবার। আমি না থাকলে ওর চলবে? অথচ আমাকে পাত্তাও দেয় না।    

    মিনু উদ্দাম। ও শুধু আমার। ও শুধু আমাকেই ভালবাসে। জানি আমি। প্রতিদিন ওর সঙ্গে গোপন গোপন খেলা আমার। একটু একটু করে ওর নিসুতো শরীর চেখে দেখি আমি। জিভের ডগায় ছুঁয়ে দিই ওর বাহুমূল। অনন্ত অন্ধকারের উষ্ণতা ও শুধু আমার জন্যই সাজিয়ে রেখেছে। ও শুধু আমারই জন্য। আমার জন্যই আমার কাছে আসে রোজ। 

    ঋক স্কোয়্যার কাট শিখে গেছে। ওর সব বল এখন মাঠের বাইরে। ওর জন্য বড় মায়া হয়। মনে হয় আঁকড়ে ধরে ওকে চুমু খাই কপালে। কিন্তু ছেলেটা কক্ষনও আমার হবে না পুরোপুরি। শ্যাডো প্র্যাকটিস শেষ হলেই খোলা মাঠে দৌড়বে। অনেক বড় আকাশ ওর।  

    অনেক রাত হল। অন্ধকারে আমি কিছুই দেখতে পাই না। নিঃশ্বাসের শব্দ শুধু। আমার কেবল আলোর অপেক্ষা। কখন সকাল হবে? কেউ কি একবার আলো জ্বালবে মাঝরাতে? তাকাবে একবার আমার দিকে? ঘরের কোনায় দেওয়ালের এক প্রান্তে একা ভাল লাগে?  



মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য