চয়ন ভৌমিক

অনন্ত বাগানবাড়ি
১)

পাঁচিলের ওপারে সংরক্ষিত হাওয়া।

শান্ত ঋতুচক্রর উপর চিত্রিত আশ্রয়ে
কী ভাবে যেন নীরবে ফুটে থাকে
নির্ভীক ফুল।



একটা টানা রাস্তা চলে গেছে
দূরে, দুপাশে গালচের সবুজ।

নিজের নিশ্বাসের সাথে কথা
বলতে বলতে,
এই দেখো চলেছি আমরা
আজীবন তীর্থঙ্কর।
২)

নারীটি শ্বেত পাথরের।

কিন্তু তার অঞ্জলিপুট বেয়ে
নেমে আসা ছায়া, জলীয়।

নীচে মাছেদের কেলি।

লাল, নীল, হলুদ সাঁতার পেরিয়ে
এই বসেছি নতজানু সন্ধ্যা-নিবিড়ে,

পাতা চায়ে গুলে দিচ্ছি
সঞ্জীবনী মধুর।

 ৩)

অন্ধকারের রঙ সবুজ,
অজ্ঞাত ছিল এতদিন।

এত ভাঁজ গাছেদের গায়ে

এত অক্সিজেনবাহী লাল
তার সংবহন,

এসবে মিশে যেতে যেতে বুঝেছি,

পাখিদের ভাষা জানি না আমরা।

৪)

যারা এ আসন পেতেছে,
তারা প্রাজ্ঞ।

জানে এখানে একদিন
এসে বসবে নির্জনতা।

পায়ের কাছে হামা টানবে
বিকেলের পড়শি রোদ,

ঝরাপাতার নির্ঝর সঙ্গীত
বেজে উঠবে সামান্য আন্দোলনেই।

এই সাজানো বিতানে
মায়া ছেড়ে রেখে গেল যারা,

তাদের বৃষ্টিবাদল, তাদের নীল আকাশ,
অগ্রাহ্য রেখে ফিরি কী করে
হে দয়াময়...

৫)

এইসব বর্ণালী,
ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে,
মৃত্তিকাগন্ধ, কৃষ্ণনীল সন্ধ্যা

আসলে, রাধানামমুখরভ্রমরডানা।

আমরা আদেখলা,
গিলে খাচ্ছি দৃশ্যমান,

অনটন পকেটে নিয়ে কি করে যেন
এসে পড়েছি এই স্বর্গোদ্যানে -
ফিরতে পারছি না...

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য