শ্যামশ্রী রায় কর্মকার
নদী ও যুবক
ডুবজলে দাঁড়িয়ে যে যুবকটি
একশো বছর
একশো বছর
একমনে পড়ে যেতো স্রোতের আরম্ভ আর শেষ
রৌদ্রের দিনলিপি খুলে
একটি একটি করে আলতো স্মৃতির লেখা
টুকে রাখত বন্ধকী খাতায়
আজন্ম চাঁদের নীচে লিখে রাখত অশ্রুর বন্দিশ
পুরনো বটের নীচে মাথা নেড়ে বলে যেতো সন্ধ্যার প্রিয় কথকতা
আজকাল রোজই তার কবিতার ভিতর বৃষ্টি পড়ে
জলটুকু চশমার কাচ বেয়ে বয়ে যায় মাঠভর্তি ধানের গোড়ায়
দু-এক কলি পথ চলা শেষ করে
যখনি সে ফিরে আসে নদীর সংসারে
আড়বাঁশি বেজে ওঠে তীরস্থ নারকেল গাছের নিভৃতে
রাত্রি গভীর হলে নদী এসে হাঁটু মুড়ে বসে থাকে শিয়রের কাছে
হাতপাখা টেনে টেনে মুছে দেয় শরীরের ঘাম
গল্প পড়ে শোনায় ইলিয়াড থেকে
সকাল হলেই নদীমুগ্ধ যুবক
স্রোতস্বিনীটির বামহাত ধরে হেঁটে চলে যায় শেষ মোহনার দিকে
যেন তার কোনো কালে মানুষের জীবন ছিল না
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন