দূর্বা চট্টোপাধ্যায়



বৃষ্টি বলে ডাকে

নরম মাদল বাজে কানে, কান থেকে সে গান শিরায় শিরায় ছড়িয়ে পরে অঙ্গে,  মৃদঙ্গে, বিভঙ্গে।

ছাতিমের গন্ধে খুন চাপে রক্তে। আবছা কুয়াশার মতন আচ্ছন্নতা ঘিরে ধরে। মাদলের শব্দ বাড়তে থাকে আর আমি সংকীর্ণ যোনি সেই ভালোবাসাহীন মহিলার স্বাস্থ্য পান করার কথা দিয়ে আসি বিরহী যক্ষকে। সে আমাকে ঝড় আর মেঘের ভালোবাসার গল্প শোনাচ্ছিল এতক্ষণ।  আর আমি ওর বুকের রোমে ঝড় আর মেঘের সঙ্গম দেখছিলাম। বৃষ্টি শুরু হতেই তার প্রকাণ্ড জিভ দিয়ে প্রতিটি ফোঁটা শুষে নিচ্ছিল সে। শিখিয়ে দিচ্ছিল কিভাবে খরার জন্য জমিয়ে রাখতে হয় জল, মেহনে, মন্থনে।

তরল অন্ধকারে সাঁতার কাটতে থাকি। কুমীরের মতো অতিকায় হাঁ দিয়ে গিলে খেতে চাই পৃথিবীর সকল ভালোবাসাহীন যোনিমুখ। অবচেতনে বাহাত্তরতম বার খুন করি যক্ষিণী রূপসীকে। সে বুঝতে পেরে এগিয়ে আসে। আমার ঘ্রাণে ঘন হয়ে আসে ছাতিম ফুলের গন্ধ। 

আমাকে কুয়াশায় সেফ ড্রাইভিং এর কৌশল শেখাতে থাকে সে। আমি কখনও ওকে ঝড় বলে ডাকি, কখনও মেঘ। আর ও আমাকে শুধুই বৃষ্টি বলে ডাকে। ডাকতেই থাকে। নরম মাদলের মতো।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য