অপরাজিতা ভট্টাচার্য

বৃত্ত 
কোন এক সীমান্ত শহরে অফিস ফেরতা মানুষ বাড়ির গর্তে ঘুমোয় যেন কীট ঘুম ভাঙ্গলে শব্দ উছলে পড়ে স্মৃতি স্রোতের মত। তাকেই ভেতরের তেজস্ক্রিয়তা ধরে নিয়ে তার কবেকার মধুমুখ প্রেয়সীকে দিতে চায় এক মোমবাতি। নিজে জ্বালাতে গিয়ে দেখে তার সোঁদা সলতে জ্বলে নাজ্বলেই না
 ফলে চেষ্টা ক্রমাগতঃ
সময়ের কেরামতিতে নিজেকে আসামী ভাবে লোকটা সে তখন মুহূর্তদের খুরে খুরে দণ্ডবৎ
এখন তার মধুমুখের খোঁপার ভেতর লুকিয়ে মরে শহুরে সভ্যতা মেঘমাটিজলের কানাকানি লোকটাও ছিঁড়ে ভাসিয়েছে কবেই শুধু লুকিয়ে রেখেছে নক্ষত্রের থেকে ছিনিয়ে আনা সামান্য কান্না, নোনা চুমু, জল, মোহনায় নিহিত মঙ্গল
এরপর? এরপর যা হয় আর কি ...
বিচ্ছেদে ছিটকে গিয়ে আছাড়ি পিছাড়ি মনটা ক্ষেদে ছাঁটতে চায় ঘোলাটে ব্যাপার স্যাপারগুলো। কিন্তু তাতে বাদ যাবে অনেক আবাদ মুহূর্তও।
ভাবনার জলে সে কীটের মত ঘোরে। 
 আসামীর শেষ সখ হিসেবে শুঁকে নিতে চায় গতজন্মের গন্ধ শরীর আর দিনের আহ্নিক গতিতে পাক খেতে থাকে এসব কিছু লাট খেয়ে পড়েআবার ঝেড়ে মুছে উঠে দাঁড়ায়
এ ধরণের বৃত্তের গল্প বড্ড চেনা। এমন কিছুই বলার ছিল না
অথচ তুমি নিজেকে সর্বজ্ঞ ধরে নিয়ে না শুনেই ভাব জানো সব।
আসলে এক বৃত্ত
 যার অর্ধেক 
বিসদৃশ রকমের ছায়া আর বাঙময় অন্ধকারের
মাঝে বসে অবুঝ কৃপাপ্রার্থী হয়ে চায়
 উৎকীর্ণ দুঃখের অংশভাগ।
বাকি অর্ধেক ককিয়ে বলে
অমরত্ব মানে স্মৃতি আর স্বপ্ন
 গুপ্তচোট মানে নির্বাসন
পস্থুমাস অস্তিত্ব মানে মিইয়ে যাওয়া অভিমান।  



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোমা দত্ত

সব্যসাচী মজুমদার

সৌম্যজিৎ আচার্য